প্রতিমাসে ৩টি সিয়াম পালনে সারা বছর সিয়াম পালনের সওয়াব
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি সব সময় সওম পালন কর এবং রাতভর সালাত আদায় করে থাক? আমি বললাম, জী হাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি এরূপ করলে চোখ বসে যাবে এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। যে সারা বছর সওম পালন করে সে যেন সওম পালন করে না। মাসে তিন দিন করে সওম পালন করা সারা বছর সওম পালনের সমতুল্য। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশি করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি দাঊদী সওম পালন কর, তিনি একদিন সওম পালন করতেন আর একদিন ছেড়ে দিতেন এবং যখন শত্রুর সম্মুখীন হতেন তখন পলায়ন করতেন না। (বুখারী-১৯৭৯)
আশুরার সিয়াম পালনে পূর্ণ এক বছরের নফল সিয়ামের সওয়াব এবং এক বছরের গুনাহ মাফ
জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল: কেউ যদি আশুরার সিয়াম পালন করে তাহলে তাকে কি সোয়াব দেয়া হবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললনে, ذَاكَ صَوْمُ سَنَةٍ ”এর বিনিময়ে এক বছরের নফল সিয়ামের সোয়াব দেয়া হবে।” (সহীহ ইবনে হিব্বান হা/3622, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে সহীহ বলেন)
আবূ কাতাদাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, আপনি কিভাবে সওম পালন করেন? তার এ কথায় রসূলুল্লাহ অসন্তুষ্ট হলেন। উমর (রাযিঃ) তার অসন্তোষ লক্ষ্য করে বললেন, “আমরা আল্লাহর উপর (আমাদের) প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামের উপর (আমাদের) দীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর আমাদের নাবী হিসেবে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আল্লাহর কাছে তার ও তার রসূলের অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।”
“উমর (রাযিঃ) কথাটি বার বার আওড়াতে থাকলেন, এমনকি শেষ পর্যন্ত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসন্তোষের ভাব দূরীভূত হল। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! যে ব্যক্তি সারা বছর সওম পালন করে তার অবস্থা কিরূপ? তিনি বললেন, সে সওম পালন করেনি এবং ছেড়েও দেয়নি। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, যে পর্যায়ক্রমে দু'দিন সওম পালন করে ও একদিন সওম ত্যাগ করে, তার অবস্থা কীরূপ? তিনি বললেন, এ সামর্থ্য কার আছে? (অর্থাৎ সামর্থ্য) থাকলে বেশ ভাল কথা। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, যে ব্যক্তি একদিন পর একদিন সওম পালন করে তার অবস্থা কিরূপ? তিনি বললেন, এটা দাউদ (আঃ) এর সওম। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, যে একদিন সওম পালন করে ও একদিন করে না, তার অবস্থা কিরূপ?
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি আশা করি যে, আমার এতটা শক্তি হোক। তিনি পুনরায় বললেন, প্রতি মাসে তিনদিন সওম পালন করা এবং রমাযান মাসের সওম এক রমাযান থেকে পরবর্তী রমাযান পর্যন্ত সারা বছর সওম পালনের সমান। আর আরাফাহ দিবসের সওম সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছর ও পরবর্তী বছরের গুনাহের ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে। আর আশুরার সওম সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছরের গুনাহসমূহের কাফফারাহ হয়ে যাবে। (মুসলিম- ১১৬২)
রমজানের পর শাওয়াল মাসে ৬টি সিয়াম পালনে সারা বছর ফরজ সিয়ামের সওয়াব
রাসুল (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোযা রাখার পরপরই শাওয়াল মাসে ৬টি রোযা রাখে সে পূর্ণ ১ বছর রোযা রাখার সমান সওয়াব লাভ করে। (মুসলিম-১১৬৪)
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি সব সময় সওম পালন কর এবং রাতভর সালাত আদায় করে থাক? আমি বললাম, জী হাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি এরূপ করলে চোখ বসে যাবে এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। যে সারা বছর সওম পালন করে সে যেন সওম পালন করে না। মাসে তিন দিন করে সওম পালন করা সারা বছর সওম পালনের সমতুল্য। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশি করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি দাঊদী সওম পালন কর, তিনি একদিন সওম পালন করতেন আর একদিন ছেড়ে দিতেন এবং যখন শত্রুর সম্মুখীন হতেন তখন পলায়ন করতেন না। (বুখারী-১৯৭৯)
আশুরার সিয়াম পালনে পূর্ণ এক বছরের নফল সিয়ামের সওয়াব এবং এক বছরের গুনাহ মাফ
জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল: কেউ যদি আশুরার সিয়াম পালন করে তাহলে তাকে কি সোয়াব দেয়া হবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললনে, ذَاكَ صَوْمُ سَنَةٍ ”এর বিনিময়ে এক বছরের নফল সিয়ামের সোয়াব দেয়া হবে।” (সহীহ ইবনে হিব্বান হা/3622, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে সহীহ বলেন)
আবূ কাতাদাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, আপনি কিভাবে সওম পালন করেন? তার এ কথায় রসূলুল্লাহ অসন্তুষ্ট হলেন। উমর (রাযিঃ) তার অসন্তোষ লক্ষ্য করে বললেন, “আমরা আল্লাহর উপর (আমাদের) প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামের উপর (আমাদের) দীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর আমাদের নাবী হিসেবে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আল্লাহর কাছে তার ও তার রসূলের অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।”
“উমর (রাযিঃ) কথাটি বার বার আওড়াতে থাকলেন, এমনকি শেষ পর্যন্ত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসন্তোষের ভাব দূরীভূত হল। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! যে ব্যক্তি সারা বছর সওম পালন করে তার অবস্থা কিরূপ? তিনি বললেন, সে সওম পালন করেনি এবং ছেড়েও দেয়নি। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, যে পর্যায়ক্রমে দু'দিন সওম পালন করে ও একদিন সওম ত্যাগ করে, তার অবস্থা কীরূপ? তিনি বললেন, এ সামর্থ্য কার আছে? (অর্থাৎ সামর্থ্য) থাকলে বেশ ভাল কথা। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, যে ব্যক্তি একদিন পর একদিন সওম পালন করে তার অবস্থা কিরূপ? তিনি বললেন, এটা দাউদ (আঃ) এর সওম। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, যে একদিন সওম পালন করে ও একদিন করে না, তার অবস্থা কিরূপ?
