Knowledge Sharer
ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 1,129
- Comments
- 1,321
- Solutions
- 1
- Reactions
- 12,518
- Thread Author
- #1
যুহদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছয়টি জিনিস রয়েছে, যেগুলো পরিত্যাগ করতে না পারলে বান্দা কখনো "যাহিদ বা দুনিয়ার প্রতি নিরুৎসাহী" নামের উপযুক্ত হতে পারে না। সেগুলো হলো- সম্পদ, চাকচিক্য, নেতৃত্ব, মানুষ, কুপ্রবৃত্তি ও আল্লাহ ব্যতীত সবকিছু।
এর অর্থ এই নয় যে, কোনোভাবেই এগুলোর মালিক হওয়া যাবে না। কারণ, সুলাইমান ও দাউদ (আলাইহিমাস-সালাম) সে যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ যাহিদ ছিলেন। অথচ তাঁদের অধীনে ছিল অঢেল সম্পদ, নারী ও ক্ষমতা। তেমনিভাবে আমাদের নাবীও ছিলেন পুরো মানব জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ যাহিদ। অথচ তাঁর অধীনে ছিল নয়জন স্ত্রী।
অনুরূপভাবে আলী ইবনু আবু তালিব, আব্দুর রহমান ইবনু আউফ, যুবাইর এবং উসমানও যাহিদ ছিলেন। অথচ তাঁদের অনেক সম্পদ ছিল। হাসান ইবন আলীও যাহিদ ছিলেন। অথচ তিনি এ উম্মতের সবচেয়ে বেশি নারী বান্ধব ও সম্পদশালী ছিলেন। তিনি প্রচুর নারীকে বিবাহ করেছেন। তেমনিভাবে আব্দুল্লাহ ইবনুল-মুবারক [রহিমাহুল্লাহ] নেতৃস্থানীয় একজন যাহিদ ছিলেন। অথচ তার সম্পদ ছিল অনেক বেশি। লাইস ইবনু সা'দ এবং সুফইয়ান সাওরীও নেতৃস্থানীয় যাহিদ ছিলেন। অথচ তাঁর সম্পদ ছিল ছিলেন। অথচ তাঁর পুঁজি ছিল অনেক বেশি। তিনি বলতেন: যদি সম্পদ না থাকত তাহলে দুনিয়াপন্থীরা আমাদেরকে হাতের রুমাল বানাত।
যুহদ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি সুন্দর কথা বলেছেন হাসান বাসরী (রহিমাহুল্লাহ)। তিনি বলেন, দুনিয়ার প্রতি যুহদ বলতে হালালকে হারাম করা এবং সম্পদ বিনষ্ট না করাকে বুঝায় না; বরং যুহদ হলো আপনার হাতে যে সম্পদ রয়েছে তারচেয়ে মনের বেশি শক্তিশালী সম্পর্ক থাকতে হবে সেই সম্পদের সাথে যা আল্লাহর হাতে রয়েছে। তেমনিভাবে কোনো বিপদ আসলে তার সাওয়াব পেতে বেশি আগ্রহী হওয়া একেবারে বিপদ না আসার আগ্রহের চেয়ে। এটিই যুহদ বিষয়ে সবচেয়ে সুন্দর ও পরিপূর্ণ কথা।
[অন্তরের মহৌষধ, ইমাম ইবনুল কাইয়িম; আত তাওহীদ প্রকাশনী]
এর অর্থ এই নয় যে, কোনোভাবেই এগুলোর মালিক হওয়া যাবে না। কারণ, সুলাইমান ও দাউদ (আলাইহিমাস-সালাম) সে যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ যাহিদ ছিলেন। অথচ তাঁদের অধীনে ছিল অঢেল সম্পদ, নারী ও ক্ষমতা। তেমনিভাবে আমাদের নাবীও ছিলেন পুরো মানব জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ যাহিদ। অথচ তাঁর অধীনে ছিল নয়জন স্ত্রী।
অনুরূপভাবে আলী ইবনু আবু তালিব, আব্দুর রহমান ইবনু আউফ, যুবাইর এবং উসমানও যাহিদ ছিলেন। অথচ তাঁদের অনেক সম্পদ ছিল। হাসান ইবন আলীও যাহিদ ছিলেন। অথচ তিনি এ উম্মতের সবচেয়ে বেশি নারী বান্ধব ও সম্পদশালী ছিলেন। তিনি প্রচুর নারীকে বিবাহ করেছেন। তেমনিভাবে আব্দুল্লাহ ইবনুল-মুবারক [রহিমাহুল্লাহ] নেতৃস্থানীয় একজন যাহিদ ছিলেন। অথচ তার সম্পদ ছিল অনেক বেশি। লাইস ইবনু সা'দ এবং সুফইয়ান সাওরীও নেতৃস্থানীয় যাহিদ ছিলেন। অথচ তাঁর সম্পদ ছিল ছিলেন। অথচ তাঁর পুঁজি ছিল অনেক বেশি। তিনি বলতেন: যদি সম্পদ না থাকত তাহলে দুনিয়াপন্থীরা আমাদেরকে হাতের রুমাল বানাত।
যুহদ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি সুন্দর কথা বলেছেন হাসান বাসরী (রহিমাহুল্লাহ)। তিনি বলেন, দুনিয়ার প্রতি যুহদ বলতে হালালকে হারাম করা এবং সম্পদ বিনষ্ট না করাকে বুঝায় না; বরং যুহদ হলো আপনার হাতে যে সম্পদ রয়েছে তারচেয়ে মনের বেশি শক্তিশালী সম্পর্ক থাকতে হবে সেই সম্পদের সাথে যা আল্লাহর হাতে রয়েছে। তেমনিভাবে কোনো বিপদ আসলে তার সাওয়াব পেতে বেশি আগ্রহী হওয়া একেবারে বিপদ না আসার আগ্রহের চেয়ে। এটিই যুহদ বিষয়ে সবচেয়ে সুন্দর ও পরিপূর্ণ কথা।
[অন্তরের মহৌষধ, ইমাম ইবনুল কাইয়িম; আত তাওহীদ প্রকাশনী]