যে সকল উসীলা বৈধ
(১) মহান আল্লাহর নাম ও গুণাবলি দ্বারা আল্লাহর নিকট উসীলা দেয়া
وَ لِلَّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى فَادْعُوهُ بِهَا وَذَرُوا الَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِي أَسْمَابِهِسَيُجْزَوْنَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
“আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং, তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামে বিকৃতি ঘটায়। তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে এর প্রতিফল দেয়া হবে।” [সূরা ৭; আল- আ'রাফ ১৮০]
সুতরাং, “তোমরা তাঁকে সেসব নামের দ্বারা ডাক অর্থাৎ মহান আল্লাহর সুন্দরতম নামসমূহের উসীলা দিয়ে তাঁকে ডাক।”
যেমন আমরা বলতে পারি-
“হে রাহমান! আমাকে রহম করুন।
“হে ক্ষমাশীল! আমাকে ক্ষমা করুন।”
“হে মহা সম্মানের মালিক! হে মহান দাতা! আমাকে সম্মানিত করুন, আমাকে দান করুন।”
যেমনিভাবে আইয়ুব আলাইহিস সালাম দু'আ করেছিলেন,
“আমি দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি। আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।” (সূরা ২১; আল-আম্বিয়া ৮৩]
ইউনুস আলাইহিস সালাম দু'আ করেছিলেন,
“তারপর সে অন্ধকার থেকে ডেকে বলেছিল, 'আপনি ছাড়া অন্য কোনো (সত্য) ইলাহ নেই'। আপনি পবিত্র মহান। নিশ্চয়ই আমি ছিলাম জালিম'। অতঃপর আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।” [সূরা ২১; আল-আম্বিয়া ৮৭-৮৮]
এখানে তিনি মহান আল্লাহর নিকট তাঁর তাওহীদ, তাঁর তাসবীহ এবং নিজের গুনাহের স্বীকৃতির উসীলা দিয়ে দু'আ করেছেন, আল্লাহ তাআলা দু'আ কবুল করেছেন।
(২) জীবিত নেককার বান্দার দু'আ দ্বারা উসীলা দেয়া জায়েয
যেমন- উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর দু'আর উসীলা দিয়েছেন। মু'আবিয়াহ রাদিয়াল্লাহু আনহু, ইয়াযীদ ইবনুল আসওয়াদ আল জারসী রাদিয়াল্লাহু আনহুর দু'আ দ্বারা উসীলা দিয়েছেন।
তবে কোনো মানুষের বা অধিকার অথবা তার মর্যাদা, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতির উসীলা দেয়া বিদ'আত ও নিষিদ্ধ। [দুরূসুন ফী শারহি নাওয়াক্বিদিল ইসলাম, শাইখ ড. সালিহ বিন ফাউযান আল-ফাউযান, পৃ. ৬৭]
(১) মহান আল্লাহর নাম ও গুণাবলি দ্বারা আল্লাহর নিকট উসীলা দেয়া
(التَّوَسُلُ إِلَى اللهِ بِأَسْمَائِهِ وَصِفَاتِهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَيْ)
মহান আল্লাহ বলেন,
وَ لِلَّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى فَادْعُوهُ بِهَا وَذَرُوا الَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِي أَسْمَابِهِسَيُجْزَوْنَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
“আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং, তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামে বিকৃতি ঘটায়। তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে এর প্রতিফল দেয়া হবে।” [সূরা ৭; আল- আ'রাফ ১৮০]
সুতরাং, “তোমরা তাঁকে সেসব নামের দ্বারা ডাক অর্থাৎ মহান আল্লাহর সুন্দরতম নামসমূহের উসীলা দিয়ে তাঁকে ডাক।”
যেমন আমরা বলতে পারি-
يَا رَحْمنُ ارْحَمْنِي
“হে রাহমান! আমাকে রহম করুন।
"يَا غَفُورُ اغْفِرْ لِي
“হে ক্ষমাশীল! আমাকে ক্ষমা করুন।”
يَا كَرِيمُ أَكْرِمْنِي وَأَعْطِنِي
“হে মহা সম্মানের মালিক! হে মহান দাতা! আমাকে সম্মানিত করুন, আমাকে দান করুন।”
যেমনিভাবে আইয়ুব আলাইহিস সালাম দু'আ করেছিলেন,
أنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّحِمِينَ
“আমি দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি। আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।” (সূরা ২১; আল-আম্বিয়া ৮৩]
ইউনুস আলাইহিস সালাম দু'আ করেছিলেন,
فَنَادَى فِي الظُّلُمَتِ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَنَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّلِمِينَ ) فَاسْتَجَبْنَالَهُ )
“তারপর সে অন্ধকার থেকে ডেকে বলেছিল, 'আপনি ছাড়া অন্য কোনো (সত্য) ইলাহ নেই'। আপনি পবিত্র মহান। নিশ্চয়ই আমি ছিলাম জালিম'। অতঃপর আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।” [সূরা ২১; আল-আম্বিয়া ৮৭-৮৮]
এখানে তিনি মহান আল্লাহর নিকট তাঁর তাওহীদ, তাঁর তাসবীহ এবং নিজের গুনাহের স্বীকৃতির উসীলা দিয়ে দু'আ করেছেন, আল্লাহ তাআলা দু'আ কবুল করেছেন।
(২) জীবিত নেককার বান্দার দু'আ দ্বারা উসীলা দেয়া জায়েয
الصَّالِحِيْنَ الْأَحْيَاءِ جَائِزُ
যেমন- উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর দু'আর উসীলা দিয়েছেন। মু'আবিয়াহ রাদিয়াল্লাহু আনহু, ইয়াযীদ ইবনুল আসওয়াদ আল জারসী রাদিয়াল্লাহু আনহুর দু'আ দ্বারা উসীলা দিয়েছেন।
তবে কোনো মানুষের বা অধিকার অথবা তার মর্যাদা, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতির উসীলা দেয়া বিদ'আত ও নিষিদ্ধ। [দুরূসুন ফী শারহি নাওয়াক্বিদিল ইসলাম, শাইখ ড. সালিহ বিন ফাউযান আল-ফাউযান, পৃ. ৬৭]