Knowledge Sharer
ilm Seeker
Uploader
Salafi User
- Joined
- Jan 12, 2023
- Threads
- 827
- Comments
- 1,075
- Solutions
- 19
- Reactions
- 11,899
- Thread Author
- #1
যদি কেউ মধ্যস্থতাকারী গ্রহণ করে এ বিশ্বাসে যে, তার উদ্দেশ্যে ইবাদাত করে না, তার নিকট দু'আ করে না, তার জন্য যবেহ বা মান্নতও করে না বরং শুধুমাত্র এ ধারণা পোষণ করে যে, এসব ইবাদাত আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার মাধ্যম। এ বিষয়টিও বিদ'আত এবং শির্কের উপকরণ। কেউ কেউ এ মধ্যস্থতাকে উসীলা হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। তারা কুরআন কারীমের এ আয়াতকে দলীল হিসেবে পেশ করে থাকে:
“হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর নৈকট্যের মাধ্যম অনুসন্ধান কর, আর তার রাস্তায় জিহাদ কর, যাতে তোমরা সফল হও।” [সূরা ৫; আল-মায়িদাহ ৩৫]
তারা এ আয়াতে اَلْوَسِيْلَةُ -কে মহান আল্লাহ ও তার নিজের মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গ্রহণ করার দলীল হিসেবে ব্যাখ্যা করে থাকেন। এটি বাতিল ব্যাখ্যা । বরং তাফসীরের ইমামগণ اَلْوَسِيْلَةُ এর ব্যাখ্যা করেছেন,
অর্থাৎ, “আল্লাহ তাআলার আনুগত্য করা এবং তাঁর 'ইবাদাতের' মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করা।”
আবার কেউ কেউ মহান আল্লাহর মহত্বের প্রতি লক্ষ রেখে এসব ব্যক্তিদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গ্রহণ করে। তারা বলতে থাকে, আল্লাহ মহান ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর কাছে মাধ্যম ছাড়া যাওয়া যায় না। যেমনিভাবে দুনিয়ার শাসকদের নিকট মাধ্যম বা সুপারিশ ছাড়া যাওয়া যায় না।
তারা মহান আল্লাহকে দুনিয়ার শাসকদের উপর কিয়াস সমতুল্য করেছে। এটিই মূলত বাতিল কিয়াস। দুনিয়ার শাসকগণ তাদের প্রজাদের অবস্থা সরাসরি দেখেন না। কারো মাধ্যমে জানতে হয়, কিন্তু আল্লাহ তাআলা বান্দার সবকিছু সরাসরি দেখেন এবং জানেন ।
কেউ কেউ আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীসটিকে ‘মাধ্যম গ্রহণ করার' দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছে।
অর্থাৎ, উমর ইবনু খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু অনাবৃষ্টির সময় ‘আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু'র উসীলা দিয়ে বৃষ্টির জন্য দু'আ করতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ্! (আগে) আমরা আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উসীলা দিয়ে দু'আ করতাম এবং আপনি বৃষ্টি দান করতেন। এখন আমরা আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচার উসীলা দিয়ে দু'আ করছি, আপনি আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন। বর্ণনাকারী বলেন, দু'আর সাথে সাথেই বৃষ্টি বর্ষিত হতো। [সহীহ বুখারী: ১০১০]
তারা বলে, এখানে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর উসীলায় দু'আ করেছেন, সুতরাং ব্যক্তিকে মাধ্যম বানানো জায়েয। এখানে মূলতঃ আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে উসীলা বানানো হয়নি, বরং আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর দু'আকে উসীলা বানানো হয়েছে। যা সর্বসম্মতভাবে জায়েয।
يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَابْتَغُوا إِلَيْهِ الْوَسِيْلَةَ وَجَاهِدُوا فِي سَبِيْلِهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর নৈকট্যের মাধ্যম অনুসন্ধান কর, আর তার রাস্তায় জিহাদ কর, যাতে তোমরা সফল হও।” [সূরা ৫; আল-মায়িদাহ ৩৫]
তারা এ আয়াতে اَلْوَسِيْلَةُ -কে মহান আল্লাহ ও তার নিজের মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গ্রহণ করার দলীল হিসেবে ব্যাখ্যা করে থাকেন। এটি বাতিল ব্যাখ্যা । বরং তাফসীরের ইমামগণ اَلْوَسِيْلَةُ এর ব্যাখ্যা করেছেন,
بِأَنَّهَا الطَّاعَةُ وَالتَّقَرُّبُ إِلَى اللَّهِ بِعِبَادَتِهِ
অর্থাৎ, “আল্লাহ তাআলার আনুগত্য করা এবং তাঁর 'ইবাদাতের' মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করা।”
আবার কেউ কেউ মহান আল্লাহর মহত্বের প্রতি লক্ষ রেখে এসব ব্যক্তিদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গ্রহণ করে। তারা বলতে থাকে, আল্লাহ মহান ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর কাছে মাধ্যম ছাড়া যাওয়া যায় না। যেমনিভাবে দুনিয়ার শাসকদের নিকট মাধ্যম বা সুপারিশ ছাড়া যাওয়া যায় না।
তারা মহান আল্লাহকে দুনিয়ার শাসকদের উপর কিয়াস সমতুল্য করেছে। এটিই মূলত বাতিল কিয়াস। দুনিয়ার শাসকগণ তাদের প্রজাদের অবস্থা সরাসরি দেখেন না। কারো মাধ্যমে জানতে হয়, কিন্তু আল্লাহ তাআলা বান্দার সবকিছু সরাসরি দেখেন এবং জানেন ।
কেউ কেউ আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীসটিকে ‘মাধ্যম গ্রহণ করার' দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছে।
أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَ إِذَا قَحَطُوْا اسْتَسْقَى بِالْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنَّا كُنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا فَتَسْقِيْنَا وَإِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا فَاسْقِنَا. قَالَ فَيُسْقَوْنَ.
অর্থাৎ, উমর ইবনু খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু অনাবৃষ্টির সময় ‘আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু'র উসীলা দিয়ে বৃষ্টির জন্য দু'আ করতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ্! (আগে) আমরা আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উসীলা দিয়ে দু'আ করতাম এবং আপনি বৃষ্টি দান করতেন। এখন আমরা আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচার উসীলা দিয়ে দু'আ করছি, আপনি আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন। বর্ণনাকারী বলেন, দু'আর সাথে সাথেই বৃষ্টি বর্ষিত হতো। [সহীহ বুখারী: ১০১০]
তারা বলে, এখানে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর উসীলায় দু'আ করেছেন, সুতরাং ব্যক্তিকে মাধ্যম বানানো জায়েয। এখানে মূলতঃ আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে উসীলা বানানো হয়নি, বরং আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর দু'আকে উসীলা বানানো হয়েছে। যা সর্বসম্মতভাবে জায়েয।