উসূলুল ফিকহ যেই বিষয়ে মানুষের প্রয়োজন অনেক ব্যাপক, যদি সেই বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট দলীল না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে বিষয়টি বৈধ।

Habib Bin TofajjalVerified member

If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Joined
Nov 25, 2022
Threads
689
Comments
1,229
Solutions
17
Reactions
7,185
শায়খুল ইসলাম মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (২১/২৩৬) নারীকে স্পর্শ করার কারণে উযূ ভঙ্গ হওয়ার আলোচনায় বলেছেন: এই বিষয়টি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংঘটিত হওয়ার পরেও কেউ এটাকে সার্বিক ক্ষেত্রে মানতে নারাজ। কারণ একজন পুরুষ সর্বদা স্বীয় স্ত্রীর সঙ্গে কিছু না কিছু লেনদেন করতেই থাকে এবং সেই বস্তুটি স্ত্রী নিজ হাত দ্বারা গ্রহণ করে থাকে। আর এই জাতীয় পরিস্থিতির সম্মুখীন মানুষকে অনেক বেশি হতে হয়। যদি এই কারণে উযূ ওয়াজিব হতো, তাহলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একের পর এক এই বিষয়ের আদেশ দিতেন এবং এই বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার লাভ করত। আর তিনি এমনটি করলে তাঁর থেকে বিষয়টি খবরে ওয়াহিদ পর্যায়ে হলেও বর্ণিত হতো। যেহেতু কোনো মুসলিম তাঁর থেকে এটা বর্ণনা করেনি যে, এই বিষয়টি ব্যাপক পরিসরে ঘটলেও তিনি কোনো মুসলিমকে এমন কোনো বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন, বিধায় বোঝা গেল যে, এটা ওয়াজিব নয়।

শায়খুল ইসলাম মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (২৫/২৪১) সিয়ামপালনকারী সিয়াম কী কারণে ভঙ্গ হয় আর কী কারণে ভঙ্গ হয় না সেই বিষয়ে আলোচনা করার পরে বলেছেন:
যদি বিধানগুলো এমন হয়, মানুষ যেই বিধানগুলোর অনেক বেশি সম্মুখীন হয়, যেগুলো রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য সাধারণভাবে বর্ণনা করে দেওয়া আবশ্যক, আর জাতির জন্যেও সেই বিষয়গুলো বর্ণনা করা আবশ্যক, তাহলে বুঝতে হবে যে, সুরমাও এই জাতীয় বিষয় এমন বিষয়গুলোরই অন্তর্ভুক্ত, যেগুলোর সম্মুখীন মানুষকে অনেক বেশি হতে হয়। যেমন, তেল মালিশ করা, গোসল করা, ধূপ ব্যবহার করা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করার বিষয়গুলোও এমন, যেগুলোর সম্মুখীন মানুষ অনেক বেশি হয়, যদি এমন বিষয় সিয়াম ভেঙ্গে দিত, তাহলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই তা বর্ণনা করতেন। যেমন অন্যান্য যেসকল কারণে সিয়াম ভঙ্গ হয়, তা তিনি বর্ণনা করেছেন। সুতরাং যখন তিনি এটা বর্ণনা করলেন না, তখন স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এটাও সুগন্ধি, ধূপ ও তেল জাতীয় বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। ধূপ কখনো নাক পর্যন্ত উঠে আসে এবং মস্তিষ্কে প্রবেশ করে, বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে সেখানে জমাট বাঁধে, আর তেলকে শরীর শুষে নিজের ভেতরে টেনে নেয়, আর এর দ্বারা মানুষ শক্তিও অর্জন করে আর এভাবেই সুগন্ধি দ্বারাও ভালো শক্তি অর্জিত হয়, এরপরেও যখন তিনি সিয়ামপালনকারীকে এই বিষয়টি থেকে নিষেধ করলেন না, তখন বোঝা গেল যে, সুগন্ধি ব্যবহার, ধূপ ব্যবহার ও তেল ব্যবহার করা জায়েয এমনিভাবে সুরমা লাগানোও জায়েয।


তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন
 
Similar threads Most view View more
Back
Top