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি আশা করি যে, আমার এতটা শক্তি হোক। তিনি পুনরায় বললেন, প্রতি মাসে তিনদিন সওম পালন করা এবং রমাযান মাসের সওম এক রমাযান থেকে পরবর্তী রমাযান পর্যন্ত সারা বছর সওম পালনের সমান। আর আরাফাহ দিবসের সওম সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছর ও পরবর্তী বছরের গুনাহের ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে। আর আশুরার সওম সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছরের গুনাহসমূহের কাফফারাহ হয়ে যাবে। (মুসলিম- ১১৬২)
রমজানের পর শাওয়াল মাসে ৬টি সিয়াম পালনে সারা বছর ফরজ সিয়ামের সওয়াব
রাসুল (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোযা রাখার পরপরই শাওয়াল মাসে ৬টি রোযা রাখে সে পূর্ণ ১ বছর রোযা রাখার সমান সওয়াব লাভ করে। (মুসলিম-১১৬৪)
আরাফার সিয়াম পালনে ২ বছরের গুনাহ মাফ
আবূ কাতাদাহ(রঃ)হতে বর্নিত,তিনি বলেন,আল্লাহর রসূল(সাল্লা্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে আরাফার দিন রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, “তার পূর্বের এক বছর ও পরের এক বছরের গুনাহ মোচন করে দেয়” (মুসলিম-১১৬২)
সোমবার বৃহস্পতিবার সিয়াম পালনের বিশেষ মর্যাদা
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার (আল্লাহ তা'আলার দরবারে) আমল পেশ করা হয়। সুতরাং আমার আমলসমূহ যেন রোযা পালনরত অবস্থায় পেশ করা হোক এটাই আমার পছন্দনীয়। (তিরমিযি ৭৪৭; সহীহ)
এছাড়াও জুমার দিনের আদব রক্ষা করে জুমার সলাত আদায়ে রয়েছে শত শত বছরের সিয়াম পালনের সওয়াব
আউস ইব্ন আউস সাকাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: “জুমার দিন যে গোসল করল, ভালো করে; অতঃপর আগেভাগে মসজিদে গেল; হেঁটে চলল, বাহনে চড়ল না; ইমামের নিকটবর্তী হল; অনর্থক কর্মে লিপ্ত না হয়ে মনোযোগসহ শ্রবণ করল; তার প্রতি কদমে লেখা হবে এক বছরের আমল তথা এক বছরের সিয়াম ও কিয়ামের(সারা রাত তাহাজ্জুদ) সওয়াব”। (তিরমিজি-৪৯৬, আবুদাউদ-৩৪৫, সহিহ আল-জামে ৬৪০৫)
এছাড়াও জুমার দিনের আদব রক্ষা করে জুমার সলাত আদায়ে রয়েছে শত শত বছরের সিয়াম পালনের সওয়াব
আউস ইব্ন আউস সাকাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: “জুমার দিন যে গোসল করল, ভালো করে; অতঃপর আগেভাগে মসজিদে গেল; হেঁটে চলল, বাহনে চড়ল না; ইমামের নিকটবর্তী হল; অনর্থক কর্মে লিপ্ত না হয়ে মনোযোগসহ শ্রবণ করল; তার প্রতি কদমে লেখা হবে এক বছরের আমল তথা এক বছরের সিয়াম ও কিয়ামের(সারা রাত তাহাজ্জুদ) সওয়াব”। (তিরমিজি-৪৯৬, আবুদাউদ-৩৪৫, সহিহ আল-জামে ৬৪০৫)
এছাড়াও বিধবা ও মিসকিনদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি যেন সর্বদাই সিয়াম পালনকারী
রাসুল (ﷺ) বলেছেন, বিধবা ও মিসকিনদের সেবায় আত্মনিয়োগকারী আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদ অথবা রাতে কিয়ামকারি ও দিনে সিয়াম আদায়কারী ব্যক্তির সমান। (বুখারি-৫৩৫৩)
Last edited by a moderator: