Habib Bin Tofajjal
If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 689
- Comments
- 1,229
- Solutions
- 17
- Reactions
- 7,183
- Thread Author
- #1
শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমীয়্যাহ মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (২৬/৫৪) বলেছেন: আহমাদ বর্ণনা করেছেন যে, “যেসকল সাহাবা কুরবানীর পশু নিয়ে আসেননি (সামর্থ না থাকার কারণে) তাদের সকলকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তামাত্তু' হজ্জের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি তাদের মধ্যে যারা মুফরিদ (যিনি শুধু হজ্জের উদ্দেশ্যে ইহরাম বেধেছেন) ও ক্বারিন (যিনি হজ্জ ও উমরাহ উভয়টির উদ্দেশ্যে একত্রে ইহরাম বেধেছেন) ছিলেন, তাদেরকেও তিনি একই আদেশ দিয়েছেন। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনোই তাদেরকে তুলনামূলক কম শ্রেষ্ঠ আমলের দিকে ঠেলে দিবেন না। বরং তিনি সর্বোত্তম আদেশই তাদেরকে দিবেন। এই জন্যেই ইমাম আহমাদ এর নিকটে হজ্জ এর নিয়্যাত বাত্বিল করে একই ইহরামে উমরার কার্যসমূহ সম্পন্ন করার আদেশটি ছিল মুস্তাহাব। তিনি হজ্জের নিয়্যাত বাত্বিল করণ বৈধ হওয়ার ব্যাপারে আলেমদের মতানৈক্যকে হজ্জের নিয়্যাত বাত্বিল করণ এর বৈধতাকে পরিত্যাগ করে সাবধানতা অবলম্বনের আবশ্যকীয় কারণ ধার্য করেননি। কেননা সাবধানতা অবলম্বন তখন বিধিসম্মত হবে, যখন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ স্পষ্ট না হবে, যখন সুন্নাহ স্পষ্ট থাকবে, তখন তা অনুকরণই অধিক উত্তম।
ইবনুল কাইয়্যীম তাহযীবুস সুনান গ্রন্থে (১/৭২) বলেছেন: সাবধানতা ঐ আমলগুলোর মাঝে অবলম্বন করতে হয়, যেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি একটি আমলকে পরিত্যাগ করে আরেকটি আমল কার্যকর করার স্বার্থে। আর আল্লাহ ও তাঁর রসূল থেকে বর্ণিত শারঈ বিধিমালা ও খবরসমূহের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের পদ্ধতি হলো উক্ত বিষয়ে একমাত্র যা তিনি বর্ণনা করেছেন, তাই বর্ণনা করা। আর যা তিনি সাব্যস্ত করেছেন, একমাত্র তাই সাব্যস্ত করা। এরপরে সাবধানতা হলো এমন সাবধানতা পরিত্যাগ করার মধ্যেই নিহিত আছে। কারণ কোনো ব্যক্তির সম্মুখে ছুলাত এর সময় আসলে এই পরিস্থিতিতে যদি তার নিকট এক কুল্লাহ পরিমাণ পানি থাকে, যাতে মৃতব্যক্তির চুল পতিত হয়েছে, তাহলে এমন অবস্থায় তার জন্য উযূ না করাটাই সাবধানতা অবলম্বনের পরিপন্থি। যদি উযূ না করো, তাহলে কেন তোমরা এমন মূলনীতি এখানে গ্রহণ করলে, কেন বললে: শারঈ দলীলের দ্বারা যা নাপাক হওয়া প্রমাণিত হয়েছে, সেটাকে আমরা নাপাক সাব্যস্ত করব, আর যেই বস্তু নাপাক হওয়ার ব্যাপারে আমরা সংশয়ে পতিত হব, সেই বিষয়টিকে তার মৌলিক অবস্থার (যা পবিত্র) দিকে ফিরিয়ে দিব
