যাকাত আদায় না করার অনেক ভয়াবহ পরিণতি কুরআন ও সুন্নাহতে বর্ণিত হয়েছে। যেমন-
১) যাকাত আদায় না করলে কিয়ামতের দিন সম্পদকে বেড়ী হিসাবে গলায় পরিয়ে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল 'আলামীন বলেন,
“আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে যা দান করেছেন তাতে যারা কৃপণতা করে, এই কার্পন্য তাদের জন্য মঙ্গলকর হবে বলে তারা যেন ধারণা না করে; বরং এটা তাদের পক্ষে একান্তই ক্ষতিকর প্রতিপন্ন হবে। যাতে তারা কার্পন্য করে সে সমস্ত ধন সম্পদকে কিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ী বানিয়ে পরানো হবে। আর আল্লাহ হচ্ছেন আসমান ও যমীনের পরম সত্ত্বাধিকারী। আর যা কিছু তোমরা কর; আল্লাহ সে সম্পর্কে জানেন।” (সূরা আলে ইমরান : ১৮০)
যারা যাকাত আদায় করে না, তাদের অনেকেই মনে করে যে, যাকাত প্রদানের ফলে সম্পদ হাত ছাড়া হয়ে যায়। তাই তারা যাকাত আদায় না করে সম্পদ নিজেদের কাছে গচ্ছিত রেখে দেওয়াকে ভালো মনে করে। অথচ তাদেরকে তো এক সময় এই অঢেল সম্পদ ছেড়েই আখিরাতে চলে যেতে হয়। আবার সেই গচ্ছিত সম্পদ কিয়ামতের দিন তাদেরকে গলায় বেড়ী হিসাবে পরিয়ে দেওয়া হয়। সুতরাং যাকাত আদায় না করার পরিণতি খুবই শোচনীয়।
২) যাকাত আদায় না করা হলো মুশরিকদের একটি বৈশিষ্ট্য। এ প্রসঙ্গে আল-কুরআনে বর্ণিত হয়েছে যে,“আর মুশরিকদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ, যারা যাকাত দেয় না এবং পরকালকে অস্বীকার করে।” (সূরা ফুসসিলাত : ৬-৭)
একজন মুসলিমের বৈশিষ্ট্য কখনওই মুশরিকদের মতো হওয়া উচিৎ নয়। কিন্তু যাকাত আদায় না করলে এক্ষেত্রে মুসলিমের বৈশিষ্ট্য মুশরিকদের মতোই হয়ে যায়।
৩) যাকাত আদায় না করলে কিয়ামতের দিন সম্পদকে জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে লোহার পাতে রাখা হবে। তারপর সেই লোহার পাত দিয়ে কপালে, পার্শ্বদেশে ও পৃষ্ঠদেশে ছেঁকা দেওয়া হবে যেন সামনের মানুষ কপাল দেখে, ডান ও বাম পাশের মানুষ পার্শ্বদেশ দেখে এবং পেছনের মানুষ পৃষ্ঠদেশ দেখে যাকাত আদায় না করা ব্যক্তিদেরকে চিনতে পারে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল 'আলামীন বলেন, “সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে, (সেদিন বলা হবে) এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রাখার স্বাদ গ্রহণ করো।” (সূরা আত-তাওবা : ৩৫)
যে ব্যক্তি যাকাত আদায় করবে না, তার সম্পর্কে কিয়ামতের দিন আশেপাশের মানুষ জানতে পারবে যে, সে কতটা ঘৃণিত ব্যক্তি। কেননা সে যাকাত আদায় থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছে, আবার মানুষের হকও সে আদায় করেনি।
যাকাত আদায় না করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সোনা-রূপার অধিকারী যেসব লোক এ হক (যাকাত) আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তার ঐ সোনা-রূপা দিয়ে তার জন্য আগুনের অনেক পাত তৈরি করা হবে, অতঃপর তা জাহান্নামের আগুনে গরম করা হবে। অতঃপর তা দিয়ে কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে। যখনই ঠাণ্ডা হয়ে আসবে পুনরায় তা উত্তপ্ত করা হবে। এরূপ করা হবে এমন একদিন যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। আর তার এরূপ শস্তি লোকদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। অতঃপর তাদের কেউ পথ ধরবে জান্নাতের দিকে আর কেউ জাহান্নামের দিকে।" জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, উটের (মালিকের) কী অবস্থা হবে? তিনি বললেন, “যে উটের মালিক তর উটের হক (যাকাত) আদায় করবে না, তার উটের হকগুলোর মধ্যে পানি পানের তারিখে তার দুধ দোহন করে অন্যদেরকে দান করাও একটি হক, যখন কিয়ামতের দিন আসবে, তাকে এক সমতল ময়দানে উপুড় করে ফেলা হবে। অতঃপর তার উটগুলো মোটাতাজা হয়ে আসবে। এর বাচ্চাগুলোও এদের অনুসরণ করবে। এগুলো. আপন আপন খুর দ্বারা তাকে পায়ে মাড়াতে থাকবে এবং মুখ দ্বারা কামড়াতে থাকবে। এভাবে যখন একটি পণ্ড তাকে অতিক্রম করবে অপরটি অগ্রসর হবে। সারাদিন তাকে এরূপ শস্তি দেয়া হবে। এ দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। অতঃপর বান্দাদের বিচার শেষ হবে। তাদের কেউ জান্নাতের দিকে আর কেউ জাহান্নামের দিকে পথ ধরবে।” [সহীহ মুসলিম, হা/২১৮০]
“অবদুল্লাহ ইব্ন বুরাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যেসব লোকেরা যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, আল্লাহ অবশ্যই তাদের দুর্ভিক্ষ দ্বরা আক্রান্ত করেছেন [আল-মু'জ'ম আল-আওসাত, হা/৪৫৭৭। শাইখ তবারানী বলেছেন এ হাদীসের সকল রাবী নির্ভরযোগ্য।]
অপর ভাষ্যে বর্ণিত হয়েছে যে, “কোনো জাতি যখনই যাকাত দিতে অস্বীকার করেছে, তখনই আল্লাহ তাদের থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দিয়েছেন।” [আল-মুসতাদরাক লিল হাকিম, হা/২৫৭৭। ইমাম মুসলিমের শর্তে হাদীসটি সহীহ]
১) যাকাত আদায় না করলে কিয়ামতের দিন সম্পদকে বেড়ী হিসাবে গলায় পরিয়ে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল 'আলামীন বলেন,
“আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে যা দান করেছেন তাতে যারা কৃপণতা করে, এই কার্পন্য তাদের জন্য মঙ্গলকর হবে বলে তারা যেন ধারণা না করে; বরং এটা তাদের পক্ষে একান্তই ক্ষতিকর প্রতিপন্ন হবে। যাতে তারা কার্পন্য করে সে সমস্ত ধন সম্পদকে কিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ী বানিয়ে পরানো হবে। আর আল্লাহ হচ্ছেন আসমান ও যমীনের পরম সত্ত্বাধিকারী। আর যা কিছু তোমরা কর; আল্লাহ সে সম্পর্কে জানেন।” (সূরা আলে ইমরান : ১৮০)
যারা যাকাত আদায় করে না, তাদের অনেকেই মনে করে যে, যাকাত প্রদানের ফলে সম্পদ হাত ছাড়া হয়ে যায়। তাই তারা যাকাত আদায় না করে সম্পদ নিজেদের কাছে গচ্ছিত রেখে দেওয়াকে ভালো মনে করে। অথচ তাদেরকে তো এক সময় এই অঢেল সম্পদ ছেড়েই আখিরাতে চলে যেতে হয়। আবার সেই গচ্ছিত সম্পদ কিয়ামতের দিন তাদেরকে গলায় বেড়ী হিসাবে পরিয়ে দেওয়া হয়। সুতরাং যাকাত আদায় না করার পরিণতি খুবই শোচনীয়।
২) যাকাত আদায় না করা হলো মুশরিকদের একটি বৈশিষ্ট্য। এ প্রসঙ্গে আল-কুরআনে বর্ণিত হয়েছে যে,“আর মুশরিকদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ, যারা যাকাত দেয় না এবং পরকালকে অস্বীকার করে।” (সূরা ফুসসিলাত : ৬-৭)
একজন মুসলিমের বৈশিষ্ট্য কখনওই মুশরিকদের মতো হওয়া উচিৎ নয়। কিন্তু যাকাত আদায় না করলে এক্ষেত্রে মুসলিমের বৈশিষ্ট্য মুশরিকদের মতোই হয়ে যায়।
