আমাদের অনেকেই আজ পর্যন্ত সুবহে সাদিক দেখতে কেমন? কিভাবে বুঝবো? জানে না । যা আমাদের সকলের জানা উচিৎ। তার জন্য আমাদের সুবহে সাদিক ও সুবহে কাযিব(মিথ্যা ভোর) কথাটি ভালো করে মস্তিষ্কের মধ্যে গেঁথে নিতে হবে।
সুবহে সাদিক ও সুবহে কাজিব (মিথ্যা ভোর) এর মধ্যে পার্থক্য বুঝা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।সুবহে কাজিব হলো সুবহে সাদিক হওয়ার আগে পূর্বাকাশে দেখা যাওয়া আলোর রেখা।
‘আবদুল্লাহ ইব্নু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ বিলালের আযান যেন তোমাদের কাউকে সাহ্রী খাওয়া হতে বিরত না রাখে। কেননা, সে রাত থাকতে আযান দেয়- যেন তোমাদের মধ্যে যারা তাহাজ্জুদের সালাতে রত তারা ফিরে যায় আর যারা ঘুমন্ত তাদেরকে জাগিয়ে দেয়।
অতঃপর তিনি বললেনঃ ফজর বা সুবহে সাদিক বলা যায় না– তিনি একবার আঙ্গুল উপরের দিকে উঠিয়ে নীচের দিকে নামিয়ে ইঙ্গিত করে বললেন, যতক্ষণ না এরূপ হয়ে যায়। বর্ণনাকারী যুহাইর (রহঃ) তাঁর শাহাদাত আঙ্গুলদ্বয় একটি অপরটির উপর রাখার পর তাঁর ডানে ও বামে প্রসারিত করে দেখালেন।
পূর্ব দিকে প্রথমে খাড়া আলোক-রেখা দেখা যায় এই আলোক রেখা প্রকৃত ফজর নয়। পূর্ব দিকে আড়াআড়িভাবে বিস্তৃত আলোক রেখাই প্রকৃত ফজরের সময় ।
পোস্টের সাথে যুক্ত ডান পাশের ছবিটি সুবহে কাজিবের ছবি। আর বাম পাশেরটি সুবহে সাদিকের। সুবহে কাজিব আর সুবহে সাদিকের মধ্যে তিনটি পার্থক্য রয়েছে।
১.সুবহে কাজিবের আলোক রেখা উলম্বভাবে পূর্ব থেকে পশ্চিমের আকাশ বরাবর বিস্তৃত হয়। কিন্তু সুবহে সাদিক এর আলোক রেখা দিগন্ত বরাবর উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত হয়।
২. সুবহে কাজিবের আলোক রেখা কিছুক্ষণ পর মিলিয়ে যায়। কিন্তু সুবহে সাদিকের আলোক রেখা মিলিয়ে না গিয়ে বিস্তৃত হতেই থাকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।
৩. সুবহে কাজিবের আলোক রেখা আর দিগন্তের মধ্যে একটি অন্ধকার ফাঁকা জায়গা থাকে। কিন্তু সুবহে সাদিকের আলোক রেখা ও দিগন্তের মাঝে কোনো অন্ধকার থাকে না।
তবে আজকাল তা খালি চোখে নির্ণয় করা খুবই কঠিন। আজও যে কেউ বিষুবীয় অঞ্চলে এ বাস্তবতাটি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারেন। শর্ত হল, পর্যবেক্ষণের জন্য এমন এলাকা নির্বাচন করতে হবে যেখানে বৈদ্যুতিক আলো নেই এবং এমন সময় পর্যবেক্ষণ করতে হবে যখন দিগন্তে চাঁদের আলো থাকে না, সাথে সাথে দিগন্ত মেঘ, ধোঁয়া, জলীয়বাষ্প ও ধুলোবালি মুক্ত থাকে। এবং পর্যবেক্ষণকারী ও উদয়স্থলের মাঝে কোনো আড়াল থাকে না। আর পর্যবেক্ষণও করতে হবে ধারাবাহিকভাবে, অনেক দিন। কারণ, হঠাৎ করে দেখে সুবহে সাদিক উদয়ের সময়ের ক্ষীণ আলো ধরা যায় না। প্রখর দৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিও তা বুঝতে পারে সুবহে সাদিকের উদয় বারবার দেখে অভ্যস্ত হলে।
সুবহে সাদিক ও সুবহে কাজিব (মিথ্যা ভোর) এর মধ্যে পার্থক্য বুঝা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।সুবহে কাজিব হলো সুবহে সাদিক হওয়ার আগে পূর্বাকাশে দেখা যাওয়া আলোর রেখা।
‘আবদুল্লাহ ইব্নু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ বিলালের আযান যেন তোমাদের কাউকে সাহ্রী খাওয়া হতে বিরত না রাখে। কেননা, সে রাত থাকতে আযান দেয়- যেন তোমাদের মধ্যে যারা তাহাজ্জুদের সালাতে রত তারা ফিরে যায় আর যারা ঘুমন্ত তাদেরকে জাগিয়ে দেয়।
অতঃপর তিনি বললেনঃ ফজর বা সুবহে সাদিক বলা যায় না– তিনি একবার আঙ্গুল উপরের দিকে উঠিয়ে নীচের দিকে নামিয়ে ইঙ্গিত করে বললেন, যতক্ষণ না এরূপ হয়ে যায়। বর্ণনাকারী যুহাইর (রহঃ) তাঁর শাহাদাত আঙ্গুলদ্বয় একটি অপরটির উপর রাখার পর তাঁর ডানে ও বামে প্রসারিত করে দেখালেন।
পূর্ব দিকে প্রথমে খাড়া আলোক-রেখা দেখা যায় এই আলোক রেখা প্রকৃত ফজর নয়। পূর্ব দিকে আড়াআড়িভাবে বিস্তৃত আলোক রেখাই প্রকৃত ফজরের সময় ।
পোস্টের সাথে যুক্ত ডান পাশের ছবিটি সুবহে কাজিবের ছবি। আর বাম পাশেরটি সুবহে সাদিকের। সুবহে কাজিব আর সুবহে সাদিকের মধ্যে তিনটি পার্থক্য রয়েছে।
১.সুবহে কাজিবের আলোক রেখা উলম্বভাবে পূর্ব থেকে পশ্চিমের আকাশ বরাবর বিস্তৃত হয়। কিন্তু সুবহে সাদিক এর আলোক রেখা দিগন্ত বরাবর উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত হয়।
২. সুবহে কাজিবের আলোক রেখা কিছুক্ষণ পর মিলিয়ে যায়। কিন্তু সুবহে সাদিকের আলোক রেখা মিলিয়ে না গিয়ে বিস্তৃত হতেই থাকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।
৩. সুবহে কাজিবের আলোক রেখা আর দিগন্তের মধ্যে একটি অন্ধকার ফাঁকা জায়গা থাকে। কিন্তু সুবহে সাদিকের আলোক রেখা ও দিগন্তের মাঝে কোনো অন্ধকার থাকে না।
তবে আজকাল তা খালি চোখে নির্ণয় করা খুবই কঠিন। আজও যে কেউ বিষুবীয় অঞ্চলে এ বাস্তবতাটি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারেন। শর্ত হল, পর্যবেক্ষণের জন্য এমন এলাকা নির্বাচন করতে হবে যেখানে বৈদ্যুতিক আলো নেই এবং এমন সময় পর্যবেক্ষণ করতে হবে যখন দিগন্তে চাঁদের আলো থাকে না, সাথে সাথে দিগন্ত মেঘ, ধোঁয়া, জলীয়বাষ্প ও ধুলোবালি মুক্ত থাকে। এবং পর্যবেক্ষণকারী ও উদয়স্থলের মাঝে কোনো আড়াল থাকে না। আর পর্যবেক্ষণও করতে হবে ধারাবাহিকভাবে, অনেক দিন। কারণ, হঠাৎ করে দেখে সুবহে সাদিক উদয়ের সময়ের ক্ষীণ আলো ধরা যায় না। প্রখর দৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিও তা বুঝতে পারে সুবহে সাদিকের উদয় বারবার দেখে অভ্যস্ত হলে।
Attachments