কুরআনুল করিম বহুবার পড়েছি। কিছুই বুঝি নাই। সওয়াবের উদ্দেশ্যে শুধু পড়েই গেছি। বােঝার প্রয়ােজনীয়তাও কখন অনুভব করিনি। আমাদের বিজ্ঞ আলেম সমাজ বলে, কুরআন মানব জাতির ইশতেহার, সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক। যদি তাই হয়, তাহলে কুরআন না বুঝে পড়লে, কি করে আমি সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ পাব? এই ভাবনা থেকেই কুরআন বুঝার প্রয়ােজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভব করলাম। কুরআন যখন বুঝার চেষ্টা করলাম, তখন দেখলাম, কুরআন বুঝা আসলেই সহজ। কারণ, এখানে শব্দের পুণরাবৃত্তি সর্বাধিক। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন, 'পড়াে! তােমার সৃষ্টিকর্তা প্রভুর নামে । যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন নিষিক্ত ডিম্ব থেকে। পড়াে! তােমার প্রতিপালক মহান দয়ালু। তিনি মানুষকে জ্ঞান দিয়েছেন কলমের। আর মানুষকে শিখিয়েছেন, যা সে জানতাে না। সূরা আলাকের এই পক্তিমালা দিয়েই কুরআন নাজিলের যাত্রা। লক্ষ্য করুন, কুরআন শুরুতেই মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে, পড়তে ও জানতে। কুরআন অজ্ঞতাকে মহাপাপ হিসেবে অভিহিত করেছে। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে, জ্ঞানের পথে, মুক্ত বুদ্ধির পথে ।
আচ্ছা বলুন তাে, কুরআন ছাড়া আর কোন গ্রন্থ কি, মানুষের চিন্তার জগতে এমন আলােড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছে? মানুষকে এমনভাবে বদলে দিতে পেরেছে? কক্ষণাে নয়, কুরআনুল করিমের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এর সম্মােহনী শক্তি, গভীরতা, শব্দ ব্যঞ্জনা অতুলনীয়। তাই দেখা যায়, রসূল স, চ্যালেঞ্জ করে বললেন, এর সমকক্ষ একটি সূরা তৈরি করে আনাে তাে দেখি, যদি সত্যি সত্যি এই কুরআনকে আমার রচনা করাে? আজ অবধি, কেউ এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার শক্তি হলাে না।
কুরআন শতাব্দীর পর শতাব্দী জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কোটি কোটি মানুষের অন্তদৃষ্টি খুলে দিয়েছে, তাদের বদলে দিয়েছে ভেতর থেকে, খুলে দিয়েছে তাদের সম্ভাবনার দ্বার, দিয়েছে প্রশান্ত ও পরিতৃপ্ত জীবন। তাই কুরআন বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। বার বার পড়ন, ডুবে যান শব্দের গভীরে, বাক্যের গভীরে। দেখবেন, কুরআন কথা বলছে, আপনার সাথে। তখন, আপনিও বদলাতে শুরু করছেন ভেতর থেকে। প্রথম যুগের কুরআন অনুসারীদের মতাে আপনিও দুনিয়ায় সফল ও সম্মানিত হবেন। আর আখেরাতের সম্মান তাে শুধু স্রষ্টায় সমর্পিত সকর্মশীল মানুষদের জন্যেই ।
আচ্ছা বলুন তাে, কুরআন ছাড়া আর কোন গ্রন্থ কি, মানুষের চিন্তার জগতে এমন আলােড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছে? মানুষকে এমনভাবে বদলে দিতে পেরেছে? কক্ষণাে নয়, কুরআনুল করিমের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এর সম্মােহনী শক্তি, গভীরতা, শব্দ ব্যঞ্জনা অতুলনীয়। তাই দেখা যায়, রসূল স, চ্যালেঞ্জ করে বললেন, এর সমকক্ষ একটি সূরা তৈরি করে আনাে তাে দেখি, যদি সত্যি সত্যি এই কুরআনকে আমার রচনা করাে? আজ অবধি, কেউ এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার শক্তি হলাে না।
কুরআন শতাব্দীর পর শতাব্দী জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কোটি কোটি মানুষের অন্তদৃষ্টি খুলে দিয়েছে, তাদের বদলে দিয়েছে ভেতর থেকে, খুলে দিয়েছে তাদের সম্ভাবনার দ্বার, দিয়েছে প্রশান্ত ও পরিতৃপ্ত জীবন। তাই কুরআন বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। বার বার পড়ন, ডুবে যান শব্দের গভীরে, বাক্যের গভীরে। দেখবেন, কুরআন কথা বলছে, আপনার সাথে। তখন, আপনিও বদলাতে শুরু করছেন ভেতর থেকে। প্রথম যুগের কুরআন অনুসারীদের মতাে আপনিও দুনিয়ায় সফল ও সম্মানিত হবেন। আর আখেরাতের সম্মান তাে শুধু স্রষ্টায় সমর্পিত সকর্মশীল মানুষদের জন্যেই ।