আল্লাহ তা'আলা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপনের পরপরই ইসলামের দ্বিতীয় রুকন ও বিধান হচ্ছে সালাত। একমাত্র সালাতই হচ্ছে মুসলিম ও অমুসলিমের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিধানকারী। ইসলামের বিশেষ স্তম্ভ। সর্বপ্রথম বস্তু যা দিয়েই কিয়ামতের দিবসে বান্দার হিসাব-নিকাশ শুরু করা হবে। তা বিশুদ্ধ তথা গ্রহণযোগ্য প্রমাণিত হলে বান্দার সকল আমলই গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হবে। নতুবা নয়। সালাতের বিষয়টি কুরআন মাজীদে অনেক জায়গায় অনেকভাবেই আলোচিত হয়েছে। কখনো সালাত প্রতিষ্ঠার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আবার কখনো এর মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। তেমনিভাবে কখনো এটির সাওয়াব ও পুণ্যের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। আবার কখনো মানুষের জীবনে আকস্মিকভাবে আগতসমূহ বিপদাপদ সহজভাবে মেনে নেওয়ার জন্য সালাত ও ধৈর্যের সহযোগিতা নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ জন্যই এ সালাত সর্বদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্তরাত্মাকে সম্পূর্ণভাবে শীতল করে দিতো। তাই বলতে হয়, সালাত নবীদের ভূষণ ও নেককারদের অলঙ্কার, বান্দা ও প্রভুর মাঝে গভীর সংযোগ স্থাপনকারী, অপরাধ ও অপকর্ম থেকে হিফাযতকারী। তবে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ অপবিত্রতা থেকে যথাসাধ্য পবিত্রতা অর্জন ছাড়া কোনো সালাতই আল্লাহ তা'আলার দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণেই পবিত্রতার ব্যাপারটি ইসলামী শরী'আতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।