উত্তর: উক্ববাহ ইবনু আমীর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলায় (পরিধান করে) আল্লাহ যেন তার আশা পূরণ না করেন। যে ব্যক্তি কড়ি, শঙ্খ বা শামুক ঝুলায় তাকে যেন আল্লাহ রক্ষা না করেন’। (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪০৪, সনদ ছহীহ) অন্যত্র একই রাবী বলেন, ‘একদল মানুষ রাসূল (ﷺ)-এর নিকট আগমন করেন। তিনি তাদের ৯ জনের বাই‘আত গ্রহণ করেন এবং একজনের বাই‘আত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনি ৯ জনের বাই‘আত গ্রহণ করলেন কিন্তু একে পরিত্যাগ করলেন? তিনি বলেন, এর দেহে একটি তাবীয আছে। তখন তিনি তার হাত ঢুকিয়ে তাবীযটি ছিড়ে ফেলেন। অতঃপর তিনি তার বাই‘আত গ্রহণ করেন এবং বলেন, ‘যে তাবীয ঝুলালো সে শিরক করল’। (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪২২; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, ১/৮৮৯) সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি আলেমগণ, শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘আলেমগণের সর্বসম্মতিক্রমে তাবীয-কবয করা ও লটকানো বা পরিধান করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো পূর্ববর্তী মুশরিকদের আমলের ন্যায়। (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১/২১২ পৃ.; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায ২৮/২৯২ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১০৪১১১)
শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) ও শায়খ ছালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘যেহেতু তাবীয-কবয করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। তাই ঐ ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা জায়েয নয়’ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১০৪১১১)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন,
‘যে তাবীয লেখালেখি করে তার পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে না। তাকে বোঝানো অপরিহার্য যে, এটি শিরক। যেই জানে তাকে জানানোটা তার উপরেই অপরিহার্য’। (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৩/৬৫ পৃ.) শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তার পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে না এবং তার ইমামতি বৈধ নয়’। (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৯/২৭৮, ৯/৩৭৩-৩৭৪ ও ১২/১০৮-১০৯ পৃ.)
উৎস: মাসিক আল ইখলাস, মে ২০২৩
শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) ও শায়খ ছালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘যেহেতু তাবীয-কবয করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। তাই ঐ ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা জায়েয নয়’ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১০৪১১১)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন,
‘যে তাবীয লেখালেখি করে তার পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে না। তাকে বোঝানো অপরিহার্য যে, এটি শিরক। যেই জানে তাকে জানানোটা তার উপরেই অপরিহার্য’। (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৩/৬৫ পৃ.) শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তার পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে না এবং তার ইমামতি বৈধ নয়’। (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৯/২৭৮, ৯/৩৭৩-৩৭৪ ও ১২/১০৮-১০৯ পৃ.)
উৎস: মাসিক আল ইখলাস, মে ২০২৩