সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সিয়াম সিয়াম শব্দের তাৎপর্য

Abu Abdullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Threads
745
Comments
997
Solutions
19
Reactions
10,179
Credits
6,268
অভিধানে صيام (সিয়াম)-এর সাধারণ অর্থ হল, বিরত থাকা। আর এ জন্যই কথা বলা থেকে যে বিরত থাকে -অর্থাৎ চুপ ও নিস্তব্ধ থাকে তাকে صائم (সায়েম) বলা হয়। মহান আল্লাহ মারয়্যাম (আঃ)-এর ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন,

(فَإِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ أَحَداً فَقُولِي إِنِّي نَذَرْتُ لِلرَّحْمَنِ صَوْماً فَلَنْ أُكَلِّمَ الْيَوْمَ إِنْسِيّاً)​

অর্থাৎ, (সন্তান ভূমিষ্ঠ করার পর) যদি তুমি কাউকে (কোন প্রশ্ন বা কৈফিয়ত করতে) দেখ, তবে তুমি বল, ‘আমি দয়াময় (আল্লাহর) জন্য (কথা বলা থেকে) বিরত থাকার নযর মেনেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথাই বলব না।’ (কুরআনুল কারীম ১৯/২৬)

বলা বাহুল্য, এখানে ‘সওম’-এর অর্থ হল কথা বলা থেকে বিরত থাকা।

শরীয়তের পরিভাষায় ‘সওম’ বা ‘সিয়াম’-এর অর্থ হল, ফজর উদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী-সঙ্গম ইত্যাদি যাবতীয় রোযা নষ্টকারী কর্ম হতে বিরত থাকার মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করা।[1]

অবশ্য এই সংজ্ঞায় অসারতা ও অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকাও শামিল রয়েছে। কারণ, প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই সিয়াম নয়; বরং অসারতা ও অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকার নামই হল (আসল) সিয়াম। সুতরাং যদি তোমাকে কেউ গালাগালি করে অথবা তোমার প্রতি মূর্খতা প্রদর্শন করে, তাহলে তুমি (তার প্রতিশোধ না নিয়ে) তাকে বল যে, ‘আমি রোযা রেখেছি, আমি রোযা রেখেছি।’’[2]

‘রোযা’ আভিধানিক অর্থে সিয়ামের সমার্থবোধক না হলেও পারিভাষিক অর্থে ফারসী, উর্দু, হিন্দী ও বাংলা ভাষায় সিয়ামের জায়গায় ‘রোযা’ শব্দটি ব্যবহার হয় বলেই সাধারণ জনসাধারণের বুঝার সুবিধার্থে আমিও এই পুস্তিকায় রোযা শব্দই প্রয়োগ করেছি। আর এ ব্যবহারে শরীয়তগত কোন ক্ষতি নেই।


[1] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৩১০, তাযঃ ৯পৃঃ)
[2] (হাকেম, মুস্তাদ্রাক, বাইহাকী, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ, ইবনে হিববান, সহীহ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৩৭৬নং)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
COMMENTS ARE BELOW
Top