Altruistic
Uploader
Salafi User
- Joined
- Nov 17, 2023
- Threads
- 408
- Comments
- 525
- Solutions
- 1
- Reactions
- 12,987
- Thread Author
- #1
বুফে ব্যবসা নিয়ে যদিও কিছুটা মতভেদ আছে কিন্তু অনেক আলেম এটাকে নাজায়েজ বলেছেন কারণ সব কিছুই অজ্ঞাত। তবে অনেকে এই অজ্ঞতাকে ছাড় দিয়েছেন কিছু যুক্তি দেখিয়ে যেমন:- তারা বলে যে, যদি কেউ ১০ টাকা দিয়ে গোসল করে আসে তাহলে এই সাধারণ অজ্ঞতা ছাড় রয়েছে যদিও সে ১০ টাকার বেশি পানি ব্যবহার করে। কিন্তু এখানে এটি যুক্তি তাও আবার এমন যুক্তি যা কখনো আমি ঘটতে দেখিনি। একটি ১০০০ লিটারের হাউজে পানি তুলতে আর কয় টাকায় বা লাগে তারপর এখানে সবারই ইচ্ছা থাকে প্রয়োজন সারা যেমন গোসল করা কিন্তু বুফেতে সবাই শুধু প্রয়োজন সারার জন্য যায় না বরং বেশিরভাগ মানুষই এই ইচ্ছা করে যে আমি টাকার চেয়ে বেশি খাবো চাই তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতি তরিকার তিন ভাগের একভাগ পেট ভরে খাবার গ্রহণের বিপরীতে যায় না কেন। আবার বুফেতে এমন ঘটতেই থাকে যে, হয় যে খাবে সে লাভ করবে অথবা মালিক লাভ করবে এটা ১০০% হবেই হবে। হয় খাদক তার টাকার চেয়ে বেশি খাবে অথবা কম।কিন্তু যদি আপনি ১০ টাকা দিয়ে গোসল করতে যান তাহলে সেখানে সবাই প্রয়োজন সারতে যায় এবং যদি ১০০০ জনও যায় তাহলেও তারা ১০ টাকার বেশি ব্যবহার করে না কারণ তাদের ইচ্ছা থাকে গোছল করা আর পানি অপচয় করে কেউ ফ্রি ফ্রি গুনাহ নিতে চাইনা। তাই কেউ পানি অপচয় করার গুনাহ করেনা বরং সবাই চায় যে, আমার গোসল হলেই হলো আবার গুনাহ করে আল্লাহর কাছে যবাব দিবে কে তাই গোসল ব্যবসায় ১০০০ জন গেলে ১০০০ জনেই ব্যবসায়ী লাভ হয় আবার যদি ব্যবসায়ী বুঝতে পারে যে ইনি পানি অপচয় করছে তাহলে তাকে আর কোনদিন গোসল করতে দিবে না কিন্তু যদি বুফে ব্যবসায়ে মালিকের সামনেউ কেউ বেশি খেয়ে ফেলে টাকার চেয়ে তবুও মালিক তার লোকসান হওয়ার পরও বাঁধা দিতে পারে না। তাই এখান থেকে বেঁচে থাকা ভালো। একজন মুসলিম কখনও এই বুফে ব্যবসার মত কার্জে ইচ্ছা করে জড়াতে পারেনা। বাকি সবাইকে আল্লাহ মস্তিষ্ক দিয়েছেন তাই যে মতামত বেশি দৃঢ় তা পালন করা কর্তব্য। আমার কাছে বুফে ব্যবসা একজন মুসলিম হিসেবে পরিহার করা উচিত। হাদীসে অজ্ঞতা সূচক ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদি কেউ এটাকে হারাম মনে না করেন তবুও এটা হারামের কাছে আর হারামের সিমানার কাছে যেতেও একজন মুসলিম কে বারণ করা হয়েছে কারণ সে হঠাৎ করে হারামে জরিয়ে পড়তে পারে আর এই বিষয়ে নু'মান ইবনে বাশির রাযিয়াল্লাহু আনহু এর বিখ্যাত হাদীস
গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)
হাদিস নম্বরঃ ২৭৬২
