সাহাবী আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু মৃত্যুশয্যাগত হয়ে যখন বুঝতে পারলেন, তাঁর মৃত্যুক্ষণ খুব নিকটে। তখন তিনি অঝোরে কাঁদলেন এবং তাঁর পুত্রকে ডেকে বললেন :
আমি আমার জীবনে তিনটি অবস্থা পেয়েছি, সর্বপ্রথম আমি ছিলাম কাফির, তখন যদি আমার মৃত্যু হতো, তবে জাহান্নাম আমার জন্য অবধারিত হতো। এরপর যখন আমি রাসূলের কাছে বায়আত গ্রহণ করলাম, তখন আমি তাঁর প্রতি সবচেয়ে বেশি লজ্জা বোধ করতাম, এমনকি আমি কখনো দু'চোখ ভরে তাঁকে দেখিনি। তখন যদি আমার মৃত্যু হতো মানুষ বলত, আমরের প্রতি অভিনন্দন! সদ্ভাবে ইসলাম গ্রহণ করেছে আর সদ্ভাবেই ইন্তেকাল করেছে। এরপর আমি অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছি। জানি না, তার ফলাফল আমার অনুকূলে নাকি প্রতিকূলে।
তারপর তিনি প্রাচীরের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলতে লাগলেন :
হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে আদেশ করেছেন, আমরা তার অবাধ্য হয়েছি। আপনি আমাদেরকে নিষেধ করেছেন, আমরা তা থেকে বিরত থাকিনি। এখন আপনার ক্ষমা ব্যতীত আমাদের আর কোনো উপায় নেই। হে রহমানুর রহীম।
তারপর তিনি তাঁর হাত গলা বরাবর তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন :
হে আল্লাহ! কোনো শক্তিশালী নেই, যার সাহায্য গ্রহণ করব। কোনো মুক্তিদাতা নেই, যার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করব। আমি কোনো দম্ভকারী নই; বরং আমি ক্ষমাপ্রার্থী। হে মহা ক্ষমাশীল! আমাকে ক্ষমা করে দিন।
একথাগুলো বলতে বলতে তিনি প্রাণ ত্যাগ করলেন।
– সাহাবীদের আলোকিত জীবন (৩য় খন্ড), ড. আব্দুর রহমান রাফাত পাশা, সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
বি. দ্র : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স সালাফী প্রকাশনী নয়। সকলকে সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ করছি। কোনো বিষয়ে সন্দেহ হলে সম্মানিত সালাফী আলেমদের শরণাপন্ন হোন।
আমি আমার জীবনে তিনটি অবস্থা পেয়েছি, সর্বপ্রথম আমি ছিলাম কাফির, তখন যদি আমার মৃত্যু হতো, তবে জাহান্নাম আমার জন্য অবধারিত হতো। এরপর যখন আমি রাসূলের কাছে বায়আত গ্রহণ করলাম, তখন আমি তাঁর প্রতি সবচেয়ে বেশি লজ্জা বোধ করতাম, এমনকি আমি কখনো দু'চোখ ভরে তাঁকে দেখিনি। তখন যদি আমার মৃত্যু হতো মানুষ বলত, আমরের প্রতি অভিনন্দন! সদ্ভাবে ইসলাম গ্রহণ করেছে আর সদ্ভাবেই ইন্তেকাল করেছে। এরপর আমি অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছি। জানি না, তার ফলাফল আমার অনুকূলে নাকি প্রতিকূলে।
তারপর তিনি প্রাচীরের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলতে লাগলেন :
হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে আদেশ করেছেন, আমরা তার অবাধ্য হয়েছি। আপনি আমাদেরকে নিষেধ করেছেন, আমরা তা থেকে বিরত থাকিনি। এখন আপনার ক্ষমা ব্যতীত আমাদের আর কোনো উপায় নেই। হে রহমানুর রহীম।
তারপর তিনি তাঁর হাত গলা বরাবর তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন :
হে আল্লাহ! কোনো শক্তিশালী নেই, যার সাহায্য গ্রহণ করব। কোনো মুক্তিদাতা নেই, যার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করব। আমি কোনো দম্ভকারী নই; বরং আমি ক্ষমাপ্রার্থী। হে মহা ক্ষমাশীল! আমাকে ক্ষমা করে দিন।
একথাগুলো বলতে বলতে তিনি প্রাণ ত্যাগ করলেন।
– সাহাবীদের আলোকিত জীবন (৩য় খন্ড), ড. আব্দুর রহমান রাফাত পাশা, সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
বি. দ্র : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স সালাফী প্রকাশনী নয়। সকলকে সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ করছি। কোনো বিষয়ে সন্দেহ হলে সম্মানিত সালাফী আলেমদের শরণাপন্ন হোন।