হাদীস : ইবনে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমাদের কেউ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সালাত আদায়ের অপেক্ষা করবে না অথবা চেষ্টা করবে না।”
অপর বর্ণনায় এসেছে, তোমরা সালাত আদায় করার জন্য সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের অপেক্ষা করো না।
হাদীসের তাখরীজ: সহীহ বুখারী, ৫৮৫; সহীহ মুসলিম, ৮২৮; মুয়াত্তা মালিক, ৪৯; সুনান নাসায়ী, ৫৬৩
হাদীসের শিক্ষাসমূহ :
[এক] সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্তের সময় ফরয সালাত আদায়ের জন্য অপেক্ষা করবে না।
[দুই] সালাতকে ইচ্ছাকৃত ওয়াক্ত থেকে পিছিয়ে সূর্যাস্ত অথবা সূর্যোদয়ের সময়ে নিয়ে যেতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন।
[তিন] সুর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় নিষিদ্ধ কাজ শুধু সালাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সালাত ভিন্ন অন্য কোনো কাজ বা অন্য 'ইবাদাত পালন করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
[চার] এ সময় সালাত আদায় করার নিষেধাজ্ঞা শুধু সূর্য উদয় ও অস্তের সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এর আগে ও পরে সালাত আদায় করা বৈধ। সুতরাং, সূর্যাস্তের পরে সালাত আদায় করা যাবে। যেমনিভাবে সূর্য উদিত হওয়ার আগেও সালাত আদায় করতে চাইলে করতে পারবে।
[পাঁচ] যে ইচ্ছাকৃত সালাতকে পরিত্যাগ করে সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্তের সময় আদায় করবে সে নিষিদ্ধ বা হারাম কাজ করলো। কিন্তু অনিচ্ছাকৃত কেউ ফরয সালাত আদায় করতে বাধ্য হয়ে গেলে তিনি এ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হবেন না।
[ছয়] সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সালাত আদায় না করার নিষেধাজ্ঞার কারণও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য হাদীসে বর্ণনা করেছেন। কারণ এ সময় সূর্য পূজারীরা সূর্য পূজা করতো এবং সূর্য পূজারীদের অংশগ্রহণ অথবা এই পূজা গ্রহণ করার জন্য শয়তান সূর্যের সামনে তার শিং খাড়া করে দাঁড়িয়ে যেত।
[সাত] এ নিষেধাজ্ঞা ফরয ও নফল দুই সালাতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কেবল ঐ ব্যক্তি ছাড়া যে ঘুমন্ত ছিলো অথবা সালাত আদায়ের কথা সম্পূর্ণরূপে ভুলে গিয়েছিলো৷ এমতাবস্থায় সে ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া অথবা সালাত সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সাথে সাথে সালাত আদায় করবে যদিও তা সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় হয়ে থাকে।
— স্বর্ণালি সনদে বর্ণিত চল্লিশ হাদীস, তৃতীয় হাদীস; ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ; মাকতাবাত আল মুফলিহুন
অপর বর্ণনায় এসেছে, তোমরা সালাত আদায় করার জন্য সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের অপেক্ষা করো না।
হাদীসের তাখরীজ: সহীহ বুখারী, ৫৮৫; সহীহ মুসলিম, ৮২৮; মুয়াত্তা মালিক, ৪৯; সুনান নাসায়ী, ৫৬৩
হাদীসের শিক্ষাসমূহ :
[এক] সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্তের সময় ফরয সালাত আদায়ের জন্য অপেক্ষা করবে না।
[দুই] সালাতকে ইচ্ছাকৃত ওয়াক্ত থেকে পিছিয়ে সূর্যাস্ত অথবা সূর্যোদয়ের সময়ে নিয়ে যেতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন।
[তিন] সুর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় নিষিদ্ধ কাজ শুধু সালাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সালাত ভিন্ন অন্য কোনো কাজ বা অন্য 'ইবাদাত পালন করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
[চার] এ সময় সালাত আদায় করার নিষেধাজ্ঞা শুধু সূর্য উদয় ও অস্তের সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এর আগে ও পরে সালাত আদায় করা বৈধ। সুতরাং, সূর্যাস্তের পরে সালাত আদায় করা যাবে। যেমনিভাবে সূর্য উদিত হওয়ার আগেও সালাত আদায় করতে চাইলে করতে পারবে।
[পাঁচ] যে ইচ্ছাকৃত সালাতকে পরিত্যাগ করে সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্তের সময় আদায় করবে সে নিষিদ্ধ বা হারাম কাজ করলো। কিন্তু অনিচ্ছাকৃত কেউ ফরয সালাত আদায় করতে বাধ্য হয়ে গেলে তিনি এ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হবেন না।
[ছয়] সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সালাত আদায় না করার নিষেধাজ্ঞার কারণও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য হাদীসে বর্ণনা করেছেন। কারণ এ সময় সূর্য পূজারীরা সূর্য পূজা করতো এবং সূর্য পূজারীদের অংশগ্রহণ অথবা এই পূজা গ্রহণ করার জন্য শয়তান সূর্যের সামনে তার শিং খাড়া করে দাঁড়িয়ে যেত।
[সাত] এ নিষেধাজ্ঞা ফরয ও নফল দুই সালাতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কেবল ঐ ব্যক্তি ছাড়া যে ঘুমন্ত ছিলো অথবা সালাত আদায়ের কথা সম্পূর্ণরূপে ভুলে গিয়েছিলো৷ এমতাবস্থায় সে ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া অথবা সালাত সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সাথে সাথে সালাত আদায় করবে যদিও তা সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় হয়ে থাকে।
— স্বর্ণালি সনদে বর্ণিত চল্লিশ হাদীস, তৃতীয় হাদীস; ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ; মাকতাবাত আল মুফলিহুন
Last edited: