‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর মৃত ব্যাক্তির নামে কুরআন খতম বা শবিনা খতম (কুরআনখানি) একটি বিদআতি প্রথা

shipa

Inquisitive

Q&A Master
Salafi User
Threads
347
Comments
400
Reactions
1,852
Credits
2,343
প্রশ্ন: কুরআন খতম করার পর পরিবারের কোন মৃত ব্যক্তির নামে বখশিয়ে দেয়ার যে রীতি আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, সেটা কি সঠিক?

দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, বর্তমানে শহরে, গ্রামে-গঞ্জে মৃত মানুষের উদ্দেশ্যে কুরআনখানি ও ফতিহাখানি করার যে নিয়ম দেখা যাচ্ছে সে বিষয়ে না পাওয়া যায় কোন সহিহ হাদিস না জঈফ হাদিস। এমনকি এ ব্যাপারে কোন বানোয়াট হাদিসও পাওয়া যায়না। এটা এমনই বিদআত যা সুদৃঢ় প্রমাণাদির সরাসরি বিরুদ্ধ।

এ কুপ্রথা সমাজে এতটা ব্যাপকতা লাভ করার কারণ হল, পয়সা লোভী, নাম সর্বস্ব লেবাস ধারী আলেমগণ এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে আর জনসাধারণ এটাকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরেছে। এমনকি এটাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বরং ফরযের স্তরে নিয়ে পৌঁছিয়েছে।

সুতরাং মৃতের উদ্দেশ্যে কবরের নিকট গিয়ে অথবা মসজিদ ও মাহফিলে কুরআনখানি বা শবিনাখতম করে তার সওয়াব বখশানো বা সওয়াব রেসানী করা সম্পূর্ণ বিদআত এবং গোমরাহি মূলক কাজ।
.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে কখনো এ কাজের প্রতি পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ কোন নির্দেশ, দিকনির্দেশনা, উৎসাহ কিংবা উপদেশ দিয়ে যান নি। কোন সাহাবির পক্ষ থেকেও কখনো এ রকম কথা বলা হয় নি। কুরআনখানি করলে মৃত ব্যক্তি যদি উপকৃত হত তবে সর্ব প্রথম সাহাবীগণ তা বাস্তবায়ন করে এ সৌভাগ্য অর্জন করতেন।

সুতরাং এ পদ্ধতি ইসলামের কোন কাজ হতে পারে না। বরং তা বিদআতি পন্থা।

আর বিদআতের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতকে শক্তভাবে সতর্ক করে গেছেন।
তিনি বলেন:
يَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ
“(দীনের ক্ষেত্রে) নতুন আবিষ্কৃত বিষয়াদির ব্যাপারে তোমরা সাবধান হও। কারণ,প্রতিটি নতুন জিনিসই বিদয়াত আর প্রতিটি বিদআতই গোমরাহি। [মুসনাদ আহমদ (৩৫/৯) প্রখ্যাত সাহাবী ইরবায ইবনে সারিয়া রা. থেকে বর্ণিত।]
.
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রা. হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও ঘোষণা করেছেন:
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدّ
“যে আমাদের এ ব্যাপারে তথা ইসলামী শরীয়তে এমন নতুন কিছু আবিষ্কার করল যা এর অন্তর্ভুক্ত নয় তা পরিত্যাজ্য। ”[সহীহ বুখারি,অধ্যায়: কোন আমল কারী অথবা শাসক যদি ইজতেহাদ করে ফায়সালা দেয় এবং না জানার কারণে সেটা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ফয়সালার বিপরীত প্রমাণিত হয় তবে তা প্রত্যাখ্যাত। মুসলিম, অধ্যায়: অন্যায় বিধান ভেঙ্গে ফেলা।]

আল্লাহ তাআলা আমাদের সমাজকে বিদআতের মহামারী থেকে রক্ষা করুন। আমীন।

আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
 

Share this page