তিনি যাদুল মা'আদ গ্রন্থে (২/২১২) বলেছেন: সাবধানতা তখন বিধিসম্মত হবে, যখন সুন্নাহ স্পষ্ট না হয়। যদি সুন্নাহ স্পষ্ট হয়, তাহলে প্রকৃত সাবধানতা হলো সুন্নাহ এর অনুসরণ এবং সুন্নাহ এর বিপরীত মতকে পরিত্যাগ করণ। সুন্নাহকে মতানৈক্যের কারণে পরিত্যাগ করা যদি সাবধানতা অবলম্বন হয়ে থাকে, তাহলে সুন্নাহ এর বিপরীত মতকে পরিত্যাগ করা ও সুন্নাহ অনুসরণ করাই বাঞ্চনীয়।
সাবধানতা দুই প্রকার: আলেমদের মতানৈক্য থেকে মুক্ত হওয়ার সাবধানতা। আর সুন্নাহ এর বিরোধিতা থেকে মুক্ত হওয়ার সাবধানতা। এখানে একটির উপরে অপরটির প্রাধান্য পাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট। অর্থাৎ সুন্নাহ এর বিরোধিতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সাবধানতা অবলম্বন অধিক উত্তম, আলেমদের মতানৈক্য থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা থেকে।
ইবনুল কাইয়্যীম তাহযীবুস সুনান গ্রন্থে (১/৭২) বলেছেন: সাবধানতা ঐ আমলগুলোর মাঝে অবলম্বন করতে হয়, যেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি একটি আমলকে পরিত্যাগ করে আরেকটি আমল কার্যকর করার স্বার্থে। আর আল্লাহ ও তাঁর রসূল থেকে বর্ণিত শারঈ বিধিমালা ও খবরসমূহের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের পদ্ধতি হলো উক্ত বিষয়ে একমাত্র যা তিনি বর্ণনা করেছেন, তাই বর্ণনা করা। আর যা তিনি সাব্যস্ত করেছেন, একমাত্র তাই সাব্যস্ত করা। এরপরে সাবধানতা হলো এমন সাবধানতা পরিত্যাগ করার মধ্যেই নিহিত আছে। কারণ কোনো ব্যক্তির সম্মুখে ছুলাত এর সময় আসলে এই পরিস্থিতিতে যদি তার নিকট এক কুল্লাহ পরিমাণ পানি থাকে, যাতে মৃতব্যক্তির চুল পতিত হয়েছে, তাহলে এমন অবস্থায় তার জন্য উযূ না করাটাই সাবধানতা অবলম্বনের পরিপন্থি। যদি উযূ না করো, তাহলে কেন তোমরা এমন মূলনীতি এখানে গ্রহণ করলে, কেন বললে: শারঈ দলীলের দ্বারা যা নাপাক হওয়া প্রমাণিত হয়েছে, সেটাকে আমরা নাপাক সাব্যস্ত করব, আর যেই বস্তু নাপাক হওয়ার ব্যাপারে আমরা সংশয়ে পতিত হব, সেই বিষয়টিকে তার মৌলিক অবস্থার (যা পবিত্র) দিকে ফিরিয়ে দিব
তিনি যাদুল মা'আদ গ্রন্থে (২/২১২) বলেছেন: সাবধানতা তখন বিধিসম্মত হবে, যখন সুন্নাহ স্পষ্ট না হয়। যদি সুন্নাহ স্পষ্ট হয়, তাহলে প্রকৃত সাবধানতা হলো সুন্নাহ এর অনুসরণ এবং সুন্নাহ এর বিপরীত মতকে পরিত্যাগ করণ। সুন্নাহকে মতানৈক্যের কারণে পরিত্যাগ করা যদি সাবধানতা অবলম্বন হয়ে থাকে, তাহলে সুন্নাহ এর বিপরীত মতকে পরিত্যাগ করা ও সুন্নাহ অনুসরণ করাই বাঞ্চনীয়।
সাবধানতা দুই প্রকার: আলেমদের মতানৈক্য থেকে মুক্ত হওয়ার সাবধানতা। আর সুন্নাহ এর বিরোধিতা থেকে মুক্ত হওয়ার সাবধানতা। এখানে একটির উপরে অপরটির প্রাধান্য পাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট। অর্থাৎ সুন্নাহ এর বিরোধিতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সাবধানতা অবলম্বন অধিক উত্তম, আলেমদের মতানৈক্য থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা থেকে।
তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন