‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

সূরা আল-জ্বিন: ৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যা কী? এ আয়াত থেকে কী জানা গেল বা কী প্রমাণিত হলো?

মহান আল্লাহ বলেন:

وَأَنَّهُۥ كَانَ رِجَالٞ مِّنَ ٱلۡإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٖ مِّنَ ٱلۡجِنِّ فَزَادُوهُمۡ رَهَقٗا ٦ [الجن: ٦]​

‘‘মানুষের মধ্য থেকে কতিপয় লোক জ্বিন সম্প্রদায়ের মধ্যস্থিত কিছু জ্বিনের আশ্রয় নিতো। ফলে ঐ মানুষগুলো জ্বিনদের মান মর্যাদা আত্মন্তরিতা বাড়িয়ে দিতো’’। (সূরা আল-জ্বিন:৬)

এ আয়াতের ব্যাখ্যা কী? এ আয়াত থেকে কী জানা গেল বা কী প্রমাণিত হলো?

উত্তর: জাহেলীযুগের আরব ব্যক্তি জন-মানবহীন কোনো উপত্যকায় গিয়ে বা অপরাহ্নে অবস্থান করার সময় ভয় পেত এবং বলত যে; এ উপত্যকায় যারা আছে আমি তাদের নেতার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। অর্থাৎ জ্বিনদের নেতা। আর জ্বিনেরা যখন দেখলো যে, মানুষ তাদেরকে ভয় করে এব তাদের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তখন তাদের মধ্যে আত্মভরিতা অহংকার ও প্রতাপ-দাপট বৃদ্ধি পেল, আর তাদের ব্যাপারে মানুষের ভয়-ভীতি এবং আতংক বৃদ্ধি পেল।

এ আয়াত হতে জানা গেল যে; রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থাপিত দীনে হক জেনে-বুঝে গ্রহণকারী ঈমানদার জ্বিন সম্প্রদায় জাহেলী (বেদীন) অবস্থায় যেসব পাপাচারে লিপ্ত হত কিংবা শির্ক করত এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর আশ্রয় সাহায্য প্রার্থনা করত, তারাই মহান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর আশ্রয় ও সাহায্য প্রার্থনা করত, এখানে মহান আল্লাহ সে কথাই বিবৃত করেছেন[1]


[1] আল-জামে আল-ফরিদ, পৃষ্ঠা:৬২ । ইবনে কাসেমের হাশিয়াতু কিতাব আত-তাওহীদ, পৃষ্ঠা: ১১৩।

 

Share this page