- Joined
- Dec 7, 2022
- Threads
- 151
- Comments
- 158
- Reactions
- 1,330
- Thread Author
- #1
আমাদের আলোচনা দুই ভাগে হবে:
১) মিডিয়ায় কিছু লিখতে বা প্রচার করতে গেলে কিভাবে করব?
২) মিডিয়া থেকে তথ্য গ্রহণ কিভাবে করব?
প্রথম আলোচনার কয়েকটা পয়েন্ট:
ক) ছাত্র কোনো কিছু লিখতে, বলতে, প্রচার করতে গেলে অবশ্যই নিজের নিয়তের পরিশুদ্ধতা যাচাই করবে।
আমি আল্লাহর নামে কসম করে বলছি, যে ব্যক্তি নিজের ইখলাসের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তার আমলে তাওফীক ও সঠিকতা দিয়ে দেন।
খ) ছাত্রকে অবশ্যই শুহরত তথা প্রসিদ্ধিতার আকাঙ্ক্ষা করা যাবে না।
রাসূল ﷺ বলেছেনঃ "ছাগলের পালে দু’টি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘকে ছেড়ে দিলে ছাগলের যতটা ক্ষতি করে, তার চেয়ে মানুষের সম্পদ ও সম্মানের প্রতি লোভ-লালসা তার দ্বীনের জন্য বেশী ক্ষতিকারক।"
ইবনু রজব হাম্বলী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ"এই দুটির মাঝে সম্মানের আকাঙ্ক্ষা বেশি খতরনাক। কারণ, তা ব্যক্তিকে, ব্যক্তির আমলকে ধ্বংস করতঃ তাকে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করে।"
হাসান বাসরী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ"ইলম অর্জনের মাধ্যমে তোমাদের কারো যেন উদ্দেশ্য এই না হয় যে, লোকে তোমাকে আলেম বলবে।"
গ) তাকওয়া অবলম্বন করা, শরীয়ত সম্পর্কে না জেনে কোনো কথা না বলা এবং আল্লাহর ব্যাপারে ইলম ছাড়াই কথাবার্তা না বলা।
যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবে না জেনেই কথাবার্তা বলবে, সে সঠিক বললেও তার কথা ভুল, সে পাপী। তাহলে সত্যিই ভুল করলে কি হবে? নিজ কথার জন্য গোনাহগার হবে, ভুলের জন্য গুনাহ হবে এরপর জনগণকে ভুলভাল বলার গুনাহ তো আছেই।
সাহাবীগণ একটি মাসয়ালার জন্য বদরী সাহাবী সহ অন্যান্যদের নিতেন, সেখানে আমাদের এখনকার ছোট্ট কারো কাছে মাসয়ালা আসলেই ফতোয়া দেওয়া শুরু করে! অথচ সে বড় আলেমদের মজলিসে বসারই যোগ্য না, কথা বলা তো দূর কী বাত।
ঘ) মিডিয়ায় কোনো কিছু ছাড়ার সময় তাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, সব প্রশ্নেরই উত্তর দিতে হয় না। আসলে সব প্রশ্নের উত্তরও নেই।
ইবনু আব্বাস ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেনঃ "যে ব্যক্তি সব প্রশ্নের উত্তর দেয়, সে পাগল!"
হুযায়ফা রাযিয়াল্লাহু আনহু ও হাসান বাসরী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ সর্বপ্রথম ফিতনায় পড়ে ঐসব বক্তা ও কবি-শিল্পি, যারা সব বিষয়েই কথা বলে, সব প্রেক্ষাপটেই ফতোয়া দেয়; অথচ আলেমগণ সেই বিষয়ে চুপ থাকেন, এবং তাদের চুপ থাকাতেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
ঙ) কোনো কিছু মিডিয়ায় ছাড়ার সময় ছাত্রকে এটা আবশ্যিকভাবে জেনে রাখতে হবে যে, জানা থাকলেই সবকিছু বলতে হয় না, মুখস্থ থাকলেই জনসম্মুখে সবকিছু প্রচার করতে নেই।
আলী ইবনু আবি তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ "মানুষ বুঝতে পারবে এই বিষয়ে কথা বলো, না বোঝা বিষয়ে কথা বলো না। তোমরা কি চাও যে, আল্লাহ ও তদ্বীয় রাসূলকে মিথ্যারোপ করা হোক!?"
