১. মাহফিলে শেষে খাবার বা তবারক দেওয়া কি জায়েজ?
২. মাহফিলে শেষে খাবার বা তবারকের জন্য টাকা বা চাউল বা কোনো কিছু দেওয়া কি জায়েজ?
২. মাহফিলে শেষে খাবার বা তবারকের জন্য টাকা বা চাউল বা কোনো কিছু দেওয়া কি জায়েজ?
সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum
Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম।
জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন।
আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
প্রশ্ন মাহফিলে শেষে খাবার বা তবারক দেওয়া কি জায়েজ?
- Thread starter sakib80000
- Start date
অথবা কোনো বৈঠক শেষে...
New member
‘তাবাররুক’ বিতরণ ও খাওয়ার বিধান:
প্রশ্ন : আমাদের এলাকায় ওয়াজ মাহফিল শেষে সম্মিলিত মুনাজাত হয় ও তাবারুক বিতরণ করে। মিলাদ (যা বিদাত, জানি) ও ইমামকে দিয়ে দোয়া করানোর পরে উপস্থিত সকলকে কোনো খাদ্যদ্রব্য ‘তাবারুক’ হিসেবে দেয়া হয় এবং সকলকেই খুব আগ্রহ সহকারে খেতে দেখা যায়।
আমার প্রশ্ন হল উপরোল্লিখিত ক্ষেত্রে যে তাবারুক বিতরণের প্রথা ও তাবারুক খাওয়া কি জায়েজ? আর এতে কি কোনো বর্কত থাকে? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর : তাবারুক অর্থ: বরকত গ্রহণ করা। মাহফিল অনুষ্ঠান শেষে যদি কোন খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয় তাতে যদি বিশ্বাস করা হয় যে, এই খাবারে বিশেষ কিছু বরকত আছে তা এই বিশ্বাসটি ভ্রান্ত ও বাতিল বিশ্বাস। তবে এ বিশ্বাস না থাকলে হালাল খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করতে কোন সমস্যা নেই যদি তা বিদআতী অনুষ্ঠান উপলক্ষে না হয়। বিদআতী অনুষ্ঠান উপলক্ষে হলে (যেমন মিলাদ, শবে বরাত, ঈসালে সওয়াব, উরূস মাহফিল, জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী ইত্যাদি) তা বিতরণ করা বা খাওয়া উভয়টি জায়েজ নয়। আল্লাহু আলাম।
উত্তর দিয়েছেন: শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদি।
প্রশ্ন : আমাদের এলাকায় ওয়াজ মাহফিল শেষে সম্মিলিত মুনাজাত হয় ও তাবারুক বিতরণ করে। মিলাদ (যা বিদাত, জানি) ও ইমামকে দিয়ে দোয়া করানোর পরে উপস্থিত সকলকে কোনো খাদ্যদ্রব্য ‘তাবারুক’ হিসেবে দেয়া হয় এবং সকলকেই খুব আগ্রহ সহকারে খেতে দেখা যায়।
আমার প্রশ্ন হল উপরোল্লিখিত ক্ষেত্রে যে তাবারুক বিতরণের প্রথা ও তাবারুক খাওয়া কি জায়েজ? আর এতে কি কোনো বর্কত থাকে? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর : তাবারুক অর্থ: বরকত গ্রহণ করা। মাহফিল অনুষ্ঠান শেষে যদি কোন খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয় তাতে যদি বিশ্বাস করা হয় যে, এই খাবারে বিশেষ কিছু বরকত আছে তা এই বিশ্বাসটি ভ্রান্ত ও বাতিল বিশ্বাস। তবে এ বিশ্বাস না থাকলে হালাল খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করতে কোন সমস্যা নেই যদি তা বিদআতী অনুষ্ঠান উপলক্ষে না হয়। বিদআতী অনুষ্ঠান উপলক্ষে হলে (যেমন মিলাদ, শবে বরাত, ঈসালে সওয়াব, উরূস মাহফিল, জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী ইত্যাদি) তা বিতরণ করা বা খাওয়া উভয়টি জায়েজ নয়। আল্লাহু আলাম।
উত্তর দিয়েছেন: শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদি।
এ বিষয়ে (কোনো বৈঠক শেষে খাবার বিতরণের) কোনো হাদিস আছে কি? না হলে তো এটা এক প্রকার বেদআতের সমর্খন করা হলো?
New member
দেখুন আগে বিদআত কি সেটা বুঝতে হবে। বিদআত ইবাদতের সাথে সম্পৃক্ত, কোনো কাজ হাদিসে না থাকলেই বিদআত হয়না।
বিদআত তখন হয় যখন কোনো কাজ সাওয়াবের উদ্যেশে বা ইবাদত মনে করে করা হয়।
বিদআত সম্পর্কে জানতে এই ক্যাটাগরির পোস্টগুলো পড়তে পারেন - শিরক ও বিদআত
Share this page
নিবেদন!
আমরা কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নই তাই আমাদের ফোরামে কোনো ভুল ত্রুটি (ছোট কিংবা বড়) চোখে পড়লে সেটাকে প্রচার করার পূর্বে আমাদের জানানোর অনুরোধ করছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন: নিশ্চয় মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। সে তার ওপরে জুলুম করে না।