If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
ভাড়া দেওয়া হয়েছে এমন বাড়ী যদি ভাড়ার জন্যই নির্মাণ করা হয়ে থাকে তবে বাড়ীর মূল্যে কোনো যাকাত নেই। তবে বাড়ী থেকে প্রাপ্ত ভাড়ার যাকাত দিতে হবে, যদি ভাড়া দেওয়ার দিন থেকে প্রাপ্ত অর্থের উপর বছর পূর্ণ হয়। ভাড়ার চুক্তিনামা স্বাক্ষর করার দিন থেকে যদি বছর পূর্ণ না হয় তবে তাতে যাকাত নেই। যেমন বছরে ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা প্রদানের চুক্তিতে ঘর ভাড়া দেওয়া হল। চুক্তির শুরুতে পাঁচ হাজার টাকা গ্রহণ করে তা খরচ হয়ে গেল। অবশিষ্ট পাঁচ হাজার টাকা বছরের মধ্যবর্তী সময়ে গ্রহণ করে তাও বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই খরচ হয়ে গেল, তবে এক বছরে প্রাপ্ত দশ হাজার টাকার এ ভাড়ার মধ্যে কোনো যাকাত দিতে হবে না। কেননা এ অর্থে বছর পূর্ণ হয় নি।
কিন্তু বাড়ীটি যদি ব্যবসার জন্য নির্মাণ করে মূল্য বৃদ্ধি বা লাভের অপেক্ষায় থাকে এবং বিক্রি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ভাড়া আদায় করে, তবে উক্ত বাড়ীর মূল্যে যেমন যাকাত দিতে হবে তেমনি তার ভাড়ারও যাকাত দিতে হবে যখন তাতে বছর পূর্ণ হবে। কেননা তা ব্যবসার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। নিজ মালিকানায় থেকে যাওয়া বা তা থেকে উপকৃত হওয়ার উদ্দেশ্যে নয়। আর এমন প্রত্যেক বস্তু যা ব্যবসা বা উপার্জনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয় তাতেই যাকাত রয়েছে। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “প্রত্যেকটি কর্ম নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষ যা নিয়ত করে তাই রয়েছে তার জন্য।”[1]
এই ব্যক্তির নিকট যে সম্পদ রয়েছে তার উদ্দেশ্য হচ্ছে উপার্জন করা। তার লক্ষ্য তো বস্তুটির মূল্যের প্রতি -মূল বস্তু নয়। আর তার মূল্য হচ্ছে দিরহাম বা টাকা বা নগদ অর্থ। আর জানা কথা যে, নগদ অর্থে বা টাকা-পয়সায় যাকাত ওয়াজিব। অতএব, যে গৃহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বছর শেষে তার মূল্য নির্ধারণ করে তাতে এবং তা যদি ভাড়ায় থাকে তবে ভাড়ার চুক্তির দিন থেকে বছর পূর্ণ হলে তারও যাকাত দিতে হবে।
[1] সহীহ বুখারী ও মুসলিম।
কিন্তু বাড়ীটি যদি ব্যবসার জন্য নির্মাণ করে মূল্য বৃদ্ধি বা লাভের অপেক্ষায় থাকে এবং বিক্রি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ভাড়া আদায় করে, তবে উক্ত বাড়ীর মূল্যে যেমন যাকাত দিতে হবে তেমনি তার ভাড়ারও যাকাত দিতে হবে যখন তাতে বছর পূর্ণ হবে। কেননা তা ব্যবসার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। নিজ মালিকানায় থেকে যাওয়া বা তা থেকে উপকৃত হওয়ার উদ্দেশ্যে নয়। আর এমন প্রত্যেক বস্তু যা ব্যবসা বা উপার্জনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয় তাতেই যাকাত রয়েছে। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “প্রত্যেকটি কর্ম নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষ যা নিয়ত করে তাই রয়েছে তার জন্য।”[1]
এই ব্যক্তির নিকট যে সম্পদ রয়েছে তার উদ্দেশ্য হচ্ছে উপার্জন করা। তার লক্ষ্য তো বস্তুটির মূল্যের প্রতি -মূল বস্তু নয়। আর তার মূল্য হচ্ছে দিরহাম বা টাকা বা নগদ অর্থ। আর জানা কথা যে, নগদ অর্থে বা টাকা-পয়সায় যাকাত ওয়াজিব। অতএব, যে গৃহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বছর শেষে তার মূল্য নির্ধারণ করে তাতে এবং তা যদি ভাড়ায় থাকে তবে ভাড়ার চুক্তির দিন থেকে বছর পূর্ণ হলে তারও যাকাত দিতে হবে।
[1] সহীহ বুখারী ও মুসলিম।