Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
কেউ যদি যাকাত ওয়াজিব হওয়াকে অস্বীকার করে তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে। সে তওবা করে ফিরে না আসলে তার রক্ত মুসলমানদের জন্য হালাল হয়ে যাবে। কেননা কুরআন ও সন্নাহ দ্বারা যাকাত ফরয সাব্যস্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে কেউ যদি যাকাত ওয়াজিব হওয়াকে স্বীকার করে কিন্তু অজ্ঞতাবশত অথবা কৃপণতার কারণে যাকাত আদায় না করে তাহলে সে কাবীরা গুনাহগার হবে। তবে ইসলাম থেকে বের হবে না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যাকাত ত্যাগকারী সম্পর্কে বলেন,
অতএব কৃপণতাবশত যাকাত ত্যাগকারী কাফের হলে তার জান্নাতের কোন পথ থাকবে না। তবে সরকার তার থেকে জোরপূর্বক যাকাত আদায় করবে। এক্ষেত্রে যাকাত আদায় করতে অস্বীকার করলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
হাদীসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মৃত্যুর পরে কুরাইশরা তাদের সম্পদের যাকাত আদায়ে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে আবু বকর (রাঃ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। হাদীসে এসেছে,
অন্য হাদীসে এসেছে,
[1]. মুসলিম হা/৯৮৭; মিশকাত হা/১৭৭৩, ‘যাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ (এমদাদিয়া) ৪/১২৩ পৃঃ।
[2]. বুখারী হা/২৫, ‘ঈমান’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ১/২১ পৃঃ; মুসলিম হা/২২।
[3]. বুখারী হা/১৪০০, ‘যাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ২/৭৮ পৃঃ; মিশকাত হা/১৭৯০।
[4]. বুখারী হা/১৪০০, ‘যাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ২/৭৮ পৃঃ; মিশকাত হা/১৭৯০।
فَيُرَى سَبِيْلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ-
‘অতঃপর তাকে তার পথ দেখানো হবে জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে’।[1]অতএব কৃপণতাবশত যাকাত ত্যাগকারী কাফের হলে তার জান্নাতের কোন পথ থাকবে না। তবে সরকার তার থেকে জোরপূর্বক যাকাত আদায় করবে। এক্ষেত্রে যাকাত আদায় করতে অস্বীকার করলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
فَإِنْ تَابُوْا وَأَقَامُوْا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوْا سَبِيْلَهُمْ إِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَحِيْمٌ-
‘কিন্তু যদি তারা তওবা করে, ছালাত ক্বায়েম করে ও যাকাত আদায় করে তবে তাদের পথ ছেড়ে দিবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (তওবা ৯/৫)।হাদীসে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوْا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُوْلُ اللهِ، وَيُقِيْمُوْا الصَّلاَةَ، وَيُؤْتُوْا الزَّكَاةَ، فَإِذَا فَعَلُوْا ذَلِكَ عَصَمُوْا مِنِّيْ دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلاَّ بِحَقِّ الإِسْلاَمِ، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللهِ-
ইবনু ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘আমি লোকদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আদিষ্ট হয়েছি, যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য ইলাহ নেই ও মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল, আর ছালাত ক্বায়েম করে ও যাকাত আদায় করে। তারা যদি এগুলো করে, তবে আমার পক্ষ হতে তাদের জান ও মালের নিরাপত্তা লাভ করল; অবশ্য ইসলামের বিধান অনুযায়ী যদি কোন কারণ থাকে, তাহলে স্বতন্ত্র কথা। আর তাদের হিসাবের ভার আল্লাহর উপর ন্যাস্ত’।[2]রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মৃত্যুর পরে কুরাইশরা তাদের সম্পদের যাকাত আদায়ে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে আবু বকর (রাঃ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضى الله عنه قَالَ قَالَ أَبُوْ بَكْرٍ رضى الله عنه وَاللهِ لَوْ مَنَعُوْنِيْ عَنَاقًا كَانُوْا يُؤَدُّوْنَهَا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهَا-
আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর (রাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম! যদি তারা একটি মেষ শাবক যাকাত দিতেও অস্বীকৃতি জানায় যা আল্লাহর রাসূল (সাঃ)-এর কাছে তারা দিত, তাহলে যাকাত না দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই যুদ্ধ করব’।[3]অন্য হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ لَمَّا تُوُفِّىَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَاسْتُخْلِفَ أَبُوْ بَكْرٍ بَعْدَهُ وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَبِ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لأَبِيْ بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُوْلُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَمَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَقَدْ عَصَمَ مِنِّيْ مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلاَّ بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ وَاللهِ لأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ وَاللهِ لَوْ مَنَعُوْنِيْ عِقَالاً كَانُوْا يُؤَدُّوْنَهُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَوَاللهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ رَأَيْتُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبِيْ بَكْرٍ لِلْقِتَالِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ-
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মৃত্যুর পরে যখন আবু বকর (রাঃ) খলীফা নির্বাচিত হলেন, তখন আরবদের কিছু লোক (যাকাত আদায়ে) অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল। (আবু বকর (রাঃ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন)। তখন ওমর (রাঃ) বললেন, আপনি কিভাবে লোকদের সাথে যুদ্ধ করবেন? কারণ রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমাকে লোকদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যতক্ষণ না তারা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-কে স্বীকার করে। আর যে ব্যক্তি তা স্বীকার করবে সে তার সম্পদ ও প্রাণ আমার হাত থেকে সংরক্ষিত করে নিবে। তবে ইসলামের অধিকার ব্যতীত। আর অন্য সবকিছুর হিসাবে আল্লাহর কাছে রয়েছে। অতঃপর আবু বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! যে ব্যক্তি ছালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করবে আমি তার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হব। কারণ যাকাত হচ্ছে আল্লাহর সম্পদের হক। আল্লাহর শপথ! তারা যদি উটের গলার একটি রশিও দিতে অস্বীকার করে, যা তারা রাসূল (সাঃ)-এর যামানায় দিত, তাহলে এ অস্বীকৃতির কারণে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। ওমর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি দেখলাম আল্লাহ আবু বকর (রাঃ)-এর হৃদয়কে যুদ্ধের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। কাজেই আমি বুঝতে পারলাম, আবু বকর (রাঃ)-এর সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।[4][1]. মুসলিম হা/৯৮৭; মিশকাত হা/১৭৭৩, ‘যাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ (এমদাদিয়া) ৪/১২৩ পৃঃ।
[2]. বুখারী হা/২৫, ‘ঈমান’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ১/২১ পৃঃ; মুসলিম হা/২২।
[3]. বুখারী হা/১৪০০, ‘যাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ২/৭৮ পৃঃ; মিশকাত হা/১৭৯০।
[4]. বুখারী হা/১৪০০, ‘যাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ২/৭৮ পৃঃ; মিশকাত হা/১৭৯০।