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৬২-[৪] নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এ উভয়ের মধ্যে এমন অনেক সন্দেহভাজন বিষয় বা বস্ত্ত আছে, যে ব্যাপারে অনেক মানুষই এগুলো হালাল, কি হারাম- এ বিষয়ে অবগত নয়। এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় হতে বিরত থাকবে, তার দীন ও মান-মর্যাদা পুত-পবিত্র থাকবে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহে পতিত থাকবে, সে সহসাই হারামে জড়িয়ে পড়বে। বিষয়টি সেই রাখালের ন্যায়, যে রাখাল তার পশুপালকে নিষিদ্ধ এলাকার সীমার কাছাকাছি নিয়ে চরালো, তার পাল অজান্তেই নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
সাবধান! প্রত্যেক দায়িত্বশীলেরই (প্রশাসন বা সরকারেরই) চারণভূমি (নিষিদ্ধ এলাকা) আছে, আর আল্লাহ তা’আলার নিষিদ্ধ চারণভূমি হারামসমূহকে নির্ধারিত করেছেন। মনে রাখতে হবে, মানব দেহের ভিতরে একটি মাংসপিন্ড আছে, যা ভালো থাকলে গোটা শরীরই ভালো থাকে। আর এটি নষ্ট হয়ে গেলে বা বিকৃতি ঘটলে সমস্ত শরীরটাই নষ্ট হয়ে যায়। সেই মাংসপিন্ডটিই হলো ’কলব’ (অন্তঃকরণ)। (বুখারী, মুসলিম)[1]
[1] সহীহ : বুখারী ৫২, মুসলিম ১৫৯৯, তিরমিযী ১২০৫, আবূ দাঊদ ৩৩৩০, আহমাদ ১৮৩৭৪, দারিমী ২৫৭৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৭৩১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) | হাদিস: ২৭৬২ [ ]
গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)
হাদিস নম্বরঃ ২৭৬২
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৬২-[৪] নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এ উভয়ের মধ্যে এমন অনেক সন্দেহভাজন বিষয় বা বস্ত্ত আছে, যে ব্যাপারে অনেক মানুষই এগুলো হালাল, কি হারাম- এ বিষয়ে অবগত নয়। এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় হতে বিরত থাকবে, তার দীন ও মান-মর্যাদা পুত-পবিত্র থাকবে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহে পতিত থাকবে, সে সহসাই হারামে জড়িয়ে পড়বে। বিষয়টি সেই রাখালের ন্যায়, যে রাখাল তার পশুপালকে নিষিদ্ধ এলাকার সীমার কাছাকাছি নিয়ে চরালো, তার পাল অজান্তেই নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
সাবধান! প্রত্যেক দায়িত্বশীলেরই (প্রশাসন বা সরকারেরই) চারণভূমি (নিষিদ্ধ এলাকা) আছে, আর আল্লাহ তা’আলার নিষিদ্ধ চারণভূমি হারামসমূহকে নির্ধারিত করেছেন। মনে রাখতে হবে, মানব দেহের ভিতরে একটি মাংসপিন্ড আছে, যা ভালো থাকলে গোটা শরীরই ভালো থাকে। আর এটি নষ্ট হয়ে গেলে বা বিকৃতি ঘটলে সমস্ত শরীরটাই নষ্ট হয়ে যায়। সেই মাংসপিন্ডটিই হলো ’কলব’ (অন্তঃকরণ)। (বুখারী, মুসলিম)[1]
[1] সহীহ : বুখারী ৫২, মুসলিম ১৫৯৯, তিরমিযী ১২০৫, আবূ দাঊদ ৩৩৩০, আহমাদ ১৮৩৭৪, দারিমী ২৫৭৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৭৩১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) | হাদিস: ২৭৬২ [ ]