- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 653
- Comments
- 796
- Reactions
- 6,949
- Thread Author
- #1
একজন সাধারণ মুসলিমের জন্য ‘রুখসাত’ খুঁজে বেড়ানো হারাম হওয়ার ব্যাপারে আলিমগণ ইজমা বা ঐকমত্য বর্ণনা করেছেন। যেমন— সে যখনই তার যুগের আলিমদের কোথাও সহজ ফাতওয়া ও ছাড় দেখতে পায় সেটাকেই আমল করতে থাকে। যার মধ্যে এমন ছাড় খোঁজার প্রবণতা রয়েছে, আলিমগণ তার ওপর ‘ফাসিক’ হওয়ার বিধান প্রদান করেছেন। কারণ,
• মুসলিম আলিমগণের কেউই এভাবে সকল ছাড় অনুসরণ করাকে জায়েয বলেননি; কেননা একজন মুজতাহিদ কোনো মাসআলাতে ‘ছাড় নীতি”-র প্রবক্তা হলেও অপর মাসআলাতে তিনি ‘ছাড় দেওয়ার নীতি অবলম্বন করেননি। [১]
• তা ছাড়া এটি হারাম হওয়ার আরও প্রমাণ হচ্ছে, আলিমগণের পদস্থলনগুলোকে অনুসরণ করার ব্যাপারে আসা সাবধানবাণীগুলো। [২]
• অনুরূপভাবে মুকাল্লাফ তথা আদিষ্ট মানুষকে দীনের ব্যাপারে সতর্ক ও সজাগ হতে অনেক নস (কুরআন-হাদীসের ভাষ্য) এসেছে, যেমন— রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর এই হাদীস :
“হালাল স্পষ্ট এবং হারাম স্পষ্ট। এর মধ্যে যা আছে তা হলো সন্দেহযুক্ত, যা অনেকের কাছে অজানা। আর যে এই সন্দেহযুক্ত কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে তার দীন ও সম্মানকে বাঁচিয়ে রাখে।” [৩]
এবং এই হাদীস :
“যে বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়, তা ছেড়ে দিয়ে যাতে সন্দেহের সম্ভাবনা নেই, তা গ্রহণ করো।” [৪]
[১] মাসআলাটি দেখুন : শারহুল কাওকাবিল মুনির (৪/৫৭৭); আল-মাজমু' (১/৯৬); আল-মুসাওয়াদাহ, পৃ. ২১৮; আল-মুওয়াফাকাত (৪/১৪৪, ২৫৯); ফাওয়াতিহুর রাহামুত (২/৪০৬); ইরশাদুল ফুহুল, পৃ. ২৭২; আল-মুস্তাসফা (২/৩৯১); তাইসিরুত তাহরির (৪/২৫৪); আত-তাকলীদ, পৃ. ১৫৪
[২] এ সংক্রান্ত কিছু নস বা ভাষ্য দেখুন: আত-তাকলীদ, পৃ. ১৫৫; আল-মুওয়াফাকাত (৪/১৭০)। যেমন- ইমাম আওযাঈ বলেন, যে লোক আলিমগণের ‘নাওয়াদির' অনুসরণ করবে, সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়। বাইহাকি, সুনানুল কুবরা (১০/৩৫৬), বর্ণনা নং ২০৯১৮; শু'আবুল ঈমান (৩/৩২৪), বর্ণনা নং ১৭৭৮
[৩] বুখারি, আল-জামিউস সহীহ, হা. ৫২; মুসলিম, আস-সহীহ, হা. ১৫৯৯
[৪] তিরমিযি, আল-জামিউ, হা. ২৫১৮, ইমাম তিরমিযি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
— মুসলিম আমজনতার সাথে জড়িত উসূল ও ফিকহের মূলনীতিসমূহ, নবম পরিচ্ছেদ; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স
• মুসলিম আলিমগণের কেউই এভাবে সকল ছাড় অনুসরণ করাকে জায়েয বলেননি; কেননা একজন মুজতাহিদ কোনো মাসআলাতে ‘ছাড় নীতি”-র প্রবক্তা হলেও অপর মাসআলাতে তিনি ‘ছাড় দেওয়ার নীতি অবলম্বন করেননি। [১]
• তা ছাড়া এটি হারাম হওয়ার আরও প্রমাণ হচ্ছে, আলিমগণের পদস্থলনগুলোকে অনুসরণ করার ব্যাপারে আসা সাবধানবাণীগুলো। [২]
• অনুরূপভাবে মুকাল্লাফ তথা আদিষ্ট মানুষকে দীনের ব্যাপারে সতর্ক ও সজাগ হতে অনেক নস (কুরআন-হাদীসের ভাষ্য) এসেছে, যেমন— রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর এই হাদীস :
“হালাল স্পষ্ট এবং হারাম স্পষ্ট। এর মধ্যে যা আছে তা হলো সন্দেহযুক্ত, যা অনেকের কাছে অজানা। আর যে এই সন্দেহযুক্ত কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে তার দীন ও সম্মানকে বাঁচিয়ে রাখে।” [৩]
এবং এই হাদীস :
“যে বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়, তা ছেড়ে দিয়ে যাতে সন্দেহের সম্ভাবনা নেই, তা গ্রহণ করো।” [৪]
[১] মাসআলাটি দেখুন : শারহুল কাওকাবিল মুনির (৪/৫৭৭); আল-মাজমু' (১/৯৬); আল-মুসাওয়াদাহ, পৃ. ২১৮; আল-মুওয়াফাকাত (৪/১৪৪, ২৫৯); ফাওয়াতিহুর রাহামুত (২/৪০৬); ইরশাদুল ফুহুল, পৃ. ২৭২; আল-মুস্তাসফা (২/৩৯১); তাইসিরুত তাহরির (৪/২৫৪); আত-তাকলীদ, পৃ. ১৫৪
[২] এ সংক্রান্ত কিছু নস বা ভাষ্য দেখুন: আত-তাকলীদ, পৃ. ১৫৫; আল-মুওয়াফাকাত (৪/১৭০)। যেমন- ইমাম আওযাঈ বলেন, যে লোক আলিমগণের ‘নাওয়াদির' অনুসরণ করবে, সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়। বাইহাকি, সুনানুল কুবরা (১০/৩৫৬), বর্ণনা নং ২০৯১৮; শু'আবুল ঈমান (৩/৩২৪), বর্ণনা নং ১৭৭৮
[৩] বুখারি, আল-জামিউস সহীহ, হা. ৫২; মুসলিম, আস-সহীহ, হা. ১৫৯৯
[৪] তিরমিযি, আল-জামিউ, হা. ২৫১৮, ইমাম তিরমিযি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
— মুসলিম আমজনতার সাথে জড়িত উসূল ও ফিকহের মূলনীতিসমূহ, নবম পরিচ্ছেদ; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স