If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
ব্যক্তি ও সমাজে কিয়ামত দিবসকে বিশ্বাস করার অনেক উপকরীতা রয়েছে, এর কিছু নিম্নে উল্লেখ করা হল :
১. ঐ দিন সওয়াব পাওয়ার উদ্দেশ্যে মানুষ আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি উৎসাহী হবে এবং শাস্তির ভয়ে তাঁর নাফরমানী করা হতে দূরে থাকবে।
২. আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখার মধ্যে মুমিনদের জন্য শান্ত্বনা রয়েছে, কারণ পার্থিব দুনিয়ার যে সব কল্যাণ তার ছুটে গেছে তার পরিবর্তে সে আখেরাতের কল্যাণ ও তার সওয়াব আশা করবে।
৩. আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখার ফলে মৃত্যুর পরে কোথায় তার ঠিকানা হবে এবং সে তার কর্মের প্রতিফল পাবে, মানুষ তা জানতে পারে। কর্ম যদি ভাল হয় তবে তার প্রতিদানও ভাল হবে, আর কর্ম যদি খারাপ হয় তবে তার প্রতিদানও খারাপ হবে।
'আরো জানতে পারে যে, হিসাব-নিকাশের জন্য (আল্লাহর সামনে) তাকে দাঁড় করানো হবে, যাদের উপর সে জুলুম করেছে তার প্রতিশোধ নেয়া হবে এবং যাদের প্রতি সে জুলুম ও বাড়াবাড়ী করেছে তাদের জন্য তার নিকট হতে বান্দার হক আদায় করা হবে।
৪ আল্লাহ এবং আখেরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন মানুষের জন্য এমন সময় শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে যখন শান্তি প্রতিষ্ঠা করা খুবই কষ্টসাধ্য এবং যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ হয় না। এটা এ কারণে যে, আল্লাহ এবং আখেরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন মানুষকে তার গোপনে ও প্রকাশ্যে অন্যের অনিষ্ট করা হতে বিরত রাখতে বাধ্য করে। বরং এই বিশ্বাস স্থাপন তার সীনার ঐ স্থান পর্যন্ত বিদ্ধ হয় (প্রভাব ফেলে) যেখানে সে থাকে এবং খারাপ নিয়তের উপর আঘাত করে যদি তা পাওয়া যায়, ফলে জন্ম হওয়ার পূর্বেই তাকে শেষ করে ফেলে।
৫. আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন অপরের প্রতি জুলুম এবং তাদের হক্ক নষ্ট করা হতে মানুষকে বিরত রাখে, সুতরাং মানুষ যদি আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তবে তারা পরস্পরে জুলুম করা হতে নিরাপদ থাকবে এবং তাদের হক্বসমূহও রক্ষা পাবে।
৬. আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন মানুষকে এমন করে দেয় যে, সে মনে করে দুনিয়ার ঘর-সংসার জীবনের একটি স্তর মাত্র। তা পূর্ণাঙ্গ জীবন নয়।
এই অনুচ্ছেদের শেষে সঙ্গত মনে করছি যে, আমেরিকান নাগরিক ওয়াইন বেট নামক এক খ্রীস্টানের একটি উক্তিকে প্রমাণসরূপ পেশ করি। সে এক গির্জায় কাজ করতো, অতঃপর সে ইসলাম গ্রহণ করে এবং আখেরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখার ফলাফল উপলব্ধি করে। তিনি বলেন: আমি এখন এমন ৪টি প্রশ্নের উত্তর জানি; যা আমার জীবনকে খুব ব্যস্ত করে রেখেছিল। প্রশ্ন ৪টি হলঃ আমি কে? আমি কী চাই? আমি কেন এসেছি? আমার গন্তব্য কোথায়? (মাজাল্লাতুদ্দা ওয়া আস্ সউদিয়্যাহ: ১৭২২ নং সংখ্যা, তারিখ : ১৯/৯/১৪২০ হিজরী, ৩৭ নং পৃষ্ঠা)
১. ঐ দিন সওয়াব পাওয়ার উদ্দেশ্যে মানুষ আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি উৎসাহী হবে এবং শাস্তির ভয়ে তাঁর নাফরমানী করা হতে দূরে থাকবে।
২. আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখার মধ্যে মুমিনদের জন্য শান্ত্বনা রয়েছে, কারণ পার্থিব দুনিয়ার যে সব কল্যাণ তার ছুটে গেছে তার পরিবর্তে সে আখেরাতের কল্যাণ ও তার সওয়াব আশা করবে।
৩. আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখার ফলে মৃত্যুর পরে কোথায় তার ঠিকানা হবে এবং সে তার কর্মের প্রতিফল পাবে, মানুষ তা জানতে পারে। কর্ম যদি ভাল হয় তবে তার প্রতিদানও ভাল হবে, আর কর্ম যদি খারাপ হয় তবে তার প্রতিদানও খারাপ হবে।
'আরো জানতে পারে যে, হিসাব-নিকাশের জন্য (আল্লাহর সামনে) তাকে দাঁড় করানো হবে, যাদের উপর সে জুলুম করেছে তার প্রতিশোধ নেয়া হবে এবং যাদের প্রতি সে জুলুম ও বাড়াবাড়ী করেছে তাদের জন্য তার নিকট হতে বান্দার হক আদায় করা হবে।
৪ আল্লাহ এবং আখেরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন মানুষের জন্য এমন সময় শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে যখন শান্তি প্রতিষ্ঠা করা খুবই কষ্টসাধ্য এবং যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ হয় না। এটা এ কারণে যে, আল্লাহ এবং আখেরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন মানুষকে তার গোপনে ও প্রকাশ্যে অন্যের অনিষ্ট করা হতে বিরত রাখতে বাধ্য করে। বরং এই বিশ্বাস স্থাপন তার সীনার ঐ স্থান পর্যন্ত বিদ্ধ হয় (প্রভাব ফেলে) যেখানে সে থাকে এবং খারাপ নিয়তের উপর আঘাত করে যদি তা পাওয়া যায়, ফলে জন্ম হওয়ার পূর্বেই তাকে শেষ করে ফেলে।
৫. আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন অপরের প্রতি জুলুম এবং তাদের হক্ক নষ্ট করা হতে মানুষকে বিরত রাখে, সুতরাং মানুষ যদি আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তবে তারা পরস্পরে জুলুম করা হতে নিরাপদ থাকবে এবং তাদের হক্বসমূহও রক্ষা পাবে।
৬. আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন মানুষকে এমন করে দেয় যে, সে মনে করে দুনিয়ার ঘর-সংসার জীবনের একটি স্তর মাত্র। তা পূর্ণাঙ্গ জীবন নয়।
এই অনুচ্ছেদের শেষে সঙ্গত মনে করছি যে, আমেরিকান নাগরিক ওয়াইন বেট নামক এক খ্রীস্টানের একটি উক্তিকে প্রমাণসরূপ পেশ করি। সে এক গির্জায় কাজ করতো, অতঃপর সে ইসলাম গ্রহণ করে এবং আখেরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখার ফলাফল উপলব্ধি করে। তিনি বলেন: আমি এখন এমন ৪টি প্রশ্নের উত্তর জানি; যা আমার জীবনকে খুব ব্যস্ত করে রেখেছিল। প্রশ্ন ৪টি হলঃ আমি কে? আমি কী চাই? আমি কেন এসেছি? আমার গন্তব্য কোথায়? (মাজাল্লাতুদ্দা ওয়া আস্ সউদিয়্যাহ: ১৭২২ নং সংখ্যা, তারিখ : ১৯/৯/১৪২০ হিজরী, ৩৭ নং পৃষ্ঠা)
পড়ুন: ইসলামের মৌলিক নীতিমালা - PDF