‘ত্বাগূত’ অর্থ- সীমালংঘনকারী, বিপদগামী, আল্লাহদ্রোহী, মানবরচিত আইনের প্রতিনিধিত্বকারী, অবাধ্য, পথভ্রষ্ট, শয়তান, মূর্তি, দেবতা (তাফসীরে কুরতুবী, ১০ম খণ্ড, পৃ. ১০৩)।
আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা ফায়ছালাই হল চূড়ান্ত ফায়ছালা। তাই কেউ যদি আল্লাহর আইন ও বিধান ব্যতীত মানব রচিত কোন মতবাদ ও দর্শনের অনুসরণ করা যাবে না। কারণ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদত্ত বিধানের অনুসরণ না করে মানব রচিত বা শয়তান প্রদত্ত আইনের অনুসরণ করাই হল ‘ত্বাগূত’ (ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াক্কিঈন, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫০)।
আর এই ত্বাগূতকে বর্জন করার জন্যই আল্লাহ প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক জনপদে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন (সূরা আন-নাহল : ৩৬)।
ত্বাগূতের নিকট ফায়ছালা নেয়ার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘(হে নবী) আপনি বলুন! আমি কি তোমাদেরকে আল্লাহ্র নিকট পরিণতির বিচারে এর চেয়ে মন্দ কিছুর সংবাদ দিব? যাকে আল্লাহ লা‘নত দিয়েছেন এবং যার উপর তিনি ক্রোধান্বিত হয়েছেন? আর যাদের মধ্যে থেকে বাঁদর ও শূকর বানিয়েছেন এবং তারা ত্বাগূতের উপাসনা করেছে। তারাই অবস্থানের দিক দিয়ে মন্দ এবং সোজা পথ থেকে সর্বাধিক বিচ্যুত’ (সূরা আল-মায়েদাহ : ৬০)।
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,
‘যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের বন্ধু, তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর যারা কুফরী করে, তাদের অভিভাবক হল ত্বাগূত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারে নিয়ে যায়। তারা আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৫৭)।
আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা ফায়ছালাই হল চূড়ান্ত ফায়ছালা। তাই কেউ যদি আল্লাহর আইন ও বিধান ব্যতীত মানব রচিত কোন মতবাদ ও দর্শনের অনুসরণ করা যাবে না। কারণ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদত্ত বিধানের অনুসরণ না করে মানব রচিত বা শয়তান প্রদত্ত আইনের অনুসরণ করাই হল ‘ত্বাগূত’ (ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াক্কিঈন, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫০)।
আর এই ত্বাগূতকে বর্জন করার জন্যই আল্লাহ প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক জনপদে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন (সূরা আন-নাহল : ৩৬)।
ত্বাগূতের নিকট ফায়ছালা নেয়ার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘(হে নবী) আপনি বলুন! আমি কি তোমাদেরকে আল্লাহ্র নিকট পরিণতির বিচারে এর চেয়ে মন্দ কিছুর সংবাদ দিব? যাকে আল্লাহ লা‘নত দিয়েছেন এবং যার উপর তিনি ক্রোধান্বিত হয়েছেন? আর যাদের মধ্যে থেকে বাঁদর ও শূকর বানিয়েছেন এবং তারা ত্বাগূতের উপাসনা করেছে। তারাই অবস্থানের দিক দিয়ে মন্দ এবং সোজা পথ থেকে সর্বাধিক বিচ্যুত’ (সূরা আল-মায়েদাহ : ৬০)।
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,
اَللّٰہُ وَلِیُّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا یُخۡرِجُہُمۡ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَی النُّوۡرِ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَوۡلِیٰٓـُٔہُمُ الطَّاغُوۡتُ یُخۡرِجُوۡنَہُمۡ مِّنَ النُّوۡرِ اِلَی الظُّلُمٰتِ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ.
‘যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের বন্ধু, তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর যারা কুফরী করে, তাদের অভিভাবক হল ত্বাগূত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারে নিয়ে যায়। তারা আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৫৭)।
সূত্র: আল-ইখলাছ।
Last edited: