মানুষকে যেখানে দাফন করা হয় তার নাম কবর। দুনিয়ায় এটাই তার সর্বশেষ ঠিকানা। যখন দাফন করা হয়, জীবিতদের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং সে চলে যায় অদৃশ্য জগতে। মানুষ অনেকটা অসহায় এবং আল্লাহর তাকদীরের কাছে অপারগ হয়ে প্রস্থান করে কবরের জগতে। মৃত্যুর বিভীষিকা, কবরের চাপ অতঃপর ফিরিশতাদের প্রশ্ন, হাশরের ময়দানে উত্থান, হিসাব- নিকাশ ও কিসাস অর্থাৎ যুলুমের বদলা নেকীর বিনিময় কিংবা পাপের বোঝা গ্রহণ করে এবং ডান হাত কিংবা বাঁ হাতে আমলনামা প্রাপ্তির গভীর উৎকণ্ঠার মতো নিদারুণ অবস্থার সম্মুখীন হয় পর পর। মৃত এ ব্যক্তিকে কাণ্ডজ্ঞানহীন মূর্খ কবর পূজারী কতিপয় জীবিত মানুষের অন্তরে মহা শক্তিধর হিসেবে পেশ করে শয়তান, ফলে তারা দো'আ, সুপারিশ ও কল্যাণ লাভ করার আশায় ছুটে যায় তাদের কবরে, পেশ করে টাকা-পয়সা, বিভিন্ন নজর-নেওয়াজ ও ত্যাগ- কুরবানী। আমাদের পূর্ববর্তী উম্মতকে শয়তান এভাবেই গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট করেছে, সত্যকে আড়াল করে তাদের সামনে তুলে ধরেছে বাতিলকে। আল্লাহ তা'আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণ করে সে মূর্খতা ও অন্ধকার উম্মত থেকে দূর করেন। তিনি কবর যিয়ারত সম্পূর্ণ নিষেধ করে দেন, যেন জাহেলী কুসংস্কার, শির্কী আকীদা, বিচ্যুতি ও শয়তানী সংশয় থেকে তাদের অন্তর সফেদ ও পরিচ্ছন্ন হয়। অতঃপর যখন তাদের আকীদা পরিশুদ্ধ ও পরিপক্ক হলো, তাওহীদের আলোয় তাদের হৃদয়-কুন্দর ভরে গেল, তিনি ঘোষণা দিলেন: