- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 887
- Comments
- 1,040
- Reactions
- 9,945
- Thread Author
- #1
১) সমস্ত সৎ আমলই ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত :
• মৌখিক প্রকাশ্য সৎ আমল- যেমন: দোয়া, জিকির, তসবীহ, কুরআন তেলাওয়াত, সৎকর্মের আদেশ, অসৎকর্মের নিষেধ ইত্যাদি।
• অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রকাশ্য সৎ আমল- যেমন: নামায, যাকাত, রোযা, হজ্জ, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ইত্যাদি।
• আত্মিক সৎ আমল (অন্তরের আমলসমূহ)- যেমন: আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালবাসা, আল্লাহর ভয়, তাঁর উপর ভরসা, আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশা ইত্যাদি।
২) আদত-অভ্যাসও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত হয় :
• বান্দা যদি আল্লাহর ইবাদতে শক্তি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে করে যেমন পানাহার, রুযী রোজগার, বিবাহ ইত্যাদি। অতএব, বান্দার প্রত্যেক কর্ম যেন আল্লাহর আনুগত্য স্বরূপ হয় এজন্য সে চেষ্টা করে। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন- বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় 'ইবাদাত, আমার জীবন, আমার মরণ (সব কিছুই) বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই (নিবেদিত)। – সূরা আনআম, ৬:১৬২
৩) চিন্তা-দুঃখও সওয়াবের অন্তর্ভুক্ত হয় :
যেমন- নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি কোন সৎ কাজের নিয়ত করে কিন্তু তা আমল করতে পারেনি, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য তাঁর নিকট পূর্ণ একটি নেকী লিপিবদ্ধ করেন। আর যদি সে নিয়ত করে অতঃপর তার উপর আমল করে তবে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য দশ নেকী হতে সাতশত বা তা হতে আরো অধিক প্রদান করে থাকেন। কিন্তু যে ব্যক্তি কোন পাপের নিয়ত করে কিন্তু তা আমল করল না, আল্লাহ তার জন্য তাঁর নিকটে একটি পূর্ণ নেকী লিখে দিবেন (নিয়ত বর্জনের কারণে)। – বুখারী: ৬৪৯১; মুসলিম: ১৩১
হে বান্দা, আপনার সকল কর্মকে ইবাদতে পরিণত করুন—
১) ওহে আল্লাহর বান্দা! কথা, কর্ম, নিয়ত যা কিছু আপনার পক্ষ হতে প্রকাশিত হয়, সে ক্ষেত্রে আপনি সচেতন ও সজাগ হোন, যেন তার সকল কিছু ইবাদতে পরিণত করতে পারেন। এই আয়াতটি সদা চোখের
সামনে রাখুন- বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় ইবাদাত, আমার জীবন, আমার মরণ (সব কিছুই) বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ্র জন্যই (নিবেদিত)। তাঁর কোন শরীক নেই, আমাকে এরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে আর আমিই সর্বপ্রথম আত্মসমর্পণকারী। – সূরা আনআম, ৬:১৬২-১৬৩
২) মনোভাব— নিয়ত ঠিক করুন। আপনি তাদের অন্তর্ভুক্ত না হোন যাদের উপর বিজয় লাভ করে আদত-অভ্যাস। সুতরাং আপনি আপনার প্রত্যেক ব্যাপারে উত্তম ও সৎ নিয়তের মধ্যমে আল্লাহর দিকে ধাবিত হোন। নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক আমল নির্ভর করে নিয়তের উপর। – বুখারী: ১
৩) আপনি প্রত্যেক মুহূর্তে যে কোন স্থানে সৎ আমলে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন। জবানকে জিকিররত, হৃদয়কে কৃতজ্ঞ বানান। আপনার ধন-সম্পদ থেকে দান-খয়রাত ও ভাল কর্মে ব্যয় করুন। আপনার কান, চোখ ও চিন্তা চেতনাকে আল্লাহরই সন্তুষ্টিতে ব্যয় করুন। আবূ জার (রাদিআল্লাহু আনহু) বর্ণিত হাদীসটি সামনে রাখুন, নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ বলেন, তুমি যেখানেই থাক না কেন আল্লাহকে ভয় কর। পাপ হয়ে গেলে পরে নেকী কর যা পাপকে মুছে দিবে এবং মানুষের সাথে উত্তম ব্যবহার কর। – সুনানুত তিরমিজি : ১৯৮৭ (হাসান)
