- Joined
- Nov 27, 2025
- Threads
- 4
- Comments
- 8
- Reactions
- 38
- Thread Author
- #1
আমি আসলে যত বেশি ইসলাম পড়ি আর বুঝি, ততই বেশি ইসলামের প্রেমে পড়ে যাই। একজন মেয়ে হিসেবে, এই যেমন আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন, যে, দুইজন মেয়ের সাক্ষী একজন পুরুষের সাক্ষীর সমান। এই জিনিসটাকে অনেকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে থাকে, যে দেখ, আল্লাহ পাকও বলেছেন, মেয়েদের বুদ্ধি ছেলেদের থেকে কম! মেয়েদের এত পড়াশুনা শিখে লাভ কি! এইসব!! কিন্তু, ব্যাপারটা যদি কোনো মেয়ে নিজে কুরআন পড়ে একটু চিন্তা করে দেখে, তাহলেই বুঝতে পারবে, যে, আল্লাহ আসলে এরকম ভাবে মেয়েদেরকে কখনই ছোটো করেননি। আল্লাহ নারী-পুরুষ উভয়কেই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ জানেন, কার মস্তিস্ক কেমনভাবে চলে! ছেলেদের আর মেয়েদের মস্তিস্কের কার্যক্রম সম্পুর্ণভাবে আলাদা। একটা ছেলের মস্তিস্কে সব জিনিসের জন্য একটা করে আলাদা ঘর থাকে, তারা প্রত্যেকটা জিনিস প্রত্যেকটা আলাদা ঘরে চিন্তা করে। আর তাই তাদের একটা জিনিসের সাথে আর একটা গুলিয়ে ফেলে ভুলে যাওয়ার প্রবনতা কম থাকে। কিন্তু, একটা মেয়ের মস্তিকে সব কিছু একটাই তারের সাথে সংযুক্ত থাকে এমন। আর তাই মেয়েরা যখন কোনো কষ্টে থাকে, কোনো কিছুর কারনে, এমনকি হরমোনাল পরিবর্তনের কারনেও, তখন তাদের জন্য সাক্ষীদানের মত ওরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজের দায়ভার একা সামলানো কষ্টকর হয়ে থাকে। এছাড়াও মেয়েদেরকে প্রতিনিয়ত যে সাংসারিক টানাপোড়েন সামলাতে হয়, তাও তাদের মস্তিস্কে প্রভাব ফেলে। আর আল্লাহ জানেন যে, মেয়েরা ওভারশেয়ারিং হয়। এই জন্যই আল্লাহ বলেছেন, যে, একজন নারী তার কাছের অপর এক নারীকেও তার সাথে সাক্ষী হিসেবে যেনো রাখে। এতে আল্লাহ তায়ালা মেয়েদেরকে কখনোই ছেলেদের থেকে বুদ্ধি কম বলে ছোটো করেননি, বরং আরো বুঝিয়েছেন, যে, একটা মেয়েকে ঠিক কতটা আদর দিয়ে, সম্মান দিয়ে রাখা উচিত। যাতে তাদের মস্তিস্ক ঠিকঠাকভাবে কাজ করতে পারে, তাদের মন-মেজাজ ভালো থাকে, যা একটা সুস্থ পরিবার, তা থেকে একটা সুস্থ জাতি গড়ে ওঠার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।