কোন মুসলিম মৃত্যু বরণ করলে তার জন্য জীবিতদের কতিপয় করণীয় রয়েছে। সেগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ্জ ও উমরা সম্পাদন করা।
ক) ফরজ হজ্জ :কোন ব্যক্তি যদি এমন অবস্থায় মারা যায় যার উপর ফরজ হজ্জ বাকি আছে তাহলে তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তি থেকে তার পক্ষ থেকে হজ্জ সম্পাদন করা আবশ্যক। তবে যে ব্যক্তি এই বদলী হজ্জ সম্পাদন করবে তার জন্য আগে নিজের হজ্জ সম্পাদন করা অপরিহার্য। চাই সে মৃত্যুর আগে তার পক্ষ থেকে হজ্জ করার জন্য অসীয়ত করুক অথবা না করুক। এর মাধ্যমে সে ব্যক্তি তার ফরজ হজ্জ থেকে অব্যহতি লাভ করবে।
খ) নফল হজ্জ ও উমরা: মানুষ যদি মারা যায় তবে তার পক্ষ থেকে যে কোন মুসলিম নফল হজ্জ ও ওমরা সম্পাদন করতে পারে। অর্থাৎ কেউ তার পক্ষ থেকে হজ্জ বা উমরা করলে ইনশাআল্লাহ সে কবরে শায়িত অবস্থায় তার সওয়াব লাভ করবে।
গ) মানতের হজ্জ: কোন ব্যক্তি যদি হজ্জের মান্নত করে কিন্তু হজ্জ সম্পাদনের আগেই মারা যায় তবে তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তি থেকে বদলী হজ্জ সম্পাদন করা আবশ্যক।
যেমন সহীহ বুখারীতে প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত,বনী জুহাইনা সম্প্রদায়ের এক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, আমার মা হজ্জের মানত করেছিলেন,কিন্তু হজ্জ করার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ পালন করব? তিনি বললেন,“তোমার মায়ের উপর যদি ঋণ থাকত তবে কি তুমি তা আদায় করতে না? আল্লাহর পাওনা আদায় কর। কারণ,আল্লাহ তো তাঁর পাওনা পাওয়ার বেশী হকদার।” [1]
উক্ত হাদীসে এ কথা স্পষ্ট যে, কোন ব্যক্তি যদি হজ্জ করার মানত করে কিন্তু হজ্জ করার আগেই মারা যায় তবে তার পক্ষ থেকে তার আত্মীয়গণ বদলী হজ্জ সম্পাদন করলে সে ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট হবে।
তবে এখান থেকে বুঝা যায় যে, মানতের হজ্জ যেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরজ ছিল না বরং সে নিজের জন্য ফরজ করে নিয়েছে সেটা পালন করা আবশ্যক। সুতরাং আল্লাহর পক্ষ থেকে যে হজ্জ ফরজ ছিল আরও সঙ্গতভাবে তা পালন করা আবশ্যক হবে।
আর মানতকে ঋণের সাথে তুলনা করা হয়েছে। সুতরাং ফরজ হজ্জ তো আরও বড় ঋণ যা পালন না করে মারা গেলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না যতক্ষণ না তা আদায় করা হয়।
যে ব্যক্তি বদলী হজ্জ করবে তার জন্য আগে নিজের হজ্জ সম্পাদন করা আবশ্যক:
যে ব্যক্তি বদলী হজ্জ করবে তার জন্য শর্ত হচ্ছে সে আগে নিজের ফরজ হজ্জ আদায় করবে। সে যদি আগে নিজের হজ্জ আদায় করে থাকে তবে পরবর্তীতে সে অন্যের পক্ষ থেকে হজ্জ করতে পারবে। কারণ এ ব্যাপারে হাদীসে বণির্ত হয়েছে:
ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (বিদায় হজ্জে যাওয়া প্রাক্কালে এহরাম বাঁধার সময়) এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন, সে বলছে: لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ লাব্বাইকা আন শুবরুমা অর্থাৎ: "শুবরুমার পক্ষ থেকে উপস্থিত। "
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন: শুবরুমা কে? উত্তরে লোকটি বলল, সে আমার ভাই অথবা বলল, আমার নিকটাত্মীয়। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি নিজের হজ্জ সম্পাদন করেছ? লোকটি বলল, না। তিনি বললেন, নিজের হজ্জ আগে সম্পাদন কর পরে শুবরুমার পক্ষ থেকে করবে। ”[2]
মৃত্যু ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ্জ সম্পাদনের ক্ষেত্রে সম্পাদনকারী যদি মৃতের নিকটাত্মীয় হয় তবে তা উত্তম। তবে নিকটাত্মীয় হওয়া আবশ্যক নয়।
[1] বুখারী,অধ্যায়: মৃতের পক্ষ থেকে হজ্জ এবং মানত পালন করা এবং পুরুষ মহিলার পক্ষ থেকে হজ্জ করতে পারে।
[2] সুনান আবু দাউদ। অনুচ্ছেদ: বদলী হজ্জ সম্পাদন করা। হাদীসটি সহীহ
