কাউকে যদি জোরজবরদস্তি করে বা বাধ্য করে কুফরি কাজ করানো হয়, তাহলে তাকে কাফির বলা যাবে না। আল্লাহ তাআলা এ ব্যাপারে বলেন,
"যে ঈমান আনার পর আল্লাহর সাথে কুফরি করেছে এবং যারা তাদের অন্তর কুফরী দ্বারা উন্মুক্ত করেছে, তাদের ওপরই আল্লাহর ক্রোধ এবং তাদের জন্য রয়েছে মহা আযাব। তবে তার জন্য নয়, যাকে কুফরীর জন্য বাধ্য করা হয় কিন্তু ঈমানে তার মন প্রশান্ত'। [সূরা নাহল, আয়াত: ১০৬]
রাসূলূল্লাহ ﷺ বলেন, 'নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মাতের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি-বিচ্যুতি, ভুলভ্রান্তি ও জোর-জবরদস্তি করে যা করানো হয়, তা ক্ষমা করে দিয়েছেন'। [ইবনে মাজাহ, হা. ২০৪৫]
মুশরিকরা আম্মার ইবন ইয়াসিরকে গ্রেফতার করে চরম শাস্তি দিয়ে তার মুখ থেকে নানান ধরনের কুফরী কথা বের করার চেষ্টা করে। তিনি কিছু কথা বলেও ফেলেন। পরে তিনি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করলে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তোমার অন্তরের অবস্থা কেমন ছিল? তিনি বলেন, ঈমানের ওপর স্থির ছিল। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, যদি তারা তোমার সাথে আবারও এ ধরনের আচরণ করে, তুমিও তখন আবারও একই রকমের কথা বলে ছুটে আসবে। [নাসবুর রায়াহ, ৭/২১৭; ইত্তিহাফুল খিয়ারাতিল, ১৩৫; আল-মাতালিবুল আলিয়া, ২৯১০]
- মানহাজুস সালাফ, পৃষ্ঠা: ৪১৪; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স