রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রবের পক্ষ থেকে হেদায়াত পৌঁছে দিয়েছেন। এতেই রয়েছে আলোকবর্তিকা ও হেদায়াত। এটা ব্যতীত সকল কিছুই অন্ধকার ও ভ্রষ্টতা। সুন্নাত আঁকড়ে ধরার বিপরীতে যা কিছু রয়েছে সেগুলির পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। তা হলো, দ্বীনের মধ্যে বিদ’আত সৃষ্টি করা এবং সুস্পষ্ট এই মানহাজের বিপরীত কিছুর অনুসরণ করা। মুসলিমদের ঐক্য ও তাদের এক কাতারে আসা সম্ভব নয় সর্বশেষ নবী ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাতের অনুসরণ ব্যতীত।
তাই তারা যখনই ঐক্যবদ্ধ ও এক হওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, তারা যদি সুন্নাত থেকে বিমুখ হয়, তাহলে নানা ফিরক্কায় বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং সুস্পষ্ট গোমরাহীতে পতিত হবে। প্রখ্যাত সাহাবী আনাস ইবনু মালিক রাযিয়াল্লাহু আনহু অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বলেন, مَا أَعْرِفُ شَيْئًا مِمَّا كَانَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِيْلَ الصَّلَاةُ قَالَ ألَيْسَ ضَيَّعْتُمْ مَا ضَيَّعْتُمْ فِيهَا ‘আজকাল কোন জিনিসই সে অবস্থায় পাই না, যেমন নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যুগে ছিল।
প্রশ্ন করা হলো যে, সালাতও? তিনি বললেন, সে ক্ষেত্রেও যা নষ্ট করার তোমরা কি তা করনি’?’ প্রখ্যাত তাবিঈ ইবনু শিহাব আয-যুহরী (৫৮-১২৪ হি.) বলেন, دَخَلْتُ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكَ بِدِمَشْقَ وَهُوَ يَبْكِي فَقُلْتُ مَا يُبْكِيْكَ فَقَالَ لَا أَعْرِفُ شَيْئًا مِمَّا أَدْرَكْتُ إِلَّا هَذِهِ الصَّلَاةَ وَهَذِهِ الصَّلَاةُ قَدْ ضُيِّعَتْ ‘একদিন আমি দিমাস্কে আনাস ইবনু মালিক -এর নিকট প্রবেশ করলাম আর তখন তিনি কাঁদছিলেন। আমি বললাম, আপনি কেন কাঁদছেন? তখন তিনি বললেন, (রাসূলুল্লাহ -এর যুগে) আমি যে সব বিষয় দেখেছিলাম, তার মধ্যে কেবল এই সালাত ছাড়া কোন কিছুই আমি চিনতে পারছি না। এমনকি সালাতও নষ্ট হয়ে গেছে’।
উক্ত আলোচনায় প্রমাণিত হল যে, সাহাবী, তাবি’ঈ ও তাবি’ তাবি’ঈগণের যুগেও কতিপয় ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে ‘ইবাদতের মধ্যে পরিবর্তন ও বিকৃতি ঘটেছিল। যেগুলোর সাথে সুন্নাতের কোন সম্পর্ক ছিল না। তার মধ্যে সালাতের মধ্যে রাফউল ইয়াদাঈন উল্লেখযোগ্য। এ কিতাবে এতদসংক্রান্ত বিষয়াবলি বিস্তারিত আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে। উল্লেখ যে, শাইখ যুবায়ের আলী যাঈ -এর নুরুল আইনাইন বইকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে।
তাই তারা যখনই ঐক্যবদ্ধ ও এক হওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, তারা যদি সুন্নাত থেকে বিমুখ হয়, তাহলে নানা ফিরক্কায় বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং সুস্পষ্ট গোমরাহীতে পতিত হবে। প্রখ্যাত সাহাবী আনাস ইবনু মালিক রাযিয়াল্লাহু আনহু অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বলেন, مَا أَعْرِفُ شَيْئًا مِمَّا كَانَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِيْلَ الصَّلَاةُ قَالَ ألَيْسَ ضَيَّعْتُمْ مَا ضَيَّعْتُمْ فِيهَا ‘আজকাল কোন জিনিসই সে অবস্থায় পাই না, যেমন নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যুগে ছিল।
প্রশ্ন করা হলো যে, সালাতও? তিনি বললেন, সে ক্ষেত্রেও যা নষ্ট করার তোমরা কি তা করনি’?’ প্রখ্যাত তাবিঈ ইবনু শিহাব আয-যুহরী (৫৮-১২৪ হি.) বলেন, دَخَلْتُ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكَ بِدِمَشْقَ وَهُوَ يَبْكِي فَقُلْتُ مَا يُبْكِيْكَ فَقَالَ لَا أَعْرِفُ شَيْئًا مِمَّا أَدْرَكْتُ إِلَّا هَذِهِ الصَّلَاةَ وَهَذِهِ الصَّلَاةُ قَدْ ضُيِّعَتْ ‘একদিন আমি দিমাস্কে আনাস ইবনু মালিক -এর নিকট প্রবেশ করলাম আর তখন তিনি কাঁদছিলেন। আমি বললাম, আপনি কেন কাঁদছেন? তখন তিনি বললেন, (রাসূলুল্লাহ -এর যুগে) আমি যে সব বিষয় দেখেছিলাম, তার মধ্যে কেবল এই সালাত ছাড়া কোন কিছুই আমি চিনতে পারছি না। এমনকি সালাতও নষ্ট হয়ে গেছে’।
উক্ত আলোচনায় প্রমাণিত হল যে, সাহাবী, তাবি’ঈ ও তাবি’ তাবি’ঈগণের যুগেও কতিপয় ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে ‘ইবাদতের মধ্যে পরিবর্তন ও বিকৃতি ঘটেছিল। যেগুলোর সাথে সুন্নাতের কোন সম্পর্ক ছিল না। তার মধ্যে সালাতের মধ্যে রাফউল ইয়াদাঈন উল্লেখযোগ্য। এ কিতাবে এতদসংক্রান্ত বিষয়াবলি বিস্তারিত আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে। উল্লেখ যে, শাইখ যুবায়ের আলী যাঈ -এর নুরুল আইনাইন বইকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে।
- Purchase Link
- Click Here to BUY NOW!
বইটি ক্রয় করে লেখক ও প্রকাশককে নতুন বই প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করুন।