Knowledge Sharer
ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Top Active User
- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 936
- Comments
- 1,116
- Solutions
- 1
- Reactions
- 10,160
- Thread Author
- #1
এমন কতিপয় নারী রয়েছে যারা ইসলামের দৃষ্টিতে অভিশপ্ত। এদের সংখ্যাও বর্তমান সমাজে কম নয়। এরূপ বদ স্বভাবের নারীদেরকে ইসলামে ঘৃণিত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ মর্মে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে-
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষ হিজড়াদের উপর এবং পুরুষের বেশধারী মহিলাদের উপর লা’নত (অভিশাপ) করেছেন। [বুখারী, হা. ৫৮৮৬; ইবনে মাজাহ, হা. ১৯০৪]
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন ঐসব পুরুষকে যারা নারীর অনুরূপ পোশাক পরে এবং ঐসব নারীকে যে পুরুষের অনুরূপ পোশাক পরিধান করে। [আবু দাউদ, হা. ৪০৯৮; মিশকাত, হা. ৪৪৬৯; সহীহ]
ইবনু আবূ মুলাইকাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আয়িশাহ (রাঃ)-কে বলা হলো, এক মহিলা (পুরুষদের জুতার মতো) জুতা ব্যবহার করে। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষবেশী নারীদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন। [আবু দাউদ, হা. ৪০৯৯; মিশকাত, হা. ৪৪৭০; সহীহ]
পুরুষের বেশধারী নারী অভিশপ্ত। আবার নারীর বেশধারী পুরুষও অভিশপ্ত। পুরুষের পোশাক নারীদের এবং নারীর পোশাক পুরুষের পরিধান করা ইসলামে নিষেধ। এমন পুরুষের জুতা নারীদের পরিধান করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বর্তমান সমাজে আধুনিকতার নামে নারীদের শার্ট-প্যান্ট বা পুরুষের পোশাক পরা কী পরিমাণ বেহায়াপনা তা ভাবার বিষয়। আবার যুবকদের লম্বা চুল, কানে দুল ও নারীদের পোশাক শরী'আত বর্হিভূত। সভ্যতার নামে এসব নষ্টামী মুসলিম নারী-পুরুষের পরিহার করা আবশ্যক। এদের অভিভাবকও জবাবদিহিতা থেকে রেহায় পাবে না। কেননা নারীর বেহায়াপনার কারণে অভিভাবককে পরকালে ফেঁসে যেতে হবে। ঐ শুনুন রাসূলুল্লাহ (স.) -এর কঠিন হুঁশিয়ারি।
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন শ্রেণীর লোকের জন্য আল্লাহ তা‘আলা জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। সর্বদা মদ্যপায়ী, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান এবং দাইয়ূস (পাপাচারী কাজে পরিবারকে বাধা দেয় না)। [মিশকাত, হা. ৩৬৫৫; আহমাদ, হা. ৫৩৭২; সহীহ আত তারগীব, হা. ২৩৬৬]
তাদের সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে -
আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা লা‘নাত করেন এমন সব নারীর ওপর যারা অপরের অঙ্গে উল্কি করে এবং নিজের অঙ্গেও করায়, যারা (ভ্রু বা কপাল) চুল উপড়িয়ে ফেলে এবং তারা সৌন্দর্যের জন্য দাঁত সরু ও তার ফাঁক বড় করে আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলিয়ে দেয় [বুখারী, হা. ৪৮৮৬; মিশকাত, হা. ৪৪৩১; ইবনে মাজাহ, হা. ১৯৮৯]
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে নারীর ওপর আল্লাহর লা‘নাত যে অন্য নারীর মাথায় কৃত্রিম চুল (পরচুলা) মিশ্রিত করে কিংবা নিজ মাথায় কৃত্রিম চুল (পরচুলা) মিশ্রিত করায় এবং যে অন্যের গায়ে উল্কি করে অথবা নিজের গায়ে উল্কি করায়। [বুখারী, হা. ৫৯৩৩; মিশকাত, হা. ৪৪৩০]
আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলপছেন, আমার শেষ যামানার উম্মতের মধ্যে কিছু এমন লোক হবে যারা ঘরের মত জিন্ (মোটর গাড়ি) তে চড়ে মসজিদের দরজায় নামবে। আর তাদের মহিলারা হবে অর্ধনগ্না; যাদের মাথা কৃশ উটের কুঁজের মত (খোঁপা) হবে। তোমরা তাদেরকে অভিশাপ করো। কারণ, তারা অভিশপ্ত। [আহমাদ, হা. ৭০৮৩; সহীহ আত তারগীব, হা. ২০৪৩; সিলসিলাহ সহীহা, হা. ২৬৮৩]
