- Author
- সাজিদ আব্দুল কাইয়্যুম
- Publisher
- ইহইয়া-উস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
তাবলিগ জামাত (উর্দু: تبلیغی جماعت, ধর্মপ্রচারকদের সমাজ)[১][২] হল একটি ইসলাম ধর্মভিত্তিক সংগঠন ও ধর্মপ্রচার আন্দোলন, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা, এবং যা মুসলিমদেরকে ও নিজ সদস্যদেরকে সেভাবে ধর্মচর্চায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করে, যেভাবে ইসলামী নবী মুহাম্মাদের জীবদ্দশায় তা চর্চা করা হত,[৩][৪] এবং তা হল বিশেষত আনুষ্ঠানিকতা, পোশাক ও ব্যক্তিগত আচরণের বিষয়গুলোতে।[৫][৬] বিশ্বজুড়ে সংগঠনটির আনুমানিক ১.২ কোটি থেকে ৮ কোটি অনুগামী রয়েছে ,[৭] যার অধিকাংশই দক্ষিণ এশিয়ায় বাস করে,[৮] এবং প্রায় ১৮০ থেকে[৯] থেকে ২০০ টি দেশে এর উপস্থিতি রয়েছে।[৬] একে “২০-শতকের ইসলামের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় আন্দোলনগুলোর মধ্যে অন্যতম” হিসেবে গণ্য করা হয়।[১০]
১৯২৬ সালে মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি কর্তৃক ভারতের মেওয়াতে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি দেওবন্দি আন্দোলনের একটি শাখা হিসেবে এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয়কে অবজ্ঞা ও নৈতিক মুল্যবোধের সমসাময়িক অবক্ষয়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাদের যাত্রা শুরু করে। আন্দোলনটি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করার মাধ্যমে ইসলামের আধ্যাত্নিক পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।[৬][১১] তাবলিগ জামাত-এর মুল ভিত্তি হিসেবে ৬টি উসুল বা মূলনীতিকে ধারণ করা হয়। এগুলো হলো: কালিমা, সালাত, ইলম ও যিকির, একরামুল মুসলিমিন (মুসলমানদের সহায়তা করা), সহিহ নিয়ত বা এখলাসে নিয়ত (বিশুদ্ধ মনোবাঞ্ছা), এবং দাওয়াত-ও-তাবলিগ (ধর্মপ্রচারের আহ্বান)।[১২]
তাবলিগ জামাত রাজনীতি ও ফিকহে (আইনশাস্ত্র) সকলপ্রকার সম্পৃক্ততাকে অস্বীকার করে [১৩][১৪] এর পরিবর্তে কোরআন ও হাদিসে দৃষ্টি দেয়।[১৩][১৫] তবে, দলটির উপর রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছিল।[৬] যুক্তরাষ্ট সরকার ২০০১ এর সেপ্টেম্বরের পর থেকে তাবলীগ জামাতকে কড়া নজরদারিতে রেখেছে।[১৬] সংগঠনটির সাথে সন্ত্রাসবাদের কোন সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই বলে জানা গিয়েছে, যদিও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো তাদের মধ্য থেকে লোক নিয়ে সদস্য নিয়োগ দিয়েছে।[১৬] তাবলিগী জামায়াতের নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসবাদের সাথে যোগসূত্রের বিষয় অস্বীকার করেছেন।[১৬] তাবলীগী জামায়াত কঠোরভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং বিতর্ক এড়িয়ে চলে এবং এর পরিবর্তে কেবল ধর্মের দিকে মনোনিবেশ করে।[১৬] তাবলিগ জামায়াত স্বীকার করে যে এটি সামাজিক বা রাজনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে সকল ধরণের ব্যক্তিকে আকৃষ্ট করে এবং এর সদস্যপদ নিয়ন্ত্রণ করে না।
১৯২৬ সালে মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি কর্তৃক ভারতের মেওয়াতে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি দেওবন্দি আন্দোলনের একটি শাখা হিসেবে এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয়কে অবজ্ঞা ও নৈতিক মুল্যবোধের সমসাময়িক অবক্ষয়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাদের যাত্রা শুরু করে। আন্দোলনটি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করার মাধ্যমে ইসলামের আধ্যাত্নিক পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।[৬][১১] তাবলিগ জামাত-এর মুল ভিত্তি হিসেবে ৬টি উসুল বা মূলনীতিকে ধারণ করা হয়। এগুলো হলো: কালিমা, সালাত, ইলম ও যিকির, একরামুল মুসলিমিন (মুসলমানদের সহায়তা করা), সহিহ নিয়ত বা এখলাসে নিয়ত (বিশুদ্ধ মনোবাঞ্ছা), এবং দাওয়াত-ও-তাবলিগ (ধর্মপ্রচারের আহ্বান)।[১২]
তাবলিগ জামাত রাজনীতি ও ফিকহে (আইনশাস্ত্র) সকলপ্রকার সম্পৃক্ততাকে অস্বীকার করে [১৩][১৪] এর পরিবর্তে কোরআন ও হাদিসে দৃষ্টি দেয়।[১৩][১৫] তবে, দলটির উপর রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছিল।[৬] যুক্তরাষ্ট সরকার ২০০১ এর সেপ্টেম্বরের পর থেকে তাবলীগ জামাতকে কড়া নজরদারিতে রেখেছে।[১৬] সংগঠনটির সাথে সন্ত্রাসবাদের কোন সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই বলে জানা গিয়েছে, যদিও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো তাদের মধ্য থেকে লোক নিয়ে সদস্য নিয়োগ দিয়েছে।[১৬] তাবলিগী জামায়াতের নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসবাদের সাথে যোগসূত্রের বিষয় অস্বীকার করেছেন।[১৬] তাবলীগী জামায়াত কঠোরভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং বিতর্ক এড়িয়ে চলে এবং এর পরিবর্তে কেবল ধর্মের দিকে মনোনিবেশ করে।[১৬] তাবলিগ জামায়াত স্বীকার করে যে এটি সামাজিক বা রাজনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে সকল ধরণের ব্যক্তিকে আকৃষ্ট করে এবং এর সদস্যপদ নিয়ন্ত্রণ করে না।