উত্তর : একজন মুসাফির যতক্ষণ পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বা সাধারণভাবে বসবাস শুরু না করবে, ততক্ষণ সে ক্বছর করতে পারবে। আর এটাকেই ইবনু তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) এবং ইবনু উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তাদের দলীল হচ্ছে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصَّلٰوۃِ ‘আর যখন তোমরা যমীনে সফর করবে, তখন তোমাদের ছালাত ক্বছর করাতে কোন দোষ নেই (সূরা আন-নিসা : ১০১)। ইবনু উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এটা আম তথা প্রত্যেক ভ্রমণকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর এটা জানা কথা যে, যমীনে ভ্রমণ করতে গেলে কখনো কখনো কিছু সময়কালের প্রয়োজন হয় (শারহুল মুমতিঈ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৫৩৩)।
আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমরা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মদীনা ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি দু’ রাক‘আত, দু’ রাক‘আত ছালাত আদায় করেছেন। রাবী বলেন, আমি আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে বললাম, আপনারা (হজ্জের সফরে) মক্কায় কত দিন অবস্থান করেছিলেন? তিনি বললেন, সেখানে আমরা দশ দিন অবস্থান করেছিলাম (ছহীহ বুখারী, হা/১০৮১)।
যারা সফরে ক্বছর করার জন্য দিনকাল নির্দিষ্ট করে দেয় তাদেরকে রদ করতে গিয়ে ইবনু তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ক্বছর করার জন্য অবস্থানের দিনকাল নির্দিষ্ট করে দেয়, হতে পারে তিনদিন, চার দিন, দশ দিন, বারো দিন, বা পনের দিন। তাহলে সে যেন এমন একটি কথা বলল, যার কোন দলীল নেই (মাজমূঊ ফাতাওয়া, ২৪তম খণ্ড, পৃ. ১৩৭)।
--- মাসিক আল ইখলাস, ডিসেম্বর ২০২০
আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমরা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মদীনা ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি দু’ রাক‘আত, দু’ রাক‘আত ছালাত আদায় করেছেন। রাবী বলেন, আমি আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে বললাম, আপনারা (হজ্জের সফরে) মক্কায় কত দিন অবস্থান করেছিলেন? তিনি বললেন, সেখানে আমরা দশ দিন অবস্থান করেছিলাম (ছহীহ বুখারী, হা/১০৮১)।
যারা সফরে ক্বছর করার জন্য দিনকাল নির্দিষ্ট করে দেয় তাদেরকে রদ করতে গিয়ে ইবনু তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ক্বছর করার জন্য অবস্থানের দিনকাল নির্দিষ্ট করে দেয়, হতে পারে তিনদিন, চার দিন, দশ দিন, বারো দিন, বা পনের দিন। তাহলে সে যেন এমন একটি কথা বলল, যার কোন দলীল নেই (মাজমূঊ ফাতাওয়া, ২৪তম খণ্ড, পৃ. ১৩৭)।
--- মাসিক আল ইখলাস, ডিসেম্বর ২০২০