ক) ফরজ হজ্জ :কোন ব্যক্তি যদি এমন অবস্থায় মারা যায় যার উপর ফরজ হজ্জ বাকি আছে তাহলে তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তি থেকে তার পক্ষ থেকে হজ্জ সম্পাদন করা আবশ্যক। তবে যে ব্যক্তি এই বদলী হজ্জ সম্পাদন করবে তার জন্য আগে নিজের হজ্জ সম্পাদন করা অপরিহার্য। চাই সে মৃত্যুর আগে তার পক্ষ থেকে হজ্জ করার জন্য অসীয়ত করুক অথবা না করুক। এর মাধ্যমে সে ব্যক্তি তার ফরজ হজ্জ থেকে অব্যহতি লাভ করবে।
খ) নফল হজ্জ ও উমরা: মানুষ যদি মারা যায় তবে তার পক্ষ থেকে যে কোন মুসলিম নফল হজ্জ ও ওমরা সম্পাদন করতে পারে। অর্থাৎ কেউ তার পক্ষ থেকে হজ্জ বা উমরা করলে ইনশাআল্লাহ সে কবরে শায়িত অবস্থায় তার সওয়াব লাভ করবে।
গ) মানতের হজ্জ: কোন ব্যক্তি যদি হজ্জের মান্নত করে কিন্তু হজ্জ সম্পাদনের আগেই মারা যায় তবে তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তি থেকে বদলী হজ্জ সম্পাদন করা আবশ্যক।
যেমন সহীহ বুখারীতে প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত,বনী জুহাইনা সম্প্রদায়ের এক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, আমার মা হজ্জের মানত করেছিলেন,কিন্তু হজ্জ করার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ পালন করব? তিনি বললেন,“তোমার মায়ের উপর যদি ঋণ থাকত তবে কি তুমি তা আদায় করতে না? আল্লাহর পাওনা আদায় কর। কারণ,আল্লাহ তো তাঁর পাওনা পাওয়ার বেশী হকদার।” [1]
উক্ত হাদীসে এ কথা স্পষ্ট যে, কোন ব্যক্তি যদি হজ্জ করার মানত করে কিন্তু হজ্জ করার আগেই মারা যায় তবে তার পক্ষ থেকে তার আত্মীয়গণ বদলী হজ্জ সম্পাদন করলে সে ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট হবে।
তবে এখান থেকে বুঝা যায় যে, মানতের হজ্জ যেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরজ ছিল না বরং সে নিজের জন্য ফরজ করে নিয়েছে সেটা পালন করা আবশ্যক। সুতরাং আল্লাহর পক্ষ থেকে যে হজ্জ ফরজ ছিল আরও সঙ্গতভাবে তা পালন করা আবশ্যক হবে।
আর মানতকে ঋণের সাথে তুলনা করা হয়েছে। সুতরাং ফরজ হজ্জ তো আরও বড় ঋণ যা পালন না করে মারা গেলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না যতক্ষণ না তা আদায় করা হয়।
যে ব্যক্তি বদলী হজ্জ করবে তার জন্য আগে নিজের হজ্জ সম্পাদন করা আবশ্যক:
যে ব্যক্তি বদলী হজ্জ করবে তার জন্য শর্ত হচ্ছে সে আগে নিজের ফরজ হজ্জ আদায় করবে। সে যদি আগে নিজের হজ্জ আদায় করে থাকে তবে পরবর্তীতে সে অন্যের পক্ষ থেকে হজ্জ করতে পারবে। কারণ এ ব্যাপারে হাদীসে বণির্ত হয়েছে:
عن ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- سَمِعَ رَجُلاً يَقُولُ لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ. قَالَ « مَنْ شُبْرُمَةَ ». قَالَ أَخٌ لِى أَوْ قَرِيبٌ لِى. قَالَ « حَجَجْتَ عَنْ نَفْسِكَ ». قَالَ لاَ. قَالَ « حُجَّ عَنْ نَفْسِكَ ثُمَّ حُجَّ عَنْ شُبْرُمَةَ »
ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (বিদায় হজ্জে যাওয়া প্রাক্কালে এহরাম বাঁধার সময়) এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন, সে বলছে: لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ লাব্বাইকা আন শুবরুমা অর্থাৎ: "শুবরুমার পক্ষ থেকে উপস্থিত। "
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন: শুবরুমা কে? উত্তরে লোকটি বলল, সে আমার ভাই অথবা বলল, আমার নিকটাত্মীয়। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি নিজের হজ্জ সম্পাদন করেছ? লোকটি বলল, না। তিনি বললেন, নিজের হজ্জ আগে সম্পাদন কর পরে শুবরুমার পক্ষ থেকে করবে। ”[2]
মৃত্যু ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ্জ সম্পাদনের ক্ষেত্রে সম্পাদনকারী যদি মৃতের নিকটাত্মীয় হয় তবে তা উত্তম। তবে নিকটাত্মীয় হওয়া আবশ্যক নয়।
আরও জানতে ডাউনলোড করুন - মৃত্যু ও কবর সম্পর্কে করণীয় ও বর্জনীয়
[1] বুখারী,অধ্যায়: মৃতের পক্ষ থেকে হজ্জ এবং মানত পালন করা এবং পুরুষ মহিলার পক্ষ থেকে হজ্জ করতে পারে।
[2] সুনান আবু দাউদ। অনুচ্ছেদ: বদলী হজ্জ সম্পাদন করা। হাদীসটি সহীহ