রিয়া দু ধরনের হতে পারে।
(ক) মুনাফিকদের রিয়া বা লোকদেখানো ইবাদাত। তারা অন্তরে কুফরী আকীদা পোষণ করতো, আর মানুষকে দেখানোর জন্য বাহ্যিকভাবে আমল করত। তাদের এ রিয়া কুফরী। কারণ তারা আল্লাহ তাআলার উপর ঈমানই আনত না, দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যে বাহ্যিকভাবে কিছু নেক আমল করত। মহান আল্লাহ বলেন,
“আর মানুষের মধ্যে কিছু এমন আছে, যারা বলে, 'আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিনের প্রতি', অথচ তারা মুমিন নয়। তারা আল্লাহকে এবং যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে। অথচ, তারা নিজদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে এবং তারা তা অনুধাবন করে না।” [সূরা ২; আল-বাক্বারাহ ৮-৯]
(খ) মুসলিমদের রিয়া বা লোকদেখানো ইবাদাত। এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে সতর্ক করেছেন। আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন,
“আমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে এলেন, আমরা তখন মাসীহ দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি কি তোমাদের এমন বিষয় অবহিত করব না, যা আমার মতে তোমাদের জন্য মাসীহ দাজ্জালের চেয়েও ভয়ঙ্কর? রাবী বলেন, আমরা বললাম, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, গুপ্ত শিরক। মানুষ সালাত পড়তে দাঁড়ায় এবং লোকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সুন্দরভাবে সালাত পড়ে।” [ইবন মাজাহ: ৪২০৪; আলবানী বলেন, হাদীসটি হাসান]
এ ধরনের রিয়া দ্বারা কুফরী হয় না। তবে ইখলাস বিনষ্ট হওয়ার কারণে আমলটি নষ্ট হয়ে যায়। কোনো নেক আমলের মাধ্যমে দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্য থাকলে তাও গোপনীয় শিরক। আল্লাহ তাআলা বলেন,
“যে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবন ও তার জৌলুস কামনা করে, আমি সেখানে তাদেরকে তাদের আমলের ফল পুরোপুরি দিয়ে দেই এবং সেখানে তাদেরকে কম দেয়া হবে না। এরাই তারা, আখিরাতে যাদের জন্য আগুন ছাড়া আর কিছুই নেই।” [সূরা ১১; হৃদ ১৫-১৬]
আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“লাঞ্ছিত হোক দীনার ও দিরহামের গোলাম এবং চাদর-শালের গোলাম। তাকে দেয়া হলে সন্তুষ্ট হয়, না দেয়া হলে অসন্তুষ্ট হয়।” [সহীহ বুখারী : ২৮৮৬]
একজন মুসলিম একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যেই আমল করবে, এতে যদি দুনিয়ার কিছু আসে তা হবে মহান আল্লাহ প্রদত্ত রিযক। তবে যদি দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যে আমল করে, তা নিন্দনীয় এবং ছোট শিরক।
(ক) মুনাফিকদের রিয়া বা লোকদেখানো ইবাদাত। তারা অন্তরে কুফরী আকীদা পোষণ করতো, আর মানুষকে দেখানোর জন্য বাহ্যিকভাবে আমল করত। তাদের এ রিয়া কুফরী। কারণ তারা আল্লাহ তাআলার উপর ঈমানই আনত না, দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যে বাহ্যিকভাবে কিছু নেক আমল করত। মহান আল্লাহ বলেন,
وَ مِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَ مَا هُمْ بِمُؤْمِنِينَ ) يُخْدِعُونَ اللَّهَ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّا أَنْفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ )
“আর মানুষের মধ্যে কিছু এমন আছে, যারা বলে, 'আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিনের প্রতি', অথচ তারা মুমিন নয়। তারা আল্লাহকে এবং যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে। অথচ, তারা নিজদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে এবং তারা তা অনুধাবন করে না।” [সূরা ২; আল-বাক্বারাহ ৮-৯]
(খ) মুসলিমদের রিয়া বা লোকদেখানো ইবাদাত। এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে সতর্ক করেছেন। আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন,
خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَتَذَاكَرُ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ، فَقَالَ: «أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِمَا هُوَ أَخْوَفُ عَلَيْكُمْ عِنْدِي مِنَ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ؟» قَالَ: قُلْنَا: بَلَى، فَقَالَ: «الشَّرْكُ الْخَفِيُّ، أَنْ يَقُوْمَ الرَّجُلُ يُصَلِّي، فَيُزَيِّنُ صَلَاتَهُ، لِمَا يَرَى مِنْ نَظَرِ رَجُلٍ
“আমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে এলেন, আমরা তখন মাসীহ দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি কি তোমাদের এমন বিষয় অবহিত করব না, যা আমার মতে তোমাদের জন্য মাসীহ দাজ্জালের চেয়েও ভয়ঙ্কর? রাবী বলেন, আমরা বললাম, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, গুপ্ত শিরক। মানুষ সালাত পড়তে দাঁড়ায় এবং লোকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সুন্দরভাবে সালাত পড়ে।” [ইবন মাজাহ: ৪২০৪; আলবানী বলেন, হাদীসটি হাসান]
এ ধরনের রিয়া দ্বারা কুফরী হয় না। তবে ইখলাস বিনষ্ট হওয়ার কারণে আমলটি নষ্ট হয়ে যায়। কোনো নেক আমলের মাধ্যমে দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্য থাকলে তাও গোপনীয় শিরক। আল্লাহ তাআলা বলেন,
مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَيَوةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَقِ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيْهَا وَهُمْ فِيْهَا لَا يُبْخَسُونَ ) أُولَبِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الْآخِرَةِ إِلَّا النَّارُ )
“যে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবন ও তার জৌলুস কামনা করে, আমি সেখানে তাদেরকে তাদের আমলের ফল পুরোপুরি দিয়ে দেই এবং সেখানে তাদেরকে কম দেয়া হবে না। এরাই তারা, আখিরাতে যাদের জন্য আগুন ছাড়া আর কিছুই নেই।” [সূরা ১১; হৃদ ১৫-১৬]
আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
تَعِسَ عَبْدُ الدَّيْنَارِ، وَالدَّرْهَمِ، وَالقَطِيفَةِ، وَالْحَمِيْصَةِ، إِنْ أُعْطِيَ رَضِيَ، وَإِنْ لَمْ يُعْطَ لَمْ يَرْضَ
“লাঞ্ছিত হোক দীনার ও দিরহামের গোলাম এবং চাদর-শালের গোলাম। তাকে দেয়া হলে সন্তুষ্ট হয়, না দেয়া হলে অসন্তুষ্ট হয়।” [সহীহ বুখারী : ২৮৮৬]
একজন মুসলিম একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যেই আমল করবে, এতে যদি দুনিয়ার কিছু আসে তা হবে মহান আল্লাহ প্রদত্ত রিযক। তবে যদি দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যে আমল করে, তা নিন্দনীয় এবং ছোট শিরক।