If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
Q&A Master
Salafi User
LV
17
- Awards
- 33
- Credit
- 16,583
- Thread starter
- #1
সালাফে সালেহীনের নীতিই হচ্ছে অধিক নিরাপদ, অধিক জ্ঞানসমৃদ্ধ ও অধিক প্রজ্ঞাপূর্ণ আর এটা জায়েয হতে পারে না যে, খালাফ(১) বা পরবর্তীরা সালাফ(২) বা পূর্ববর্তীদের থেকে বেশি অবগত, যেমনটি বলে থাকে পূর্ববর্তীদের মর্যাদা সম্পর্কে অনবহিত কোনো কোনো নির্বোধ।(৩) বরং সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং তার প্রতি বিশ্বাসীদের সম্পর্কেও প্রকৃত অবগতি অর্জন করেনি; যখন সে বলে, পূর্ববর্তীদের পথ ও পদ্ধতি অধিক নিরাপদ, আর পরবর্তীদের পদ্ধতি অধিকতর বিজ্ঞ ও সুদৃঢ়।(৪)
১. খালাফ বলে সাধারণত আপেক্ষিকভাবে পরে আসা লোকদেরকে বুঝানো হয়। বিশেষ অর্থে কারও কারও মতে, যারা ইসলামের প্রথম তিন প্রজন্মের পরে এসেছে তাদেরকে বুঝানো হবে। আবার কখনও কখনও পরবর্তী যারাই প্রথম তিন প্রজন্মের মতামতের বিরোধিতা করবে তাদেরকে বুঝানো হয়ে থাকে।
২. সালাফ বলে সাধারণত আপেক্ষিকভাবে পূর্বসূরীদের বুঝানো হয়ে থাকে। বিশেষ অর্থে, প্রথম তিন প্রজন্মের লোকদেরকে সাধারণত বুঝানো হবে। অর্থাৎ সাহাবীগণের যুগ, তাবে'য়ীদের যুগ ও তাবে তাবেয়ীনদের যুগ। আবার কারও কারও মতে এ শব্দটি কেবল সাহাবীগণের জন্য প্রযোজ্য। আবার গাযালীর মতে, কেবল সাহাবী ও তাবেয়ীদের জন্য প্রযোজ্য। তবে প্রথম মতটি বেশি প্রচলিত আবার কখনও কখনও যারাই সাহাবায়ে কিরামের মানহাজ বা পথ ও পন্থা অনুযায়ী চলবে তাদেরকে সালাফ বা সালাফী বলা হবে, যদিও তারা অনেক পরে আগমন করুন না কেন।
৩. আশায়েরা ও মাতুরিদী সম্প্রদায় যখন দেখলো যে, আল্লাহ তা'আলার নাম, গুণ ও কর্ম সংক্রান্ত সালাফে সালেহীনের বক্তব্য তাদের নেতৃবর্গের বক্তব্যের বিপরীত, তখন তারা বলতে লাগলো, সালাফ বা পূর্ববর্তীদের বক্তব্য ছিল অধিক নিরাপত্তা বলয়ে, কিন্তু খালাফ বা পরবর্তীদের বক্তব্য হচ্ছে অধিক জ্ঞানমার্গের। এখানে শাইখুল ইসলাম বিভিন্নভাবে তাদের এ বক্তব্য খণ্ডন করছেন।
৪. এ বক্তব্যটি সাধারণভাবে কালামশাস্ত্রবিদদের মধ্যে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আশআরী, মাতুরিদীদের মধ্যে এটির প্রচলন বেশি। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের ইমামগণ যুগ যুগ ধরে এ মিথ্যা বক্তব্যের খণ্ডনে বক্তব্য দিয়েছেন এবং যারা এ সর্বনাশা মিথ্যা বক্তব্যটি বলেছে তাদের অজ্ঞতা ও ভ্রান্তি তুলে ধরেছেন। এ বক্তব্যটি আমরা দেখতে পাই ইবন হাজার এর নিকট, ফাতহুল বারী (১৩/৩৫২); অনুরূপ যাবীদীর নিকট, ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকীন (২/১১২); বাইজুরীর নিকট, শারহু জাওহারাতিত তাওহীদ, পৃ. ৯১। বস্তুত আশ'আরী ও মাতুরিদীরা যখন দেখল যে, তাদের বক্তব্য সালাফে সালেহীনের নীতির বিরুদ্ধে যাচ্ছে তখনই তারা এ মিথ্যা বক্তব্যটি আবিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের বিনষ্ট পণ্য প্রচার-প্রসারে নেমে পড়ে।
