মহানবী (ﷺ) বলেন, "অবশ্যই কিছু কবিতায় হিকমত (জ্ঞান) আছে।” (বুখারী ৬ ১৪৫নং) আর তিনি এমন কবির জন্য দুআও করেছেন। কবি হাসান বিন সাবেত তাঁর সামনে কবিতা আবৃত্তি করেছেন এবং মুশরিকদের কবিতার জবাব দিয়েছেন। কবি নজরুল কোন শ্রেণীর ছিলেন, সেটা আমার বিষয়বস্তু নয়। তিনি যা ছিলেন, না ছিলেন সে বিষয়ে সমসাময়িক উলামাগণ আলোচনা-সমালোচনা করেছেন। যাঁদেরকে কবি 'আমপারা পড়া হামবড়া মোরা এখনো বেড়াই ভাত মেরে' ইত্যাদি বলে জবাবও দিয়েছেন। গালির ইটের বদলে গালির পাটকেল তিনিও ছুঁড়েছেন এবং উপর দিকে নিজের ছুঁড়া থুথু নিজের তথা নিজের জাতির গায়েই ফেলেছেন। কৈশোরে মক্তবে লেখাপড়া করে, মোল্লাগিরি (?) করে এবং মুসলিম পরিবেশে মানুষ হয়ে তাদের 'হাঁড়ির খবর' জেনে তিনি ইসলাম ও মুসলমান সম্বন্ধে অনেক কিছু লিখেছেন। তিনি সঠিক ইসলামকে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাননি বলেই, একজন 'মোল্লা' ছিলেন এবং 'আলেম' ছিলেন না বলেই, তাঁর লেখায় অনেক ইসলাম-পরিপন্থী আকীদায় ভরতি। পরিবেশ থেকে যা পেয়েছেন, তাই লিখেছেন। তাতে তাঁর কোন দোষ নেই। আর সেই জন্য তিনি যা লিখেছেন, তাই কিন্তু ইসলামের বাস্তব রূপ নয়। আসলে তিনি যে কি, তা কবিতার ছত্রেও ধরা মুশকিল। কারণ, কবিরা কি হয়, সে কথা সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পরিষ্কার করেই দিয়েছেন। 'তারা প্রত্যেক উপত্যকায় কল্পনা- বিহার করে। আর তারা যা করে না, তাও বলে থাকে।' আর কবি নজরুল যেমন ইসলামের জয়গান গেয়েছেন, তেমনি ইসলাম-বিরোধী কথাও বলে গেছেন। তিনি কি বিশ্বাস করতেন, আর কি বিশ্বাস করতেন না সেটা আল্লাহই ভালো জানেন; সেটা আমার বিচার্য নয়।
আমার বিষয়বস্তু হল তাঁর ছেড়ে যাওয়া কবিতা ও সঙ্গীতে শরীয়ত-বিরোধী কথাকে শিক্ষিত সমাজের সামনে তুলে ধরা, যাতে তাঁরা তাঁর কবিতা পড়ে শরীয়ত-বিরোধী কথা বিশ্বাস করে ঈমানের মত অমূল্য ধনকে হারিয়ে না বসেন। সঙ্গীত-প্রিয় অজ্ঞ মানুষ তাঁর সঙ্গীত শুনে ভুল আকীদা মনের মধ্যে স্থান দিয়ে বৃহৎ থেকে বৃহত্তর পাপ না করে বসেন। বড় দুঃখের বিষয় যে, বহু মুসলিম কুরআন-হাদীসের আসল পণ্ডিতদের কাছে শরীয়তের জ্ঞান ও ইসলামী ইতিহাস গ্রহণ না করে, তথাকথিত মনীষী, কবি, শিল্পী, ঔপন্যাসিক, ঐতিহাসিক, সাংবাদিক এবং অনুরূপ সাহিত্য-প্রবন্ধ, কবিতা, গান, গজল- গীতি, নাটক-যাত্রা, ফিল্ম, উপন্যাস, সংবাদ-পত্র প্রভৃতি থেকে ইসলামী ধ্যান-ধারণা গ্রহণ করে থাকে।
আমার বিষয়বস্তু হল তাঁর ছেড়ে যাওয়া কবিতা ও সঙ্গীতে শরীয়ত-বিরোধী কথাকে শিক্ষিত সমাজের সামনে তুলে ধরা, যাতে তাঁরা তাঁর কবিতা পড়ে শরীয়ত-বিরোধী কথা বিশ্বাস করে ঈমানের মত অমূল্য ধনকে হারিয়ে না বসেন। সঙ্গীত-প্রিয় অজ্ঞ মানুষ তাঁর সঙ্গীত শুনে ভুল আকীদা মনের মধ্যে স্থান দিয়ে বৃহৎ থেকে বৃহত্তর পাপ না করে বসেন। বড় দুঃখের বিষয় যে, বহু মুসলিম কুরআন-হাদীসের আসল পণ্ডিতদের কাছে শরীয়তের জ্ঞান ও ইসলামী ইতিহাস গ্রহণ না করে, তথাকথিত মনীষী, কবি, শিল্পী, ঔপন্যাসিক, ঐতিহাসিক, সাংবাদিক এবং অনুরূপ সাহিত্য-প্রবন্ধ, কবিতা, গান, গজল- গীতি, নাটক-যাত্রা, ফিল্ম, উপন্যাস, সংবাদ-পত্র প্রভৃতি থেকে ইসলামী ধ্যান-ধারণা গ্রহণ করে থাকে।
- Purchase Link
- Click Here to BUY NOW!
বইটি ক্রয় করে লেখক ও প্রকাশককে নতুন বই প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করুন।