If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
যেই কর্ম হারাম কর্মের দিকে ধাবিত করে তা হারাম। যেমন কোনো নফল কর্ম যদি কোনো ফরয পরিত্যাগের পথে ধাবিত করে, যেমন কোনো ব্যক্তি দীর্ঘ রাত্রি পর্যন্ত ছুলাত আদায় করে ফজরের ছুলাত আদায় না করে ঘুমিয়ে গেল, তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য রাত্রিকালীন নফল ছুলাত আদায় করা জায়েয হবে না, যদি তা ফজরের ছুলাত পরিত্যাগের কারণ হয়।
অথবা যদি কোনো বৈধ কর্ম কোনো হারাম কর্মের দিকে ধাবিত করে, যেমন কোনো ব্যক্তি যদি একাকী থাকার কারণে হারাম কর্মে লিপ্ত হয়, তাহলে তার জন্য একাকী থাকা জায়েয হবে না, যদি তা হারাম কর্মে লিপ্ত হওয়ার কারণ হয় অথবা যদি কোনো বৈধ কর্ম কোনো হারাম কর্মে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয় তাহলে সেই বৈধ কর্মটি হারাম বলে বিবেচিত হবে।
ইবনুল ক্বাইয়্যীম ইগাছাতুল লাহফান গ্রন্থে (১/৩৬১) বলেছেন: যখন তুমি শরী'আতের বিধিসমূহ নিয়ে গবেষণা করবে, দেখতে পাবে যে, শরী'আত হারাম কর্মসমূহের সকল মাধ্যমকে বন্ধ করে দিয়েছে। আর এটা হলো হারাম কর্মসমূহে প্রবেশ করার যাবতীয় কৌশলের দুয়ার উল্টে দেওয়ার ন্যায়, যেহেতু সকল কৌশল ও মাধ্যমগুলো হলো নিষিদ্ধ কর্মসমূহের প্রবেশদ্বার। আর এই প্রবেশদ্বারের সকল পথ আটকে দেওয়াটাই হলো তা বন্ধ করে দেওয়া, আর উভয় দরজার মাঝে মহা বৈপরীত্য বিদ্যমান । আর শরী'আত প্রণেতা সকল মাধ্যমকে হারাম ঘোষণ করেছেন, যদিও তিনি মাধ্যমগুলোর ক্ষেত্রে আসল হারাম বা নিষেধাজ্ঞা উদ্দেশ্য করেননি। যেহেতু মাধ্যমগুলো হারাম কর্মের নিকটে পৌঁছে দেয়, তাহলে যখন তিনি আসল হারাম কর্মকে উদ্দেশ্য করে হারাম ঘোষণা করেন, তখন সেই ঘোষণা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে?
শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমীয়্যাহ ত্বরীকুল উচ্ছ্বল ইলাল ‘ইলমিল মামূল গ্রন্থে (১১৩ নং পৃষ্ঠা) বলেছেন: যদি সাধারণ দর্শক অথবা পথচারীর (আমলকারী) নিকটে কোনো বিষয়ের বিধান সম্পর্কে সংশয় তৈরি হয় যে, এটা বৈধ না হারাম, তাহলে সে যেনো উক্ত বিষয়টির অকল্যাণ, ফলাফল ও উদ্দেশ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করে, যদি তা স্পষ্ট অগ্রাধিকারযোগ্য অকল্যাণ সম্বলিত হয়, তাহলে শরী‘আত প্রণেতার জন্য এটা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না যে, তিনি উক্ত বিষয় সম্পাদন করার আদেশ দিবেন বা বৈধতা দিবেন। বরং এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, শরী'আত এমন বিষয়কে হারাম সাব্যস্ত করবে বিশেষভাবে যখন সেই বিষয়টি আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রসূলকে রাগান্বিত করার পর্যায়ে উপনীত করে।
অথবা যদি কোনো বৈধ কর্ম কোনো হারাম কর্মের দিকে ধাবিত করে, যেমন কোনো ব্যক্তি যদি একাকী থাকার কারণে হারাম কর্মে লিপ্ত হয়, তাহলে তার জন্য একাকী থাকা জায়েয হবে না, যদি তা হারাম কর্মে লিপ্ত হওয়ার কারণ হয় অথবা যদি কোনো বৈধ কর্ম কোনো হারাম কর্মে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয় তাহলে সেই বৈধ কর্মটি হারাম বলে বিবেচিত হবে।
ইবনুল ক্বাইয়্যীম ইগাছাতুল লাহফান গ্রন্থে (১/৩৬১) বলেছেন: যখন তুমি শরী'আতের বিধিসমূহ নিয়ে গবেষণা করবে, দেখতে পাবে যে, শরী'আত হারাম কর্মসমূহের সকল মাধ্যমকে বন্ধ করে দিয়েছে। আর এটা হলো হারাম কর্মসমূহে প্রবেশ করার যাবতীয় কৌশলের দুয়ার উল্টে দেওয়ার ন্যায়, যেহেতু সকল কৌশল ও মাধ্যমগুলো হলো নিষিদ্ধ কর্মসমূহের প্রবেশদ্বার। আর এই প্রবেশদ্বারের সকল পথ আটকে দেওয়াটাই হলো তা বন্ধ করে দেওয়া, আর উভয় দরজার মাঝে মহা বৈপরীত্য বিদ্যমান । আর শরী'আত প্রণেতা সকল মাধ্যমকে হারাম ঘোষণ করেছেন, যদিও তিনি মাধ্যমগুলোর ক্ষেত্রে আসল হারাম বা নিষেধাজ্ঞা উদ্দেশ্য করেননি। যেহেতু মাধ্যমগুলো হারাম কর্মের নিকটে পৌঁছে দেয়, তাহলে যখন তিনি আসল হারাম কর্মকে উদ্দেশ্য করে হারাম ঘোষণা করেন, তখন সেই ঘোষণা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে?
শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমীয়্যাহ ত্বরীকুল উচ্ছ্বল ইলাল ‘ইলমিল মামূল গ্রন্থে (১১৩ নং পৃষ্ঠা) বলেছেন: যদি সাধারণ দর্শক অথবা পথচারীর (আমলকারী) নিকটে কোনো বিষয়ের বিধান সম্পর্কে সংশয় তৈরি হয় যে, এটা বৈধ না হারাম, তাহলে সে যেনো উক্ত বিষয়টির অকল্যাণ, ফলাফল ও উদ্দেশ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করে, যদি তা স্পষ্ট অগ্রাধিকারযোগ্য অকল্যাণ সম্বলিত হয়, তাহলে শরী‘আত প্রণেতার জন্য এটা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না যে, তিনি উক্ত বিষয় সম্পাদন করার আদেশ দিবেন বা বৈধতা দিবেন। বরং এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, শরী'আত এমন বিষয়কে হারাম সাব্যস্ত করবে বিশেষভাবে যখন সেই বিষয়টি আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রসূলকে রাগান্বিত করার পর্যায়ে উপনীত করে।
আরও পড়ুন - তাওদ্বীহু উচ্ছ্বলিল ফিকহ