ইবনু মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ "তুমি মানুষের সামনে যদি এমন বিষয়ে কথা বল, যা তাদের বুঝে আসবে না; তাহলে এই কথাই তাদের কারো জন্য ফিতনা হবে।"
এজন্যই মুফতী ও মুস্তাফতী সম্পর্কে আলোচনায় আলেমগণ উল্লেখ করেছেন যে, মুফতীকে ফতোয়া দেওয়ার সময় অবশ্যই ইখতিলাফ উল্লেখ করা যাবে না। এমনকি দলীলও বলবে না, বরং শুধু হুকুম বলবে। কারণ, ইখতিলাফ মানুষের মনে মাসয়ালাকে দুর্বল করে দেয়।
দ্বিতীয় বিষয় আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ছোট বড় সবার জন্য প্রয়োজনীয়। কয়েকটা পয়েন্ট হলো:
ক) ছাত্ররা এই মিডিয়াকেই তার পড়াশোনার মূল কেন্দ্রবিন্দু বানাবে না।
খ) মিডিয়াতে কিছু দেখামাত্রই তা প্রচার প্রসার করতে শুরু করবে না। নিজেকে তা প্রচার হওয়ার বাহন বানাবে না। এজন্যই সালাফগণ ফিতনা দেখা দিলেও তারা সে সম্পর্কে না জানার চেষ্টা করতেন পাশাপাশি জানলেও না বলার চেষ্টা করতেন।
গ) ছাত্রকে অবশ্যই অন্যদের জন্য আদর্শ হতে হবে। এমন বিষয়ে কথা বলবে না, যা সে নিজেই করে না।
আলাকতু তলিবিল ইলমি বিল ই'লাম, শায়খ আব্দুস সালাম আশ-শুয়াইয়ির হাফিযাহুল্লাহ।
সংক্ষেপায়নে: ইয়াকুব বিন আবুল কালাম।
১) মিডিয়ায় কিছু লিখতে বা প্রচার করতে গেলে কিভাবে করব?
২) মিডিয়া থেকে তথ্য গ্রহণ কিভাবে করব?
প্রথম আলোচনার কয়েকটা পয়েন্ট:
ক) ছাত্র কোনো কিছু লিখতে, বলতে, প্রচার করতে গেলে অবশ্যই নিজের নিয়তের পরিশুদ্ধতা যাচাই করবে।
আমি আল্লাহর নামে কসম করে বলছি, যে ব্যক্তি নিজের ইখলাসের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তার আমলে তাওফীক ও সঠিকতা দিয়ে দেন।
খ) ছাত্রকে অবশ্যই শুহরত তথা প্রসিদ্ধিতার আকাঙ্ক্ষা করা যাবে না।
রাসূল ﷺ বলেছেনঃ "ছাগলের পালে দু’টি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘকে ছেড়ে দিলে ছাগলের যতটা ক্ষতি করে, তার চেয়ে মানুষের সম্পদ ও সম্মানের প্রতি লোভ-লালসা তার দ্বীনের জন্য বেশী ক্ষতিকারক।"
ইবনু রজব হাম্বলী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ"এই দুটির মাঝে সম্মানের আকাঙ্ক্ষা বেশি খতরনাক। কারণ, তা ব্যক্তিকে, ব্যক্তির আমলকে ধ্বংস করতঃ তাকে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করে।"
হাসান বাসরী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ"ইলম অর্জনের মাধ্যমে তোমাদের কারো যেন উদ্দেশ্য এই না হয় যে, লোকে তোমাকে আলেম বলবে।"
গ) তাকওয়া অবলম্বন করা, শরীয়ত সম্পর্কে না জেনে কোনো কথা না বলা এবং আল্লাহর ব্যাপারে ইলম ছাড়াই কথাবার্তা না বলা।
যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবে না জেনেই কথাবার্তা বলবে, সে সঠিক বললেও তার কথা ভুল, সে পাপী। তাহলে সত্যিই ভুল করলে কি হবে? নিজ কথার জন্য গোনাহগার হবে, ভুলের জন্য গুনাহ হবে এরপর জনগণকে ভুলভাল বলার গুনাহ তো আছেই।
সাহাবীগণ একটি মাসয়ালার জন্য বদরী সাহাবী সহ অন্যান্যদের নিতেন, সেখানে আমাদের এখনকার ছোট্ট কারো কাছে মাসয়ালা আসলেই ফতোয়া দেওয়া শুরু করে! অথচ সে বড় আলেমদের মজলিসে বসারই যোগ্য না, কথা বলা তো দূর কী বাত।
ঘ) মিডিয়ায় কোনো কিছু ছাড়ার সময় তাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, সব প্রশ্নেরই উত্তর দিতে হয় না। আসলে সব প্রশ্নের উত্তরও নেই।
ইবনু আব্বাস ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেনঃ "যে ব্যক্তি সব প্রশ্নের উত্তর দেয়, সে পাগল!"
হুযায়ফা রাযিয়াল্লাহু আনহু ও হাসান বাসরী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ সর্বপ্রথম ফিতনায় পড়ে ঐসব বক্তা ও কবি-শিল্পি, যারা সব বিষয়েই কথা বলে, সব প্রেক্ষাপটেই ফতোয়া দেয়; অথচ আলেমগণ সেই বিষয়ে চুপ থাকেন, এবং তাদের চুপ থাকাতেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
ঙ) কোনো কিছু মিডিয়ায় ছাড়ার সময় ছাত্রকে এটা আবশ্যিকভাবে জেনে রাখতে হবে যে, জানা থাকলেই সবকিছু বলতে হয় না, মুখস্থ থাকলেই জনসম্মুখে সবকিছু প্রচার করতে নেই।
আলী ইবনু আবি তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ "মানুষ বুঝতে পারবে এই বিষয়ে কথা বলো, না বোঝা বিষয়ে কথা বলো না। তোমরা কি চাও যে, আল্লাহ ও তদ্বীয় রাসূলকে মিথ্যারোপ করা হোক!?"
ইবনু মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ "তুমি মানুষের সামনে যদি এমন বিষয়ে কথা বল, যা তাদের বুঝে আসবে না; তাহলে এই কথাই তাদের কারো জন্য ফিতনা হবে।"
এজন্যই মুফতী ও মুস্তাফতী সম্পর্কে আলোচনায় আলেমগণ উল্লেখ করেছেন যে, মুফতীকে ফতোয়া দেওয়ার সময় অবশ্যই ইখতিলাফ উল্লেখ করা যাবে না। এমনকি দলীলও বলবে না, বরং শুধু হুকুম বলবে। কারণ, ইখতিলাফ মানুষের মনে মাসয়ালাকে দুর্বল করে দেয়।
দ্বিতীয় বিষয় আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ছোট বড় সবার জন্য প্রয়োজনীয়। কয়েকটা পয়েন্ট হলো:
ক) ছাত্ররা এই মিডিয়াকেই তার পড়াশোনার মূল কেন্দ্রবিন্দু বানাবে না।
খ) মিডিয়াতে কিছু দেখামাত্রই তা প্রচার প্রসার করতে শুরু করবে না। নিজেকে তা প্রচার হওয়ার বাহন বানাবে না। এজন্যই সালাফগণ ফিতনা দেখা দিলেও তারা সে সম্পর্কে না জানার চেষ্টা করতেন পাশাপাশি জানলেও না বলার চেষ্টা করতেন।
গ) ছাত্রকে অবশ্যই অন্যদের জন্য আদর্শ হতে হবে। এমন বিষয়ে কথা বলবে না, যা সে নিজেই করে না।
আলাকতু তলিবিল ইলমি বিল ই'লাম, শায়খ আব্দুস সালাম আশ-শুয়াইয়ির হাফিযাহুল্লাহ।
সংক্ষেপায়নে: ইয়াকুব বিন আবুল কালাম।