এরূপ বেহায়া নারীদের আল্লাহ তা'আলা লা'নত করেছেন। এসব অভিশপ্ত নারীদের দ্বারা সমাজের কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই বেশি ছড়াবে। তাদের দ্বারা বাহ্যিক দৃষ্টিতে যেটা কল্যাণ দেখা যায় সেটা মূলত কল্যাণ নয়। গভীর দৃষ্টিতে তাকালে দেখা যাবে তাদের মাধ্যমে সমাজের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। যারা বিউটি পার্লারের ব্যবসায় জড়িত তাদের এরূপ ব্যবসার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরী।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষ হিজড়াদের উপর এবং পুরুষের বেশধারী মহিলাদের উপর লা’নত (অভিশাপ) করেছেন। [বুখারী, হা. ৫৮৮৬; ইবনে মাজাহ, হা. ১৯০৪]
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন ঐসব পুরুষকে যারা নারীর অনুরূপ পোশাক পরে এবং ঐসব নারীকে যে পুরুষের অনুরূপ পোশাক পরিধান করে। [আবু দাউদ, হা. ৪০৯৮; মিশকাত, হা. ৪৪৬৯; সহীহ]
ইবনু আবূ মুলাইকাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আয়িশাহ (রাঃ)-কে বলা হলো, এক মহিলা (পুরুষদের জুতার মতো) জুতা ব্যবহার করে। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষবেশী নারীদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন। [আবু দাউদ, হা. ৪০৯৯; মিশকাত, হা. ৪৪৭০; সহীহ]
পুরুষের বেশধারী নারী অভিশপ্ত। আবার নারীর বেশধারী পুরুষও অভিশপ্ত। পুরুষের পোশাক নারীদের এবং নারীর পোশাক পুরুষের পরিধান করা ইসলামে নিষেধ। এমন পুরুষের জুতা নারীদের পরিধান করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বর্তমান সমাজে আধুনিকতার নামে নারীদের শার্ট-প্যান্ট বা পুরুষের পোশাক পরা কী পরিমাণ বেহায়াপনা তা ভাবার বিষয়। আবার যুবকদের লম্বা চুল, কানে দুল ও নারীদের পোশাক শরী'আত বর্হিভূত। সভ্যতার নামে এসব নষ্টামী মুসলিম নারী-পুরুষের পরিহার করা আবশ্যক। এদের অভিভাবকও জবাবদিহিতা থেকে রেহায় পাবে না। কেননা নারীর বেহায়াপনার কারণে অভিভাবককে পরকালে ফেঁসে যেতে হবে। ঐ শুনুন রাসূলুল্লাহ (স.) -এর কঠিন হুঁশিয়ারি।
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন শ্রেণীর লোকের জন্য আল্লাহ তা‘আলা জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। সর্বদা মদ্যপায়ী, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান এবং দাইয়ূস (পাপাচারী কাজে পরিবারকে বাধা দেয় না)। [মিশকাত, হা. ৩৬৫৫; আহমাদ, হা. ৫৩৭২; সহীহ আত তারগীব, হা. ২৩৬৬]
তাদের সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে -
আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা লা‘নাত করেন এমন সব নারীর ওপর যারা অপরের অঙ্গে উল্কি করে এবং নিজের অঙ্গেও করায়, যারা (ভ্রু বা কপাল) চুল উপড়িয়ে ফেলে এবং তারা সৌন্দর্যের জন্য দাঁত সরু ও তার ফাঁক বড় করে আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলিয়ে দেয় [বুখারী, হা. ৪৮৮৬; মিশকাত, হা. ৪৪৩১; ইবনে মাজাহ, হা. ১৯৮৯]
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে নারীর ওপর আল্লাহর লা‘নাত যে অন্য নারীর মাথায় কৃত্রিম চুল (পরচুলা) মিশ্রিত করে কিংবা নিজ মাথায় কৃত্রিম চুল (পরচুলা) মিশ্রিত করায় এবং যে অন্যের গায়ে উল্কি করে অথবা নিজের গায়ে উল্কি করায়। [বুখারী, হা. ৫৯৩৩; মিশকাত, হা. ৪৪৩০]
আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলপছেন, আমার শেষ যামানার উম্মতের মধ্যে কিছু এমন লোক হবে যারা ঘরের মত জিন্ (মোটর গাড়ি) তে চড়ে মসজিদের দরজায় নামবে। আর তাদের মহিলারা হবে অর্ধনগ্না; যাদের মাথা কৃশ উটের কুঁজের মত (খোঁপা) হবে। তোমরা তাদেরকে অভিশাপ করো। কারণ, তারা অভিশপ্ত। [আহমাদ, হা. ৭০৮৩; সহীহ আত তারগীব, হা. ২০৪৩; সিলসিলাহ সহীহা, হা. ২৬৮৩]
এরূপ বেহায়া নারীদের আল্লাহ তা'আলা লা'নত করেছেন। এসব অভিশপ্ত নারীদের দ্বারা সমাজের কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই বেশি ছড়াবে। তাদের দ্বারা বাহ্যিক দৃষ্টিতে যেটা কল্যাণ দেখা যায় সেটা মূলত কল্যাণ নয়। গভীর দৃষ্টিতে তাকালে দেখা যাবে তাদের মাধ্যমে সমাজের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। যারা বিউটি পার্লারের ব্যবসায় জড়িত তাদের এরূপ ব্যবসার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরী।
কৃতজ্ঞতায়- 'অপরাধ' বই (আত তাজদীদ প্রকাশনী)