১. খালাফ বলে সাধারণত আপেক্ষিকভাবে পরে আসা লোকদেরকে বুঝানো হয়। বিশেষ অর্থে কারও কারও মতে, যারা ইসলামের প্রথম তিন প্রজন্মের পরে এসেছে তাদেরকে বুঝানো হবে। আবার কখনও কখনও পরবর্তী যারাই প্রথম তিন প্রজন্মের মতামতের বিরোধিতা করবে তাদেরকে বুঝানো হয়ে থাকে।
২. সালাফ বলে সাধারণত আপেক্ষিকভাবে পূর্বসূরীদের বুঝানো হয়ে থাকে। বিশেষ অর্থে, প্রথম তিন প্রজন্মের লোকদেরকে সাধারণত বুঝানো হবে। অর্থাৎ সাহাবীগণের যুগ, তাবে'য়ীদের যুগ ও তাবে তাবেয়ীনদের যুগ। আবার কারও কারও মতে এ শব্দটি কেবল সাহাবীগণের জন্য প্রযোজ্য। আবার গাযালীর মতে, কেবল সাহাবী ও তাবেয়ীদের জন্য প্রযোজ্য। তবে প্রথম মতটি বেশি প্রচলিত আবার কখনও কখনও যারাই সাহাবায়ে কিরামের মানহাজ বা পথ ও পন্থা অনুযায়ী চলবে তাদেরকে সালাফ বা সালাফী বলা হবে, যদিও তারা অনেক পরে আগমন করুন না কেন।
৩. আশায়েরা ও মাতুরিদী সম্প্রদায় যখন দেখলো যে, আল্লাহ তা'আলার নাম, গুণ ও কর্ম সংক্রান্ত সালাফে সালেহীনের বক্তব্য তাদের নেতৃবর্গের বক্তব্যের বিপরীত, তখন তারা বলতে লাগলো, সালাফ বা পূর্ববর্তীদের বক্তব্য ছিল অধিক নিরাপত্তা বলয়ে, কিন্তু খালাফ বা পরবর্তীদের বক্তব্য হচ্ছে অধিক জ্ঞানমার্গের। এখানে শাইখুল ইসলাম বিভিন্নভাবে তাদের এ বক্তব্য খণ্ডন করছেন।
৪. এ বক্তব্যটি সাধারণভাবে কালামশাস্ত্রবিদদের মধ্যে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আশআরী, মাতুরিদীদের মধ্যে এটির প্রচলন বেশি। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের ইমামগণ যুগ যুগ ধরে এ মিথ্যা বক্তব্যের খণ্ডনে বক্তব্য দিয়েছেন এবং যারা এ সর্বনাশা মিথ্যা বক্তব্যটি বলেছে তাদের অজ্ঞতা ও ভ্রান্তি তুলে ধরেছেন। এ বক্তব্যটি আমরা দেখতে পাই ইবন হাজার এর নিকট, ফাতহুল বারী (১৩/৩৫২); অনুরূপ যাবীদীর নিকট, ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকীন (২/১১২); বাইজুরীর নিকট, শারহু জাওহারাতিত তাওহীদ, পৃ. ৯১। বস্তুত আশ'আরী ও মাতুরিদীরা যখন দেখল যে, তাদের বক্তব্য সালাফে সালেহীনের নীতির বিরুদ্ধে যাচ্ছে তখনই তারা এ মিথ্যা বক্তব্যটি আবিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের বিনষ্ট পণ্য প্রচার-প্রসারে নেমে পড়ে।
আরও জানতে পড়ুন - আল ফাতওয়া আলহামাউইয়্যা আল কুবরা