অনেক সময় মানুষের বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, অন্যায়, অবিচার ইত্যাদি দেখে বলা হয়, ‘যুগটাই খারাপ হয়ে গেছে’, ‘যুগের দোষ’, ‘যুগটা গাদ্দার হয়ে গেছে’ ইত্যাদি এমন আরও কথা বলা হয়ে থাকে। সময়ের ব্যাপারে এ ধরনের কথা বলা ইসলামে নিষিদ্ধ। কেননা, সময় বা যুগের কোনো শক্তি নেই। সময় বা যুগ কোনো কিছু ঘটাতে পারে না। সব কিছু আল্লাহ তাআলা পরিবর্তন করে থাকেন। এ কারণে যুগকে গালি দেওয়া বা যুগকে খারাপ বলা প্রকারান্তে আল্লাহর পরিচালনাকে গালি দেওয়া বা খারাপ বলা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা যুগকে গালি দিয়ো না। কেননা আল্লাহ তাআলা যুগকে পরিবর্তনকারী। [সহীহ মুসলিম, ৫৭৫৯]
হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
আদম সন্তান আমাকে এ বলে দুঃখ দেয়—দুর্ভাগা যুগ। অতএব, তোমাদের কেউ যেন ‘দুর্ভাগা যুগ’ না বলে। কেননা আমিই যুগের রাত-দিনকে পরিবর্তন করি। যখন চাই রাত-দিন উভয়কে সংকুচিত করি। [সহীহ মুসলিম, ৫৭৫৭]
যারা এ ধরনের কথা বলে, তারা তিন শ্রেণির হতে পারে :
ক. এই শ্রেণি মনে করে যে, যুগের নিজস্ব ক্ষমতা আছে। যুগ তার নিজস্ব ক্ষমতায় সবকিছু পরিবর্তন করতে পারে। এমনটা মনে করে যুগকে দোষারোপ করা শিরক। এমন বিশ্বাসের কারণে ঈমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, এ বিশ্বাসের মাধ্যমে সৃষ্টিকার্যে আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করা হয়।
খ. এই শ্রেণি বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ তাআলা যুগের পরিবর্তনকারী। যুগের কোনো ক্ষমতা নেই; বরং আল্লাহর ইচ্ছায় সব কিছু পরিবর্তন হয়। কিন্তু কাল বা যুগের পরিক্রমায় সেসব ঘটে বলে যুগকে খারাপ বলে ও গালি দেয়। এমন বিশ্বাস নিয়ে যুগকে খারাপ বলা ও গালি দেওয়া হারাম। এ কারণে পাপ হবে তবে কাফির হয়ে যাবে না। কেননা, এতে সরাসরি আল্লাহকে গালি দেওয়া হয় না বা খারাপ বলা হয় না।
গ. যুগকে খারাপ বলা উদ্দেশ্য নয়; বরং যুগের মানুষদের খারাপ বলা উদ্দেশ্য। তারপরও সরাসরি এভাবে যুগকে খারাপ বলা ঠিক নয়। কারণ, তা নিষিদ্ধ শব্দের সাথে সাদৃশ্য রাখে। অনেক সময় তা দ্বিতীয় শ্রেণির অন্তর্ভূক্তও হয়ে যেতে পারে। তাই এসব কথা পরিহার করা আবশ্যক।
--- বই: যেসব কথা বলতে মানা, লেখক: উস্তদ আব্দুল্লাহ মাহমুদ; আযান প্রকাশনী
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা যুগকে গালি দিয়ো না। কেননা আল্লাহ তাআলা যুগকে পরিবর্তনকারী। [সহীহ মুসলিম, ৫৭৫৯]
হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
আদম সন্তান আমাকে এ বলে দুঃখ দেয়—দুর্ভাগা যুগ। অতএব, তোমাদের কেউ যেন ‘দুর্ভাগা যুগ’ না বলে। কেননা আমিই যুগের রাত-দিনকে পরিবর্তন করি। যখন চাই রাত-দিন উভয়কে সংকুচিত করি। [সহীহ মুসলিম, ৫৭৫৭]
যারা এ ধরনের কথা বলে, তারা তিন শ্রেণির হতে পারে :
ক. এই শ্রেণি মনে করে যে, যুগের নিজস্ব ক্ষমতা আছে। যুগ তার নিজস্ব ক্ষমতায় সবকিছু পরিবর্তন করতে পারে। এমনটা মনে করে যুগকে দোষারোপ করা শিরক। এমন বিশ্বাসের কারণে ঈমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, এ বিশ্বাসের মাধ্যমে সৃষ্টিকার্যে আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করা হয়।
খ. এই শ্রেণি বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ তাআলা যুগের পরিবর্তনকারী। যুগের কোনো ক্ষমতা নেই; বরং আল্লাহর ইচ্ছায় সব কিছু পরিবর্তন হয়। কিন্তু কাল বা যুগের পরিক্রমায় সেসব ঘটে বলে যুগকে খারাপ বলে ও গালি দেয়। এমন বিশ্বাস নিয়ে যুগকে খারাপ বলা ও গালি দেওয়া হারাম। এ কারণে পাপ হবে তবে কাফির হয়ে যাবে না। কেননা, এতে সরাসরি আল্লাহকে গালি দেওয়া হয় না বা খারাপ বলা হয় না।
গ. যুগকে খারাপ বলা উদ্দেশ্য নয়; বরং যুগের মানুষদের খারাপ বলা উদ্দেশ্য। তারপরও সরাসরি এভাবে যুগকে খারাপ বলা ঠিক নয়। কারণ, তা নিষিদ্ধ শব্দের সাথে সাদৃশ্য রাখে। অনেক সময় তা দ্বিতীয় শ্রেণির অন্তর্ভূক্তও হয়ে যেতে পারে। তাই এসব কথা পরিহার করা আবশ্যক।
--- বই: যেসব কথা বলতে মানা, লেখক: উস্তদ আব্দুল্লাহ মাহমুদ; আযান প্রকাশনী