Knowledge Sharer
ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 1,141
- Comments
- 1,333
- Solutions
- 1
- Reactions
- 12,660
- Thread Author
- #1
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
"যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় এই দোয়া সাতবার পড়বে—
'হাসবিয়াল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা হু, আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আযীম'
(অর্থ: আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, আমি তাঁরই ওপর ভরসা করি, আর তিনি মহান আরশের অধিপতি)
—আল্লাহ তা'আলা তাকে সকল দুশ্চিন্তা থেকে নিরাপদ রাখবেন।"
এই হাদীসটি কি সহীহ?
উত্তর:
এই হাদীসটি আবু দাঊদ (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর সুনানে আবুদ্দারদা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহ) থেকে মাওকূফ (সহাবীর বক্তব্য) রূপে বর্ণনা করেছেন, অর্থাৎ এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুখনিঃসৃত হিসাবে বর্ণিত হয়নি বরং একজন সাহাবীর (আবুদ দারদা এর) কথা হিসাবে বর্ণিত।
তবে এটি "মাওকূফ হলেও বিধানের দিক থেকে মারফূ‘", অর্থাৎ এটি এমন একটি কথা যা সাধারণভাবে ব্যক্তিগত মতামতের ওপর ভিত্তি করে বলা হয় না, বরং তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেই জানা যায়—তাই এটি গ্রহণযোগ্য।
সূত্র:
মাজমু’ ফাতাওয়া ইবন বায (২৬/৬৫)
উল্লেখ্য,
শাইখ শুআইব আল আরনাঊত্ব যাদুল মাআদ এর তাহকীকে হাদীসটিকে জাইয়েদ বলেছেন।
তিনি আবু দাউদ এর তাহকীকে বলেছেন, এর লোকগুলো বিশ্বস্ত।
দুটি জ্ঞাতব্য:
১- হাদীসের মূল আরবী ভাষ্যে "দুনিয়া ও আখেরাত" শব্দদ্বয় বিশুদ্ধভাবে আসেনি।
২- অনুরূপ যে সব বর্ণনায় হাদীসটির শেষে এটা এসেছে যে, 'সে তাতে সত্যবাদী হোক কিংবা মিথ্যাবাদী' সেটাও শুদ্ধ না।
– শাইখ প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়ার, ১৩ মে ২০২৫ তারিখের ফেসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহীত।
"যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় এই দোয়া সাতবার পড়বে—
'হাসবিয়াল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা হু, আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আযীম'
(অর্থ: আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, আমি তাঁরই ওপর ভরসা করি, আর তিনি মহান আরশের অধিপতি)
—আল্লাহ তা'আলা তাকে সকল দুশ্চিন্তা থেকে নিরাপদ রাখবেন।"
এই হাদীসটি কি সহীহ?
উত্তর:
এই হাদীসটি আবু দাঊদ (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর সুনানে আবুদ্দারদা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহ) থেকে মাওকূফ (সহাবীর বক্তব্য) রূপে বর্ণনা করেছেন, অর্থাৎ এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুখনিঃসৃত হিসাবে বর্ণিত হয়নি বরং একজন সাহাবীর (আবুদ দারদা এর) কথা হিসাবে বর্ণিত।
তবে এটি "মাওকূফ হলেও বিধানের দিক থেকে মারফূ‘", অর্থাৎ এটি এমন একটি কথা যা সাধারণভাবে ব্যক্তিগত মতামতের ওপর ভিত্তি করে বলা হয় না, বরং তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেই জানা যায়—তাই এটি গ্রহণযোগ্য।
সূত্র:
মাজমু’ ফাতাওয়া ইবন বায (২৬/৬৫)
উল্লেখ্য,
শাইখ শুআইব আল আরনাঊত্ব যাদুল মাআদ এর তাহকীকে হাদীসটিকে জাইয়েদ বলেছেন।
তিনি আবু দাউদ এর তাহকীকে বলেছেন, এর লোকগুলো বিশ্বস্ত।
দুটি জ্ঞাতব্য:
১- হাদীসের মূল আরবী ভাষ্যে "দুনিয়া ও আখেরাত" শব্দদ্বয় বিশুদ্ধভাবে আসেনি।
২- অনুরূপ যে সব বর্ণনায় হাদীসটির শেষে এটা এসেছে যে, 'সে তাতে সত্যবাদী হোক কিংবা মিথ্যাবাদী' সেটাও শুদ্ধ না।
– শাইখ প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়ার, ১৩ মে ২০২৫ তারিখের ফেসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহীত।