প্রশ্ন: একজন নাস্তিক আল্লাহর রাসূল সহ অনেক মুসলিমকে গালাগালি দিচ্ছে এবং নানাভাবে অনেক কষ্ট দিচ্ছে। এতে আমিও কষ্ট পাচ্ছি। আমি কি তার জন্য বদদুআ করতে পারবো?
উত্তর: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরুদ্ধাচারণ বা তাকে কটুক্তি করা নতুন কোন বিষয় নয়। তাঁর জীবদ্দশায় তাকে কাফের-মুশরিক ও মুনাফিকদের পক্ষ থেকে এ সবের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আর তাতে মুসলিমগণ কষ্টপাবেন তা স্বাভাবিক। এটি ঈমানের আলামত। সাধারণভাবে কাফের-মুশরিক, নাস্তিক ও ফাসেক লোকদের প্রতি বদদুআ বা লানতের দুআ করা যাবে। এটি ওলামাদের সর্বসম্মত মত। তবে ব্যক্তি বিশেষকে নির্দিষ্ট করে লানত করা বা তার জন্য বদদুআ যাবে কি না তা দ্বিমতপূর্ণ।
সঠিক কথা হল, ব্যক্তি বিশেষকে নির্দিষ্ট করে বদদুআ করা যাবে না। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নির্দিষ্ট কতিপয় ব্যক্তির নাম ধরে ধরে লানত করেছিলেন তখন কুরআনে আয়াত নাজিলের মাধ্যমে তাকে নিষেধ করা হয়েছে এই আয়াত দ্বারা:
উল্লেখ্য যে, ওহুদ যুদ্ধের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু সুফিয়ান, হারিস ইবনে হিশাম ও সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া প্রমূখ কাফেরদের লিডারদের নাম ধরে ধরেে লানত করেছিলেন। তখন এই আয়াত নাজিলের মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিষেধ করা হয়। [দ্র: তাফসীরুল কাবীর/মাফাতিহুল গায়ব] আল্লাহু আলাম।
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
উত্তর: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরুদ্ধাচারণ বা তাকে কটুক্তি করা নতুন কোন বিষয় নয়। তাঁর জীবদ্দশায় তাকে কাফের-মুশরিক ও মুনাফিকদের পক্ষ থেকে এ সবের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আর তাতে মুসলিমগণ কষ্টপাবেন তা স্বাভাবিক। এটি ঈমানের আলামত। সাধারণভাবে কাফের-মুশরিক, নাস্তিক ও ফাসেক লোকদের প্রতি বদদুআ বা লানতের দুআ করা যাবে। এটি ওলামাদের সর্বসম্মত মত। তবে ব্যক্তি বিশেষকে নির্দিষ্ট করে লানত করা বা তার জন্য বদদুআ যাবে কি না তা দ্বিমতপূর্ণ।
সঠিক কথা হল, ব্যক্তি বিশেষকে নির্দিষ্ট করে বদদুআ করা যাবে না। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নির্দিষ্ট কতিপয় ব্যক্তির নাম ধরে ধরে লানত করেছিলেন তখন কুরআনে আয়াত নাজিলের মাধ্যমে তাকে নিষেধ করা হয়েছে এই আয়াত দ্বারা:
لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ
“হয় আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন কিংবা তাদেরকে আযাব দেবেন। এ ব্যাপারে আপনার কোন করণীয় নাই। কারণ তারা রয়েছে অন্যায়ের উপর।” [সূরা আলে ইমরান: ১২৮]উল্লেখ্য যে, ওহুদ যুদ্ধের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু সুফিয়ান, হারিস ইবনে হিশাম ও সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া প্রমূখ কাফেরদের লিডারদের নাম ধরে ধরেে লানত করেছিলেন। তখন এই আয়াত নাজিলের মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিষেধ করা হয়। [দ্র: তাফসীরুল কাবীর/মাফাতিহুল গায়ব] আল্লাহু আলাম।
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।