রোযা অবস্থায় সুরমা লাগানো এবং চোখে ও কানে ওষুধ ব্যবহার বৈধ। কিন্তু ব্যবহার করার পর যদি গলায় সুরমা বা ওষুধের স্বাদ অনুভূত হয়, তাহলে (কিছু উলামার নিকট রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং সে রোযা) কাযা রেখে নেওয়াই হল পূর্বসতর্কতামূলক কর্ম।[1] কারণ, চোখ ও কান খাদ্য ও পানীয় পেটে যাওয়ার পথ নয় এবং সুরমা বা ওষুধ লাগানোকে খাওয়া বা পান করাও বলা যায় না; না সাধারণ প্রচলিত কথায় এবং না-ই শরয়ী পরিভাষায়। অবশ্য রোযাদার যদি চোখে বা কানে ওষুধ দিনে ব্যবহার না করে রাতে করে, তাহলে সেটাই হবে পূর্বসাবধানতামূলক কর্ম।[2]
আনাস (রাঃ) রোযা থাকা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন।[3]
পক্ষান্তরে রোযা থাকা অবস্থায় নাকে ওষুধ ব্যবহার বৈধ নয়। কারণ, নাকের মাধ্যমে পানাহার পেটে পৌঁছে থাকে। আর এ জন্যই মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘(ওযূ করার সময়) তুমি নাকে খুব অতিরঞ্জিতভাবে পানি টেনে নিও। কিন্তু তোমার রোযা থাকলে নয়।’’[4]
বলা বাহুল্য উক্ত হাদীস এবং অনুরূপ অর্থের অন্যান্য হাদীসের ভিত্তিতেই নাকে ওষুধ ব্যবহার করার পর যদি গলাতে তার স্বাদ অনুভূত হয়, তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে এবং সে রোযা কাযা করতে হবে।[5]
আনাস (রাঃ) রোযা থাকা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন।[3]
পক্ষান্তরে রোযা থাকা অবস্থায় নাকে ওষুধ ব্যবহার বৈধ নয়। কারণ, নাকের মাধ্যমে পানাহার পেটে পৌঁছে থাকে। আর এ জন্যই মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘(ওযূ করার সময়) তুমি নাকে খুব অতিরঞ্জিতভাবে পানি টেনে নিও। কিন্তু তোমার রোযা থাকলে নয়।’’[4]
বলা বাহুল্য উক্ত হাদীস এবং অনুরূপ অর্থের অন্যান্য হাদীসের ভিত্তিতেই নাকে ওষুধ ব্যবহার করার পর যদি গলাতে তার স্বাদ অনুভূত হয়, তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে এবং সে রোযা কাযা করতে হবে।[5]
[1] (ইবনে বায, ফাতাওয়া মুহিম্মাহ, তাতাআল্লাকু বিস্সিয়াম, ইবনে বায ২৮পৃঃ)
[2] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৩৮২, সঊদী স্থায়ী উলামা কমিটি, ফাসিঃ মুসনিদ ৪৪পৃঃ, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১২৯)
[3] (সহীহ আবূ দাঊদ ২০৮২নং)
[4] (আহমাদ, মুসনাদ ৪/৩৩, আবূ দাঊদ ১৪২, তিরমিযী, নাসাঈ, সহীহ ইবনে মাজাহ, আলবানী ৩২৮নং)
[5] (ইবনে বায, ফাতাওয়া মুহিম্মাহ, তাতাআল্লাকু বিস্সিয়াম ২৮পৃঃ)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী