কিডনি যে পদ্ধতিতেই ডায়ালাইসিস করা হোক এতে ছিয়াম ভেঙ্গে যাবে। কারণ এ পদ্ধতিতে শরীরকে বিশুদ্ধ রক্ত এবং পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আর এই দু’টি জিনিস-ই ছিয়াম ভঙ্গ করে। যেহেতু কিডনী ডায়ালাইসিস বা পরিষ্কার করার জন্য রক্ত বের করে তা কেমিক্যাল পদার্থ, পুষ্টি দানকারী উপাদান যেমন চিনি, লবণ ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে আবারো কিডনীতে প্রবেশ করানো হয়, তাই তা ছিয়াম ভঙ্গকারী বিষয় বলে গণ্য হবে (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৫/২৭৪-২৭৫; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১০/১৮৯ পৃ.)। এ প্রসঙ্গে শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমাদের জানা উচিত যে রোগী দুই প্রকার। যথা :
(ক) এমন রোগী যার রোগমুক্তির আশা করা যায়। যেমন সাময়িক রোগ যা থেকে আরোগ্য লাভের আশা করা যায়। এ শ্রেণীর রোগীর হুকুম সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তবে তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা সফর অবস্থায় থাকলে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করে নেবে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৪)। এ শ্রেণীর রোগী সুস্থতার জন্য অপেক্ষা করতে থাকবে। এরপর সুস্থ হয়ে ছিয়াম পালন করবে। আর যদি সুস্থ হওয়ার আগেই সে মারা যায়, তবে তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না। অর্থাৎ তার পক্ষ থেকে ক্বাযা আদায় করতে হবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তার উপর অন্য দিনগুলোতে ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করা ফরয করেছিলেন। কিন্তু সে সুযোগ পাওয়ার আগেই সে মারা গেছে।
(খ) এমন রোগী যার রোগ স্থায়ী। যেমন ক্যান্সার, কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিকস বা এধরণের অন্যান্য স্থায়ী রোগ যা থেকে রোগীর আরোগ্য লাভের আশা করা যায় না। এ শ্রেণীর রোগী রামাযান মাসে ছিয়াম পালন বর্জন করতে পারবে এবং প্রতিদিনের ছিয়ামের বদলে একজন মিসকীন খাওয়ানো তার উপর আবশ্যক হবে। ঠিক যেমন অতিশয় বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা যারা ছিয়াম পালনে সক্ষম নয় তারা ছিয়াম না রেখে প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীন খাওয়ান। এর সপক্ষে কুরআনের দলীল হচ্ছে, ‘আল্লাহ্ তা‘আলার বাণী : আর যাদের জন্য ছিয়াম রাখা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য হল এর পরিবর্তে ফিদইয়া স্বরূপ একজন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করা’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৪; ফাতাওয়াছ ছিয়াম, পৃ. ১১১)।
সূত্র: মাসিক আল ইখলাস, এপ্রিল ২০২৩
(ক) এমন রোগী যার রোগমুক্তির আশা করা যায়। যেমন সাময়িক রোগ যা থেকে আরোগ্য লাভের আশা করা যায়। এ শ্রেণীর রোগীর হুকুম সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তবে তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা সফর অবস্থায় থাকলে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করে নেবে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৪)। এ শ্রেণীর রোগী সুস্থতার জন্য অপেক্ষা করতে থাকবে। এরপর সুস্থ হয়ে ছিয়াম পালন করবে। আর যদি সুস্থ হওয়ার আগেই সে মারা যায়, তবে তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না। অর্থাৎ তার পক্ষ থেকে ক্বাযা আদায় করতে হবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তার উপর অন্য দিনগুলোতে ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করা ফরয করেছিলেন। কিন্তু সে সুযোগ পাওয়ার আগেই সে মারা গেছে।
(খ) এমন রোগী যার রোগ স্থায়ী। যেমন ক্যান্সার, কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিকস বা এধরণের অন্যান্য স্থায়ী রোগ যা থেকে রোগীর আরোগ্য লাভের আশা করা যায় না। এ শ্রেণীর রোগী রামাযান মাসে ছিয়াম পালন বর্জন করতে পারবে এবং প্রতিদিনের ছিয়ামের বদলে একজন মিসকীন খাওয়ানো তার উপর আবশ্যক হবে। ঠিক যেমন অতিশয় বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা যারা ছিয়াম পালনে সক্ষম নয় তারা ছিয়াম না রেখে প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীন খাওয়ান। এর সপক্ষে কুরআনের দলীল হচ্ছে, ‘আল্লাহ্ তা‘আলার বাণী : আর যাদের জন্য ছিয়াম রাখা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য হল এর পরিবর্তে ফিদইয়া স্বরূপ একজন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করা’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৪; ফাতাওয়াছ ছিয়াম, পৃ. ১১১)।
সূত্র: মাসিক আল ইখলাস, এপ্রিল ২০২৩