কোন মুসলিম মৃত্যু বরণ করলে তার জন্য জীবিতদের কতিপয় করণীয় রয়েছে। সেগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া ঋণ পরিশোধ এবং ওসীয়ত পালন করা।
কোন ব্যক্তি যদি ঋণ রেখে মারা যায় অথবা কোন কিছু দান করার ওসিয়ত করে যায় তবে তার উত্তরাধীকারীদের জন্য আবশ্যক হল, তার পরিত্যাক্ত সম্পদ থেকে সবার আগে ঋণ পরিশোধ করা। কারণ, এটা মৃতের সম্পদে ঋণ দাতার হক। যতক্ষণ তা আদায় করা না হবে মৃত ব্যক্তি তা হতে মুক্তি পাবে না। ঋণ পরিশোধের পর অবশিষ্ট সম্পত্তি থেকে ওসীয়ত পালন করতে হবে।
তাই তো আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারীমে বিধান দিয়েছেন যতক্ষণ না ওসিয়ত বাস্তবায়ন করা হয় অথবা ঋণ পরিশোধ করা হয় ততক্ষণ পরিত্যাক্ত সম্পত্তি উত্তরাধীকারীদের মাঝে বণ্টন করা হবে না। আল্লাহ বলেন:
"(মৃতের পরিত্যাক্ত সম্পদ বণ্টন করা হবে) ওসিয়তের পর, যা করে সে মৃত্যু বরণ করেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। ”[1]
অনুরূপভাবে সহীহ বুখারীতে সালামা বিন আকওয়া রা. হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তির জানাযা পড়তে রাজি হন নি যতক্ষণ না তার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে।
ওসিয়ত (বা সম্পদ উইল) করার বিধান: মানুষ তার সম্পত্তি থেকে সর্বোচ্চ তিন ভাগের এক ভাগ ওসীয়ত তথা আল্লাহর পথে বা জন কল্যাণকর কাজে ব্যায় করার আদেশ করতে পারে। এর চেয়ে বেশি জয়েয নাই। বরং এর চেয়ে কম করাই উত্তম। কারণ,
সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বিদায় হজ্জের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লামের সাথে ছিলাম। পথিমধ্যে আমি প্রচণ্ড রোগে আক্রান্ত হলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার সেবা-শুশ্রূষা করতে এলে আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমার অনেক সম্পত্তি। কিন্তু আমার ওয়ারিস হওয়ার মত কেউ নাই একজন মাত্র মেয়ে ছাড়া। আমি আমার সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগ ওসিয়ত করব? তিনি বললেন: না। আমি বললাম: অর্ধেক? তিনি বললেন: না। আমি বললাম, তবে তিন ভাগের একভাগ? তিনি বললেন: "তিন ভাগের একভাগ। তিন ভাগের একভাগই তো বেশি। সাদ, তোমার উত্তরাধিকারীদেরকে দরিদ্র অবস্থায় রেখে যাবে আর তারা মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করে বেড়াবে এর চেয়ে তাদেরকে সম্পদশালী করে রেখে যাওয়াই উত্তম। "[2]
তবে এক তৃতীয়াংশের চেয়ে কম করা উত্তম। কেননা, ইবনে আব্বাস রা. বলেন:
"মানুষ যদি (সম্পত্তি ওসিয়ত করার ক্ষেত্রে) এক তৃতীয়াংশ থেকে এক চর্তুথাংশে নেমে আসত তবে উত্তম হত। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "তিন ভাগের একভাগ। তিন ভাগের একভাগই তো বেশি। [3]
কোন ব্যক্তি যদি এক তৃতীয়াংশের বেশি ওসীয়ত করে মৃত্যু বরণ করে তবে তার ওয়ারিসগণের জন্য এক তৃতীয়াংশের বেশি দান করা আবশ্যক নয়।
[1] সূরা নিসা: ১১
[2] বুখারী ও মুসলিম
[3] বুখারী ও মুসলিম
কোন ব্যক্তি যদি ঋণ রেখে মারা যায় অথবা কোন কিছু দান করার ওসিয়ত করে যায় তবে তার উত্তরাধীকারীদের জন্য আবশ্যক হল, তার পরিত্যাক্ত সম্পদ থেকে সবার আগে ঋণ পরিশোধ করা। কারণ, এটা মৃতের সম্পদে ঋণ দাতার হক। যতক্ষণ তা আদায় করা না হবে মৃত ব্যক্তি তা হতে মুক্তি পাবে না। ঋণ পরিশোধের পর অবশিষ্ট সম্পত্তি থেকে ওসীয়ত পালন করতে হবে।
তাই তো আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারীমে বিধান দিয়েছেন যতক্ষণ না ওসিয়ত বাস্তবায়ন করা হয় অথবা ঋণ পরিশোধ করা হয় ততক্ষণ পরিত্যাক্ত সম্পত্তি উত্তরাধীকারীদের মাঝে বণ্টন করা হবে না। আল্লাহ বলেন:
مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ
"(মৃতের পরিত্যাক্ত সম্পদ বণ্টন করা হবে) ওসিয়তের পর, যা করে সে মৃত্যু বরণ করেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। ”[1]
অনুরূপভাবে সহীহ বুখারীতে সালামা বিন আকওয়া রা. হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তির জানাযা পড়তে রাজি হন নি যতক্ষণ না তার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে।
ওসিয়ত (বা সম্পদ উইল) করার বিধান: মানুষ তার সম্পত্তি থেকে সর্বোচ্চ তিন ভাগের এক ভাগ ওসীয়ত তথা আল্লাহর পথে বা জন কল্যাণকর কাজে ব্যায় করার আদেশ করতে পারে। এর চেয়ে বেশি জয়েয নাই। বরং এর চেয়ে কম করাই উত্তম। কারণ,
সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বিদায় হজ্জের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লামের সাথে ছিলাম। পথিমধ্যে আমি প্রচণ্ড রোগে আক্রান্ত হলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার সেবা-শুশ্রূষা করতে এলে আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমার অনেক সম্পত্তি। কিন্তু আমার ওয়ারিস হওয়ার মত কেউ নাই একজন মাত্র মেয়ে ছাড়া। আমি আমার সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগ ওসিয়ত করব? তিনি বললেন: না। আমি বললাম: অর্ধেক? তিনি বললেন: না। আমি বললাম, তবে তিন ভাগের একভাগ? তিনি বললেন: "তিন ভাগের একভাগ। তিন ভাগের একভাগই তো বেশি। সাদ, তোমার উত্তরাধিকারীদেরকে দরিদ্র অবস্থায় রেখে যাবে আর তারা মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করে বেড়াবে এর চেয়ে তাদেরকে সম্পদশালী করে রেখে যাওয়াই উত্তম। "[2]
তবে এক তৃতীয়াংশের চেয়ে কম করা উত্তম। কেননা, ইবনে আব্বাস রা. বলেন:
لَوْ غَضَّ النَّاسُ إِلَى الرُّبْعِ ، لأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ « الثُّلُثُ ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ أَوْ كَبِيرٌ »
"মানুষ যদি (সম্পত্তি ওসিয়ত করার ক্ষেত্রে) এক তৃতীয়াংশ থেকে এক চর্তুথাংশে নেমে আসত তবে উত্তম হত। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "তিন ভাগের একভাগ। তিন ভাগের একভাগই তো বেশি। [3]
কোন ব্যক্তি যদি এক তৃতীয়াংশের বেশি ওসীয়ত করে মৃত্যু বরণ করে তবে তার ওয়ারিসগণের জন্য এক তৃতীয়াংশের বেশি দান করা আবশ্যক নয়।
[1] সূরা নিসা: ১১
[2] বুখারী ও মুসলিম
[3] বুখারী ও মুসলিম