৩) যাকাত আদায় না করলে কিয়ামতের দিন সম্পদকে জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে লোহার পাতে রাখা হবে। তারপর সেই লোহার পাত দিয়ে কপালে, পার্শ্বদেশে ও পৃষ্ঠদেশে ছেঁকা দেওয়া হবে যেন সামনের মানুষ কপাল দেখে, ডান ও বাম পাশের মানুষ পার্শ্বদেশ দেখে এবং পেছনের মানুষ পৃষ্ঠদেশ দেখে যাকাত আদায় না করা ব্যক্তিদেরকে চিনতে পারে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল 'আলামীন বলেন, “সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে, (সেদিন বলা হবে) এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রাখার স্বাদ গ্রহণ করো।” (সূরা আত-তাওবা : ৩৫)
যে ব্যক্তি যাকাত আদায় করবে না, তার সম্পর্কে কিয়ামতের দিন আশেপাশের মানুষ জানতে পারবে যে, সে কতটা ঘৃণিত ব্যক্তি। কেননা সে যাকাত আদায় থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছে, আবার মানুষের হকও সে আদায় করেনি।
যাকাত আদায় না করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সোনা-রূপার অধিকারী যেসব লোক এ হক (যাকাত) আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তার ঐ সোনা-রূপা দিয়ে তার জন্য আগুনের অনেক পাত তৈরি করা হবে, অতঃপর তা জাহান্নামের আগুনে গরম করা হবে। অতঃপর তা দিয়ে কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে। যখনই ঠাণ্ডা হয়ে আসবে পুনরায় তা উত্তপ্ত করা হবে। এরূপ করা হবে এমন একদিন যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। আর তার এরূপ শস্তি লোকদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। অতঃপর তাদের কেউ পথ ধরবে জান্নাতের দিকে আর কেউ জাহান্নামের দিকে।" জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, উটের (মালিকের) কী অবস্থা হবে? তিনি বললেন, “যে উটের মালিক তর উটের হক (যাকাত) আদায় করবে না, তার উটের হকগুলোর মধ্যে পানি পানের তারিখে তার দুধ দোহন করে অন্যদেরকে দান করাও একটি হক, যখন কিয়ামতের দিন আসবে, তাকে এক সমতল ময়দানে উপুড় করে ফেলা হবে। অতঃপর তার উটগুলো মোটাতাজা হয়ে আসবে। এর বাচ্চাগুলোও এদের অনুসরণ করবে। এগুলো. আপন আপন খুর দ্বারা তাকে পায়ে মাড়াতে থাকবে এবং মুখ দ্বারা কামড়াতে থাকবে। এভাবে যখন একটি পণ্ড তাকে অতিক্রম করবে অপরটি অগ্রসর হবে। সারাদিন তাকে এরূপ শস্তি দেয়া হবে। এ দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। অতঃপর বান্দাদের বিচার শেষ হবে। তাদের কেউ জান্নাতের দিকে আর কেউ জাহান্নামের দিকে পথ ধরবে।” [সহীহ মুসলিম, হা/২১৮০]
“অবদুল্লাহ ইব্ন বুরাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যেসব লোকেরা যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, আল্লাহ অবশ্যই তাদের দুর্ভিক্ষ দ্বরা আক্রান্ত করেছেন [আল-মু'জ'ম আল-আওসাত, হা/৪৫৭৭। শাইখ তবারানী বলেছেন এ হাদীসের সকল রাবী নির্ভরযোগ্য।]
অপর ভাষ্যে বর্ণিত হয়েছে যে, “কোনো জাতি যখনই যাকাত দিতে অস্বীকার করেছে, তখনই আল্লাহ তাদের থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দিয়েছেন।” [আল-মুসতাদরাক লিল হাকিম, হা/২৫৭৭। ইমাম মুসলিমের শর্তে হাদীসটি সহীহ]
সূত্রঃ Salafi Forum URL Shortener
Last edited by a moderator: