A
Anonymous User
Guest
- Thread starter
- #1
দেশ ভিন্নতায় এর বিধান ভিন্ন ভিন্ন হয়। শীতপ্রধান এলাকায় সচরাচর মহিলাদের খতনা করার প্রয়োজন পড়ে না। এর বিপরীতে উষ্ণপ্রধান এলাকায় তাদের খতনা করার প্রয়োজন দেখা যায়। মহিলাদের খতনা সচরাচর করা হয় নারী-অঙ্গে। তাদের যৌনাঙ্গে এক টুকরো মাংস থাকে। সেই মাংস কখনো সামান্য হয় আবার কখনো বড় হয়। শীতপ্রধান এলাকায় তা বড় হয় না কিন্তু উষ্ণপ্রধান এলাকায় তা বড় হয়। এ কারণে উষ্ণপ্রধান এলাকার মহিলারা খতনা করে।
হিজাযে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে যামানায় এমনটাই হতো। কোনো কোনো সহীহ হাদীসে এসেছে, এক মহিলা খতনা করত। রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন , "যখন তুমি খতনা করবে তখন গভীর করে কাটবে না। অর্থাৎ সেই কোমলাস্থি বা মাংস-টুকরো বেশি করে কাটবে না। কারণ, তা চেহারাকে সমুজ্জ্বল করে এবং যা কি না স্বামীর জন্য খুব তৃপ্তিদায়ক ।" [ সুনানু আবী দাউদ, ৫৭১, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
অতএব, দেশ ভিন্নতায় মহিলাদের খতনার বিধান ভিন্ন ভিন্ন।
কিন্তু সকল পুরুষদের খতনার প্রয়োজন হয়। তবে হাতেগোনা এমন কিছু পুরুষ রয়েছে যারা খতনা করা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। আর নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম - কে ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে, তিনি খতনা করা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছেন। সনদের দিক থেকে এ হাদীস সহীহ নয়। তা ছাড়া এটি কোনো কোনো মানুষের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই ঘটে। তাই একে নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কারামত হিসেবে গণ্য করা যাবে না। কারণ, কোনো কোনো কাফিরও খতনা করা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে; তাই এটি কোনো কারামত নয়।
মোদ্দাকথা, পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে যে চামড়া থাকে তা অধিকাংশ পুরুষের কাটা অত্যাবশ্যক হয়। আর উষ্ণপ্রধান এলাকার অধিকাংশ মহিলার ঐ অংশটুকু কাটা আবশ্যক হলেও শীতপ্রধান এলাকার মহিলাদের সেটা কাটা আবশ্যক হয় না। এটাই খতনার বিধান। [ তুরাসুল আলবানী ফিল ফিকহ, ১/ ৪৬০ - ৪৬১]
হিজাযে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে যামানায় এমনটাই হতো। কোনো কোনো সহীহ হাদীসে এসেছে, এক মহিলা খতনা করত। রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন , "যখন তুমি খতনা করবে তখন গভীর করে কাটবে না। অর্থাৎ সেই কোমলাস্থি বা মাংস-টুকরো বেশি করে কাটবে না। কারণ, তা চেহারাকে সমুজ্জ্বল করে এবং যা কি না স্বামীর জন্য খুব তৃপ্তিদায়ক ।" [ সুনানু আবী দাউদ, ৫৭১, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
অতএব, দেশ ভিন্নতায় মহিলাদের খতনার বিধান ভিন্ন ভিন্ন।
কিন্তু সকল পুরুষদের খতনার প্রয়োজন হয়। তবে হাতেগোনা এমন কিছু পুরুষ রয়েছে যারা খতনা করা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। আর নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম - কে ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে, তিনি খতনা করা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছেন। সনদের দিক থেকে এ হাদীস সহীহ নয়। তা ছাড়া এটি কোনো কোনো মানুষের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই ঘটে। তাই একে নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কারামত হিসেবে গণ্য করা যাবে না। কারণ, কোনো কোনো কাফিরও খতনা করা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে; তাই এটি কোনো কারামত নয়।
মোদ্দাকথা, পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে যে চামড়া থাকে তা অধিকাংশ পুরুষের কাটা অত্যাবশ্যক হয়। আর উষ্ণপ্রধান এলাকার অধিকাংশ মহিলার ঐ অংশটুকু কাটা আবশ্যক হলেও শীতপ্রধান এলাকার মহিলাদের সেটা কাটা আবশ্যক হয় না। এটাই খতনার বিধান। [ তুরাসুল আলবানী ফিল ফিকহ, ১/ ৪৬০ - ৪৬১]
ফাতাওয়ায়ে আলবানী
খতনা অধ্যায়, পৃষ্ঠা নংঃ ১৭৪
মূলঃ মুহাদ্দিস ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী রহিমাহুল্লাহ।
অনুবাদঃ আবদুল্লাহ মাহমুদ।
খতনা অধ্যায়, পৃষ্ঠা নংঃ ১৭৪
মূলঃ মুহাদ্দিস ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী রহিমাহুল্লাহ।
অনুবাদঃ আবদুল্লাহ মাহমুদ।