কোনো মৃত ব্যক্তির উসীলা দেয়া অথবা জীবিত ব্যক্তিকে বা তার অধিকারকে বা তার মর্যাদাকে উসীলা বানিয়ে দু'আ করা বৈধ নয়। এটি শির্কের উপকরণসমূহের একটি উপকরণ।
অতএব, কোনো ব্যক্তি যদি মহান আল্লাহ এবং তার মাঝে কোনো মধ্যস্থতাকারী গ্রহণ করে তার নিকট দু'আ করে তার ঈমান ও ইসলাম ভেঙ্গে যাবে। যেমন- এভাবে বললো, হে আহমদ বাদাবী! হে আব্দুল কাদির জিলানী! হে হুসাইন! হে আলী! হে অমুক! আমাকে সাহায্য করুন! আমাকে রক্ষা করুন! আমার রোগ ভালো করে দিন, প্রভৃতি।
সুপারিশ প্রার্থনা করা
সুপারিশ সত্য। কিন্তু তা কোনো মৃত ব্যক্তির নিকট চাওয়া যাবে না। একমাত্র আল্লাহ তাআলার নিকটই সুপারিশ চাইতে হবে। যেমন আমরা বলতে পারি-
“হে আল্লাহ! আমাকে আপনার নবীর সুপারিশ নসীব করুন।”
এজন্য কোনো কবরের সামনে দাঁড়িয়ে এভাবে বলা যাবে না। যেমন, অমুক! বা হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার জন্য সুপারিশ করুন বা করবেন।”
সুপারিশ প্রযোজ্য হওয়ার জন্য দুইটি শর্ত রয়েছে-
প্রথম শর্ত: আল্লাহ তাআলার অনুমতি লাগবে যিনি সুপারিশ করবেন, আর যার জন্য সুপারিশ করবেন, দুটিই আল্লাহ তাআলার অনুমতিক্রমে হবে।
মহান আল্লাহ বলেন,
“কে আছে এমন, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে?” [সূরা ২; আল-বাক্বারাহ: ২৫৫]
দ্বিতীয় শর্ত: যার জন্য সুপারিশ করা হবে তাকে তাওহীদবাদী মুমিন হতেহবে। মুশরিকের বা শির্ককারীদের জন্য সুপারিশ প্রযোজ্য নয়
মহান আল্লাহ বলেন,
“আর তারা শুধু তাদের জন্যই সুপারিশ করে, যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট।” [সূরা ২১; আল-আম্বিয়া ২৮]
মুশরিকের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন,
“অতএব সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোনো উপকার করবে না।” [সূরা ৭৪; আল-মুদ্দাসসির ৪৮]
“যালিমদের জন্য নেই কোনো অকৃত্রিম বন্ধু, নেই এমন কোনো সুপারিশকারী, যাকে গ্রাহ্য করা হবে।" [সূরা ৪০; গাফির ১৮]
দুটি শর্ত মহান আল্লাহ একসাথে একই আয়াতে বর্ণনা করেছেন,
“আর আসমানসমূহে অনেক ফেরেশতা রয়েছে, তাদের সুপারিশ কোনোই কাজে আসবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন এবং যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট, তার ব্যাপারে অনুমতি দেয়ার পর।” [সূরা ৫৩; আন-নাজম ২৬]
প্রথম শর্ত হলো, মহান আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন, তাকে অনুমতি দেয়ার পর।
দ্বিতীয় শর্ত হলো, যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট। সুপারিশ একমাত্র মহান আল্লাহর নিকটই চাইতে হবে। কেননা তিনিই এর একমাত্র মালিক। মহান আল্লাহ বলেন,
“বল, ‘সকল সুপারিশ আল্লাহর মালিকানাধীন।” [সূরা ৩৯; আয-যুমার ৪৪]
“আর তিনি ছাড়া যাদেরকে তারা আহবান করে তারা সুপারিশের মালিক হবে না; তবে তারা ছাড়া, যারা জেনে-শুনে সত্য সাক্ষ্য দেয়।” [সূরা ৪৩; আয- যুখরুফ ৮৬]
ভরসা করা
চা তথা ভরসা করা এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। একজন মুমিন একমাত্র মহান আল্লাহর উপরই ভরসা করবে। কোন ব্যক্তি যদি মহান আল্লাহ ও তার মাঝে মধ্যস্থতাকারী বানিয়ে নেয় এবং তার উপর ভরসা করে ঐ ব্যক্তির ঈমান ও ইসলাম ভেঙ্গে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
“আর আল্লাহর উপরই তাওয়াক্কুল কর, যদি তোমরা মুমিন হও'।” [সূরা ৫; আল-মায়িদাহ ২৩]
“মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং যারা তাদের রবের উপরই ভরসা করে।” [সূরা ৮; আল- আনফাল ২]
একমাত্র আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করা, এটি একটি মহান ইবাদাত। তবে উপকারী মাধ্যম গ্রহণ করা ঘ্রা বা মহান আল্লাহর উপর ভরসার পরিপন্থী নয়। মুমিন এ দুটির মধ্যে সমন্বয় করবে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ভরসাকারী ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিন্তু তিনি মাধ্যম গ্রহণ করেছেন। জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন তবে মাধ্যমের উপর ভরসা করাটাই শির্ক।
মাধ্যমটিও অবশ্যই শরী'আতসম্মত হতে হবে। মুশরিকগণ মৃতব্যক্তির উপর, গাছের উপর, পাথরের উপর, তাবিজের (তামীমাহ) উপর ভরসা করতো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে লোক কোনোকিছু ঝুলিয়ে রাখে (তাবিজ-তুমার) তাকে তার উপরই সোপর্দ করা হয়।” [জামে' আত-তিরমিযী: ২০৭২; শাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন]
এগুলোর উপর ভরসা করলে মহান আল্লাহ এ সকল দুর্বল মাখলুকের উপর তাকে ছেড়ে দেন।
অতএব, কোনো ব্যক্তি যদি মহান আল্লাহ এবং তার মাঝে কোনো মধ্যস্থতাকারী গ্রহণ করে তার নিকট দু'আ করে তার ঈমান ও ইসলাম ভেঙ্গে যাবে। যেমন- এভাবে বললো, হে আহমদ বাদাবী! হে আব্দুল কাদির জিলানী! হে হুসাইন! হে আলী! হে অমুক! আমাকে সাহায্য করুন! আমাকে রক্ষা করুন! আমার রোগ ভালো করে দিন, প্রভৃতি।
সুপারিশ প্রার্থনা করা
সুপারিশ সত্য। কিন্তু তা কোনো মৃত ব্যক্তির নিকট চাওয়া যাবে না। একমাত্র আল্লাহ তাআলার নিকটই সুপারিশ চাইতে হবে। যেমন আমরা বলতে পারি-
اللَّهُمَّ شَفّعْ فِيَّ نَبِيَّكَ
“হে আল্লাহ! আমাকে আপনার নবীর সুপারিশ নসীব করুন।”
এজন্য কোনো কবরের সামনে দাঁড়িয়ে এভাবে বলা যাবে না। যেমন, অমুক! বা হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার জন্য সুপারিশ করুন বা করবেন।”
সুপারিশ প্রযোজ্য হওয়ার জন্য দুইটি শর্ত রয়েছে-
প্রথম শর্ত: আল্লাহ তাআলার অনুমতি লাগবে যিনি সুপারিশ করবেন, আর যার জন্য সুপারিশ করবেন, দুটিই আল্লাহ তাআলার অনুমতিক্রমে হবে।
মহান আল্লাহ বলেন,
مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَةَ إِلَّا بِإِذْنِهِ
“কে আছে এমন, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে?” [সূরা ২; আল-বাক্বারাহ: ২৫৫]
দ্বিতীয় শর্ত: যার জন্য সুপারিশ করা হবে তাকে তাওহীদবাদী মুমিন হতেহবে। মুশরিকের বা শির্ককারীদের জন্য সুপারিশ প্রযোজ্য নয়
أَنْ يَكُوْنَ الْمَشْفُوْعُ فِيْهِ مِنْ أَهْلِ التَّوْحِيدِ، لَا يَكُوْنُ مُشْرِكًا
মহান আল্লাহ বলেন,
وَلَا يَشْفَعُوْنَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَى
“আর তারা শুধু তাদের জন্যই সুপারিশ করে, যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট।” [সূরা ২১; আল-আম্বিয়া ২৮]
মুশরিকের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন,
فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّفِعِينَ
“অতএব সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোনো উপকার করবে না।” [সূরা ৭৪; আল-মুদ্দাসসির ৪৮]
مَا لِلظَّلِمِيْنَ مِنْ حَمِيْمٍ وَلَا شَفِيعِ يُطَاعُ
“যালিমদের জন্য নেই কোনো অকৃত্রিম বন্ধু, নেই এমন কোনো সুপারিশকারী, যাকে গ্রাহ্য করা হবে।" [সূরা ৪০; গাফির ১৮]
