- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 705
- Comments
- 850
- Reactions
- 7,474
- Thread Author
- #1
জবাব: শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা আজকাল একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে; বিশেষ করে যুবকেরা এদিক থেকে বেশ এগিয়ে। একদল সত্যিকারার্থে এ বিষয়টি জানার চেষ্টা করে এবং আলেমদের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করে, সে অনুযায়ী চলার চেষ্টা করে। আরেকদল জানার চেষ্টা না করেই শাসকদের বিরুদ্ধে বিরোহ ঘোষণা করে বসে। পরবর্তীতে তাদের দ্বারা আর কিছুই হয়ে ওঠে না। শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েষ; এমনকী কখনো ওয়াজিব হয়। তবে শর্ত হচ্ছে, শাসককে একেবারেই স্পষ্ট কুফরীতে জড়িত হতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, অতিমাত্রায় রক্তপাত ছাড়াই সেই শাসককে অপসারণ করে তার স্থানে আরেকজনকে বসানোর ক্ষমতা থাকতে হবে। তবে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলে আমরা দেখতে পাই যে, কোনো দলের পক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা সম্ভব নয়। কারণ, শাসকগণ বিভিন্ন শক্তি ও অস্ত্রের বলয়ে নিজেদের সংরক্ষিত করে রাখে। তারা শক্তি ও অস্ত্র এমনভাবে প্রস্তুত করে রাখে যে, কোনো গোষ্ঠী বা দল বিদ্রোহ ঘোষণা করলে তাদের প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে তারা সক্ষম। তাই আমাকে যদি বিদ্রোহ করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তবে আমার উত্তর হবে, হ্যাঁ, তা বৈধ। তবে আমি বলব, বিদ্রোহ করা বৈধ হলেও বর্তমান যুগে এটি প্রশ্ন করার বিষয় নয়। তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার মতো জনবল নেই! কোনো গোষ্ঠীকে যদি দেখি তারা শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার সক্ষমতা রাখে, তবে তাদের বলব, শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার আগে কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হোন।
অতএব, এ নিয়ে প্রশ্ন করা নিষ্ফল। শাসক যদি প্রকাশ্য কুফরীতে লিপ্ত হয় তবে শরীআত তারববিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার অনুমতি প্রদান করে। বড়ো আফসোসের বিষয়, কোনো কোনো রাষ্ট্রে এমন শাসকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তবে সেখানে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাদেরকে অপসারণ করে অন্য কাউকে ক্ষমতায় বসাতে সামর্থ্য রাখে এমন কোনো গোষ্ঠী পাওয়া যায় না। এ জন্য আমি ইসলামী দল ও গোষ্ঠীগুলোকে পরামর্শ দিব, তারা যেন যথাসাধ্য সঠিক ও স্বচ্ছ ইসলাম শিখতে ও জানতে সচেষ্ট হয়। তারপর নিজেদেরকে সঠিক ইসলামের ওপর বেড়ে ওঠার এবং অটল রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। শাসক কাফির ও নাস্তিক হলেও এসব কাজ করা সম্ভব। অতএব, তারা যেন এমন তৎপরতা না দেখায় এবং এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে যা তাদের ক্ষমতা ও সাধ্যের মধ্যে নয়। [তুরাসুল আলবানী ফিল মানহাজ, ৬/২৬০]
অতএব, এ নিয়ে প্রশ্ন করা নিষ্ফল। শাসক যদি প্রকাশ্য কুফরীতে লিপ্ত হয় তবে শরীআত তারববিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার অনুমতি প্রদান করে। বড়ো আফসোসের বিষয়, কোনো কোনো রাষ্ট্রে এমন শাসকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তবে সেখানে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাদেরকে অপসারণ করে অন্য কাউকে ক্ষমতায় বসাতে সামর্থ্য রাখে এমন কোনো গোষ্ঠী পাওয়া যায় না। এ জন্য আমি ইসলামী দল ও গোষ্ঠীগুলোকে পরামর্শ দিব, তারা যেন যথাসাধ্য সঠিক ও স্বচ্ছ ইসলাম শিখতে ও জানতে সচেষ্ট হয়। তারপর নিজেদেরকে সঠিক ইসলামের ওপর বেড়ে ওঠার এবং অটল রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। শাসক কাফির ও নাস্তিক হলেও এসব কাজ করা সম্ভব। অতএব, তারা যেন এমন তৎপরতা না দেখায় এবং এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে যা তাদের ক্ষমতা ও সাধ্যের মধ্যে নয়। [তুরাসুল আলবানী ফিল মানহাজ, ৬/২৬০]
সূত্র: ফাতাওয়ায়ে আলবানী, প্রশ্ন নং ৪৩