– তাওহীদুল ইবাদাহ, দ্বিতীয় অধ্যায়; দারুল কারার পাবলিকেশন
• মৌখিক প্রকাশ্য সৎ আমল- যেমন: দোয়া, জিকির, তসবীহ, কুরআন তেলাওয়াত, সৎকর্মের আদেশ, অসৎকর্মের নিষেধ ইত্যাদি।
• অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রকাশ্য সৎ আমল- যেমন: নামায, যাকাত, রোযা, হজ্জ, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ইত্যাদি।
• আত্মিক সৎ আমল (অন্তরের আমলসমূহ)- যেমন: আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালবাসা, আল্লাহর ভয়, তাঁর উপর ভরসা, আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশা ইত্যাদি।
২) আদত-অভ্যাসও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত হয় :
• বান্দা যদি আল্লাহর ইবাদতে শক্তি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে করে যেমন পানাহার, রুযী রোজগার, বিবাহ ইত্যাদি। অতএব, বান্দার প্রত্যেক কর্ম যেন আল্লাহর আনুগত্য স্বরূপ হয় এজন্য সে চেষ্টা করে। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন- বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় 'ইবাদাত, আমার জীবন, আমার মরণ (সব কিছুই) বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই (নিবেদিত)। – সূরা আনআম, ৬:১৬২
৩) চিন্তা-দুঃখও সওয়াবের অন্তর্ভুক্ত হয় :
যেমন- নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি কোন সৎ কাজের নিয়ত করে কিন্তু তা আমল করতে পারেনি, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য তাঁর নিকট পূর্ণ একটি নেকী লিপিবদ্ধ করেন। আর যদি সে নিয়ত করে অতঃপর তার উপর আমল করে তবে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য দশ নেকী হতে সাতশত বা তা হতে আরো অধিক প্রদান করে থাকেন। কিন্তু যে ব্যক্তি কোন পাপের নিয়ত করে কিন্তু তা আমল করল না, আল্লাহ তার জন্য তাঁর নিকটে একটি পূর্ণ নেকী লিখে দিবেন (নিয়ত বর্জনের কারণে)। – বুখারী: ৬৪৯১; মুসলিম: ১৩১
হে বান্দা, আপনার সকল কর্মকে ইবাদতে পরিণত করুন—
১) ওহে আল্লাহর বান্দা! কথা, কর্ম, নিয়ত যা কিছু আপনার পক্ষ হতে প্রকাশিত হয়, সে ক্ষেত্রে আপনি সচেতন ও সজাগ হোন, যেন তার সকল কিছু ইবাদতে পরিণত করতে পারেন। এই আয়াতটি সদা চোখের
সামনে রাখুন- বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় ইবাদাত, আমার জীবন, আমার মরণ (সব কিছুই) বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ্র জন্যই (নিবেদিত)। তাঁর কোন শরীক নেই, আমাকে এরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে আর আমিই সর্বপ্রথম আত্মসমর্পণকারী। – সূরা আনআম, ৬:১৬২-১৬৩
২) মনোভাব— নিয়ত ঠিক করুন। আপনি তাদের অন্তর্ভুক্ত না হোন যাদের উপর বিজয় লাভ করে আদত-অভ্যাস। সুতরাং আপনি আপনার প্রত্যেক ব্যাপারে উত্তম ও সৎ নিয়তের মধ্যমে আল্লাহর দিকে ধাবিত হোন। নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক আমল নির্ভর করে নিয়তের উপর। – বুখারী: ১
৩) আপনি প্রত্যেক মুহূর্তে যে কোন স্থানে সৎ আমলে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন। জবানকে জিকিররত, হৃদয়কে কৃতজ্ঞ বানান। আপনার ধন-সম্পদ থেকে দান-খয়রাত ও ভাল কর্মে ব্যয় করুন। আপনার কান, চোখ ও চিন্তা চেতনাকে আল্লাহরই সন্তুষ্টিতে ব্যয় করুন। আবূ জার (রাদিআল্লাহু আনহু) বর্ণিত হাদীসটি সামনে রাখুন, নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ বলেন, তুমি যেখানেই থাক না কেন আল্লাহকে ভয় কর। পাপ হয়ে গেলে পরে নেকী কর যা পাপকে মুছে দিবে এবং মানুষের সাথে উত্তম ব্যবহার কর। – সুনানুত তিরমিজি : ১৯৮৭ (হাসান)
– তাওহীদুল ইবাদাহ, দ্বিতীয় অধ্যায়; দারুল কারার পাবলিকেশন