শাওয়ালের সিয়াম শুধু একটি মাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর ফযীলত অনেক (আবু দাঊদ, হা/২৪৩৩, সনদ সহীহ)।
শাওয়াল মাস চলে গেলে আর এ সিয়াম পালন করা যায় না। আর ক্বাযা সিয়াম পালনের সময় থাকে পরের রামাযান পর্যন্ত।
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كَانَ يَكُوْنُ عَلَيَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ فَمَا أَسْتَطِيْعُ أَنْ أَقْضِيَ إِلَّا فِي شَعْبَانَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيْدٍ تَعْنِيْ الشُّغْلَ مِنَ النَّبِيِّ أَو بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
‘আমাদের রামযানের সিয়াম বাকি থাকত, আমি তা (পরবর্তী) শা‘বান ব্যতীত পূর্ণ করতে পারতাম না। রাবী ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আয়েশা এখানে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, তাঁর সাথে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাজ থাকার কারণে অথবা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে তাঁর কাজ থাকার কারণে (সহীহ বুখারী, হা/১৯৫০, ইফাবা হা/১৮২৬, ৩/২৬৯ পৃ.; সহীহ মুসলিম, হা/১১৪৬; মিশকাত, হা/২০৩০)।
তাই শাওয়ালের সিয়াম পালনের পর অন্য মাসে ক্বাযা সিয়াম পালন করা যাবে। সাধ্য থাকলে শাওয়াল মাসের মধ্যেই ক্বাযা সিয়ামগুলো পালন করে বাকী দিনগুলোতে শাওয়ালের সিয়াম রাখা ভাল।
সূত্র: আল-ইখলাছ।