দুটি শর্ত মহান আল্লাহ একসাথে একই আয়াতে বর্ণনা করেছেন,
وَكَمْ مِنْ مَّلَكِ فِي السَّمَوتِ لَا تُغْنِى شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا إِلَّا مِنْ بَعْدِ أَنْ يَأْذَنَ اللَّهُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَرْضُى
“আর আসমানসমূহে অনেক ফেরেশতা রয়েছে, তাদের সুপারিশ কোনোই কাজে আসবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন এবং যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট, তার ব্যাপারে অনুমতি দেয়ার পর।” [সূরা ৫৩; আন-নাজম ২৬]
প্রথম শর্ত হলো, মহান আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন, তাকে অনুমতি দেয়ার পর।
দ্বিতীয় শর্ত হলো, যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট। সুপারিশ একমাত্র মহান আল্লাহর নিকটই চাইতে হবে। কেননা তিনিই এর একমাত্র মালিক। মহান আল্লাহ বলেন,
( قُلْ لِلَّهِ الشَّفَاعَةُ جَمِيعًا )
“বল, ‘সকল সুপারিশ আল্লাহর মালিকানাধীন।” [সূরা ৩৯; আয-যুমার ৪৪]
وَ لَا يَمْلِكُ الَّذِيْنَ يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ الشَّفَاعَةَ إِلَّا مَنْ شَهِدَ بِالْحَقِّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ
“আর তিনি ছাড়া যাদেরকে তারা আহবান করে তারা সুপারিশের মালিক হবে না; তবে তারা ছাড়া, যারা জেনে-শুনে সত্য সাক্ষ্য দেয়।” [সূরা ৪৩; আয- যুখরুফ ৮৬]
ভরসা করা
চা তথা ভরসা করা এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। একজন মুমিন একমাত্র মহান আল্লাহর উপরই ভরসা করবে। কোন ব্যক্তি যদি মহান আল্লাহ ও তার মাঝে মধ্যস্থতাকারী বানিয়ে নেয় এবং তার উপর ভরসা করে ঐ ব্যক্তির ঈমান ও ইসলাম ভেঙ্গে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
وَ عَلَى اللهِ فَتَوَتَهُوا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
“আর আল্লাহর উপরই তাওয়াক্কুল কর, যদি তোমরা মুমিন হও'।” [সূরা ৫; আল-মায়িদাহ ২৩]
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ أَيْتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَ عَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
“মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং যারা তাদের রবের উপরই ভরসা করে।” [সূরা ৮; আল- আনফাল ২]
একমাত্র আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করা, এটি একটি মহান ইবাদাত। তবে উপকারী মাধ্যম গ্রহণ করা ঘ্রা বা মহান আল্লাহর উপর ভরসার পরিপন্থী নয়। মুমিন এ দুটির মধ্যে সমন্বয় করবে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ভরসাকারী ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিন্তু তিনি মাধ্যম গ্রহণ করেছেন। জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন তবে মাধ্যমের উপর ভরসা করাটাই শির্ক।
মাধ্যমটিও অবশ্যই শরী'আতসম্মত হতে হবে। মুশরিকগণ মৃতব্যক্তির উপর, গাছের উপর, পাথরের উপর, তাবিজের (তামীমাহ) উপর ভরসা করতো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ تَعَلَّقَ شَيْئًا وُكِّلَ إِلَيْهِ»
“যে লোক কোনোকিছু ঝুলিয়ে রাখে (তাবিজ-তুমার) তাকে তার উপরই সোপর্দ করা হয়।” [জামে' আত-তিরমিযী: ২০৭২; শাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন]
এগুলোর উপর ভরসা করলে মহান আল্লাহ এ সকল দুর্বল মাখলুকের উপর তাকে ছেড়ে দেন।