If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 667
- Comments
- 1,234
- Solutions
- 17
- Reactions
- 7,920
- Thread Author
- #1
মজুতদারি: মজুতদারি বলতে বোঝায়, পণ্য ও সামগ্রী ক্রয় করে গুদামজাত করা এবং মানুষের হাতে পৌঁছা থেকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যাতে করে বাজারে উক্ত পণ্য ও সামগ্রীর সংকট সৃষ্টি হয় এবং দাম বেড়ে যায়। এভাবে ব্যবসায়ীরা সাধারণ লাভের তুলনায় অধিক লাভবান হয়। ইসলামী শরীআত এমন মজুতদারি হারাম করে দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
জঘণ্য অপরাধী ছাড়া কেউই গুদামজাত করে না।[1]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
আমদানীপণ্য সরবরাহকারী ব্যবসায়ী রিযিকপ্রাপ্ত হয় এবং মজুতদার অভিশপ্ত।[2]
মজুতদারি বলতে শুধু খাদ্যপণ্য মজুতকে বোঝায় না; বরং যা কিছু মজুত করে রাখলে মুসলিমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা-ই মজুতদারির অন্তর্ভুক্ত হবে। মুসলিম আলিমগণ মজুতদারির সমাধান এভাবে করেছেন যে, সরকার যদি মনে করে তাহলে ব্যবসায়ীদের জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারে। তবে এমন দাম নির্ধারণ করবে, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম করা হবে না আবার পণ্যক্রয়কারীদেরকেও ব্যাপকভাবে ঠকানো হবে না। ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘এসব ব্যবসায়ীর জন্য দাম নির্ধারণ করে দেওয়া ওয়াজিব। ফলে তারা নির্ধারিত মূল্য ছাড়া বিক্রি করতে পারবে না এবং নির্ধারিত মূল্য ছাড়া ক্রয় করতে পারবে না। মূল্য নির্ধারণ যদি তাদের খেয়ালখুশির ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো ক্রয়-বিক্রয় করবে। ফলে তা সাধারণ মানুষের ওপর জুলুমের উপজীব্য হয়ে দাঁড়াবে―পণ্য বিক্রয়ইচ্ছুক বিক্রেতাদের ওপর জুলুম হয়ে যাবে এবং তাদের থেকে ক্রেতাদের ওপরও জুলুম হয়ে যাবে।… মোটকথা হলো, যদি মূল্য নির্ধারণ করা ছাড়া মানুষের কল্যাণ পরিপূর্ণ না হয়, তাহলে ব্যবসায়ীদের জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়াটাই ইনসাফ; এটা কোনো জুলুম ও অন্যায় নয় এবং তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করা নয়।[3]
যদি পণ্যের দাম নির্ধারিত থাকে আর ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে মজুত করে ও বাজারে পণ্য সরবরাহ না করে, তাহলে সরকার তাদেরকে সংগত মূল্যে বিক্রয় করতে বাধ্য করতে পারে অথবা তাদেরকে এমন শাস্তি দিতে পারে যার ফলে তারা সুবিধাভোগ করা ছাড়াই পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হবে। ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘সরকার মানুষের প্রয়োজন ও চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মজুতদারদেরকে তাদের মজুতকৃত পণ্য সংগত মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য করতে পারে। একজনের কাছে তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য রয়েছে আর মানুষেরা অনাহারে রয়েছে অথচ সে উচ্চমূল্য ছাড়া বিক্রি করছে না। এখন কেউ যদি তার থেকে তার হাঁকানো মূল্যে পণ্য ক্রয় করে, তাহলে সংগত মূল্যের বা বাজারমূল্যের অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করা তার ওপর ওয়াজিব নয়।[4]
لَا يَحْتَكِرُ إِلَّا خَاطِئٌ
জঘণ্য অপরাধী ছাড়া কেউই গুদামজাত করে না।[1]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
الْجَالِبُ مَرْزُوقٌ وَالْمُحْتَكِرُ مَلْعُونٌ
আমদানীপণ্য সরবরাহকারী ব্যবসায়ী রিযিকপ্রাপ্ত হয় এবং মজুতদার অভিশপ্ত।[2]
মজুতদারি বলতে শুধু খাদ্যপণ্য মজুতকে বোঝায় না; বরং যা কিছু মজুত করে রাখলে মুসলিমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা-ই মজুতদারির অন্তর্ভুক্ত হবে। মুসলিম আলিমগণ মজুতদারির সমাধান এভাবে করেছেন যে, সরকার যদি মনে করে তাহলে ব্যবসায়ীদের জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারে। তবে এমন দাম নির্ধারণ করবে, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম করা হবে না আবার পণ্যক্রয়কারীদেরকেও ব্যাপকভাবে ঠকানো হবে না। ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘এসব ব্যবসায়ীর জন্য দাম নির্ধারণ করে দেওয়া ওয়াজিব। ফলে তারা নির্ধারিত মূল্য ছাড়া বিক্রি করতে পারবে না এবং নির্ধারিত মূল্য ছাড়া ক্রয় করতে পারবে না। মূল্য নির্ধারণ যদি তাদের খেয়ালখুশির ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো ক্রয়-বিক্রয় করবে। ফলে তা সাধারণ মানুষের ওপর জুলুমের উপজীব্য হয়ে দাঁড়াবে―পণ্য বিক্রয়ইচ্ছুক বিক্রেতাদের ওপর জুলুম হয়ে যাবে এবং তাদের থেকে ক্রেতাদের ওপরও জুলুম হয়ে যাবে।… মোটকথা হলো, যদি মূল্য নির্ধারণ করা ছাড়া মানুষের কল্যাণ পরিপূর্ণ না হয়, তাহলে ব্যবসায়ীদের জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়াটাই ইনসাফ; এটা কোনো জুলুম ও অন্যায় নয় এবং তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করা নয়।[3]
যদি পণ্যের দাম নির্ধারিত থাকে আর ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে মজুত করে ও বাজারে পণ্য সরবরাহ না করে, তাহলে সরকার তাদেরকে সংগত মূল্যে বিক্রয় করতে বাধ্য করতে পারে অথবা তাদেরকে এমন শাস্তি দিতে পারে যার ফলে তারা সুবিধাভোগ করা ছাড়াই পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হবে। ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘সরকার মানুষের প্রয়োজন ও চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মজুতদারদেরকে তাদের মজুতকৃত পণ্য সংগত মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য করতে পারে। একজনের কাছে তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য রয়েছে আর মানুষেরা অনাহারে রয়েছে অথচ সে উচ্চমূল্য ছাড়া বিক্রি করছে না। এখন কেউ যদি তার থেকে তার হাঁকানো মূল্যে পণ্য ক্রয় করে, তাহলে সংগত মূল্যের বা বাজারমূল্যের অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করা তার ওপর ওয়াজিব নয়।[4]
অনুবাদ: উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ।
বিলিভার্স ভিশনের প্রকাশিতব্য বই থেকে।
বিলিভার্স ভিশনের প্রকাশিতব্য বই থেকে।
[1] সুনানু আবী দাউদ, ৩৪৪৭; সুনানু ইবন মাজাহ, ২১৫৪, হাদীসটি সহীহ
[2] সুনানু ইবন মাজাহ, ২১৫৩; সুনানুদ দারিমী, ২৫৪৪, আলবানী হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন।
[3] ইবনুল কাইয়্যিম, আত-তুরুকুল হুকমিয়্যাহ ফিস সিয়াসাতিশ শারঈয়্যাহ, পৃ. ২৬০
[4] ইবনুল কাইয়্যিম, আত-তুরুকুল হুকমিয়্যাহ ফিস সিয়াসাতিশ শারঈয়্যাহ, পৃ. ২৫৪-২৫৫