If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
প্রথমে সালাম দেওয়া একটি সুন্নাতী আমল আর জবাব দেওয়া ওয়াজিব। এটি ইসলামী সম্ভাষণের একটি আদর্শ নমুনা। এর মাধ্যমে একে অপরের জন্য শান্তি ও আল্লাহর রহমত কামনা করে, আল্লাহর কাছে দুআ করে। এর মাধ্যমে মাগফিরাত অর্জন হয়। এর মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা ও হৃদ্যতা বৃদ্ধি পায়।[1] যে-ব্যক্তি সালাম প্রদানে কৃপণতা করে, সে প্রকৃত কৃপণ।[2] এ কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি সালাম দিতে বলেছেন এবং সালামের প্রচলনকে ছড়িয়ে দিতে আদেশ দিয়েছেন।
আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতের প্রাসাদগুলো এমন হবে যে, এর ভিতর থেকে বাইরের সবকিছু দেখা যাবে এবং বাইরে থেকে ভিতরের সবকিছু দেখা যাবে। এক বেদুঈন উঠে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করে, হে আল্লাহর রাসূল! এসব প্রাসাদ কাদের জন্য? তিনি বললেন, তাদের জন্য যারা উত্তম ও সুমধুর কথা বলে, ক্ষুধার্তকে খাবার দেয়, প্রায়ই রোযা রাখে, সালাম প্রচার করে এবং লোকেরা রাতে ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় জাগ্রত থেকে আল্লাহ তাআলার জন্য সালাত আদায় করে।[3]
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সালাম’ আল্লাহর নামসমূহের মধ্যকার একটি নাম। তিনি তা পৃথিবীতে রেখেছেন। অতএব, তোমরা পরস্পরের মধ্যে তার ব্যাপক প্রসার করো। কোনো ব্যক্তি কোনো লোকসমষ্টিকে সালাম দিলে এবং তারা তার জবাব দিলে তাদের চেয়ে তার একটি মর্যাদা বেশে হয়। কেননা সে তাদের ‘আস-সালাম’-কে (শান্তিদাতাকে) স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। যদি তারা তার সালামের উত্তর নাও দেয় তবে এমন একজন তার উত্তর দেন যিনি তার বা তাদের চেয়ে অধিক উত্তম ও পবিত্র।[4]
সালাম অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ও উত্তম সম্ভাষণ হওয়ার কারণে ইয়াহুদীরা হিংসা করে। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইয়াহুদীরা তোমাদের কোনো ব্যাপারে এত বেশি হিংসা করে না, যতটা তারা তোমাদের সালাম ও আমীনের ব্যাপারে হিংসা করে।[5]
[1] সহীহ মুসলিম, ৫৪; সুনানুত তিরমিযী, ২৬৮৮; সুনানু আবী দাউদ, ৫১৯৩
[2] সহীহুল জামি, ১৫১৯
[3] সুনানুত তিরমিযী, ২৫২৭; সহীহ ইবন হিব্বান, ৫০৯; আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন
[4] আদাবুল মুফরাদ, ১০৩৯; শুআবুল ঈমান, ৮৪০৩; সিলসিলাতুস সহীহাহ, ১৬০৭; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
[5] সুনান ইবন মাজাহ, ৮৫৬; সহীহুত তারগীব, ৫১৫; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতের প্রাসাদগুলো এমন হবে যে, এর ভিতর থেকে বাইরের সবকিছু দেখা যাবে এবং বাইরে থেকে ভিতরের সবকিছু দেখা যাবে। এক বেদুঈন উঠে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করে, হে আল্লাহর রাসূল! এসব প্রাসাদ কাদের জন্য? তিনি বললেন, তাদের জন্য যারা উত্তম ও সুমধুর কথা বলে, ক্ষুধার্তকে খাবার দেয়, প্রায়ই রোযা রাখে, সালাম প্রচার করে এবং লোকেরা রাতে ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় জাগ্রত থেকে আল্লাহ তাআলার জন্য সালাত আদায় করে।[3]
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সালাম’ আল্লাহর নামসমূহের মধ্যকার একটি নাম। তিনি তা পৃথিবীতে রেখেছেন। অতএব, তোমরা পরস্পরের মধ্যে তার ব্যাপক প্রসার করো। কোনো ব্যক্তি কোনো লোকসমষ্টিকে সালাম দিলে এবং তারা তার জবাব দিলে তাদের চেয়ে তার একটি মর্যাদা বেশে হয়। কেননা সে তাদের ‘আস-সালাম’-কে (শান্তিদাতাকে) স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। যদি তারা তার সালামের উত্তর নাও দেয় তবে এমন একজন তার উত্তর দেন যিনি তার বা তাদের চেয়ে অধিক উত্তম ও পবিত্র।[4]
সালাম অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ও উত্তম সম্ভাষণ হওয়ার কারণে ইয়াহুদীরা হিংসা করে। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইয়াহুদীরা তোমাদের কোনো ব্যাপারে এত বেশি হিংসা করে না, যতটা তারা তোমাদের সালাম ও আমীনের ব্যাপারে হিংসা করে।[5]
[1] সহীহ মুসলিম, ৫৪; সুনানুত তিরমিযী, ২৬৮৮; সুনানু আবী দাউদ, ৫১৯৩
[2] সহীহুল জামি, ১৫১৯
[3] সুনানুত তিরমিযী, ২৫২৭; সহীহ ইবন হিব্বান, ৫০৯; আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন
[4] আদাবুল মুফরাদ, ১০৩৯; শুআবুল ঈমান, ৮৪০৩; সিলসিলাতুস সহীহাহ, ১৬০৭; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
[5] সুনান ইবন মাজাহ, ৮৫৬; সহীহুত তারগীব, ৫১৫; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন