Knowledge Sharer
ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 871
- Comments
- 1,036
- Reactions
- 9,295
- Thread Author
- #1
ঈমানদার বিপদাপদের দিকে তিন দৃষ্টিতে দেখবে:
১. বিপদে পড়ার আগে: তখন তার একমাত্র কাজ হবে আল্লাহ কাছে। নিরাপত্তা চাওয়া।
রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, “হে মানুষেরা! তোমরা শত্রুর সাক্ষাৎ কামনা করো না, আল্লাহ তাআলার কাছে নিরাপত্তা চাও।” [বুখারি, আল-জামিউস সহীহ, হাদীস নং ২৯৬৬]
অপর হাদীসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ (সা:) এক ব্যক্তিকে শুনেছেন যে, সে দুআ করছে, ‘আল্লাহ আমাকে আখিরাতে যে শাস্তি দিবেন, তা দুনিয়াতে দিয়ে দিন...' রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, সুবহানআল্লাহ! সে সেটা সহ্য করতে পারবে না। [মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ২৬৮৮]
অপর হাদীসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ (সা:) সকাল বিকালের দুআয় বলতে বলেছেন, ‘আল্লাহ আমি আপনার কাছে নিরাপত্তা চাই।...' [আবু দাউদ, আস-সুনান, হাদীস নং ৫০৭৪]
সুতরাং বিপদে পড়ার আগে কেউ যেন বিপদ কামনা না করে। এমনকী বিপদ হতে পারে এমনসব কাজ থেকে পারতপক্ষে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাঁচতে হবে। তবে যদি সেটা আল্লাহ তাআলার দীনের ব্যাপারে হয় তখন হিকমতের সঙ্গে চলতে হবে, যখন আর কোনো উপায় থাকবে না তখন দীনের জন্য কুরবানি দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
২. বিপদে পড়ার পরে; তখন বড়ো কাজ হবে,
• আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট হওয়া।
• ধৈর্যধারণ করা।
• বিশ্বাস করা যে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার গুনাহ ক্ষমা করে। দিবেন।
• বিশ্বাস করা যে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি দিবেন।
• বিশ্বাস করা যে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাকে তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দিবেন।
• বিশ্বাস করা যে, একমাত্র তিনিই এ বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন।
• বিপদের ভালো দিকগুলো স্মরণ করা। যেমন শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ করেছিলেন।
• দুআ ও যিকিরের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার দিকেই ধাবিত হওয়া।
• আল্লাহ নাখোশ হন এমন কথা না বলা।
• বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহ তাআলা কাউকে সাধ্যের বাইরে বিপদে ফেলেন না।
• তাঁর থেকে যারা বেশি বিপদে পড়েছে তাদের কথা স্মরণ করা এবং তাদের চেয়ে নিজের বিপদকে হালকা করে দেখা।
• সর্বদা 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' বলা ও অর্থের দিকে খেয়াল করা।
৩. বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার পর:
• আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করা, শির্ক ও কুফর না করে বসা।
• বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার পর ইবাদাত আরো বাড়িয়ে দেওয়া।
• অহংকারী না হওয়া বা বাড়াবাড়িতে লিপ্ত না হওয়া।
১. বিপদে পড়ার আগে: তখন তার একমাত্র কাজ হবে আল্লাহ কাছে। নিরাপত্তা চাওয়া।
রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, “হে মানুষেরা! তোমরা শত্রুর সাক্ষাৎ কামনা করো না, আল্লাহ তাআলার কাছে নিরাপত্তা চাও।” [বুখারি, আল-জামিউস সহীহ, হাদীস নং ২৯৬৬]
অপর হাদীসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ (সা:) এক ব্যক্তিকে শুনেছেন যে, সে দুআ করছে, ‘আল্লাহ আমাকে আখিরাতে যে শাস্তি দিবেন, তা দুনিয়াতে দিয়ে দিন...' রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, সুবহানআল্লাহ! সে সেটা সহ্য করতে পারবে না। [মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ২৬৮৮]
অপর হাদীসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ (সা:) সকাল বিকালের দুআয় বলতে বলেছেন, ‘আল্লাহ আমি আপনার কাছে নিরাপত্তা চাই।...' [আবু দাউদ, আস-সুনান, হাদীস নং ৫০৭৪]
সুতরাং বিপদে পড়ার আগে কেউ যেন বিপদ কামনা না করে। এমনকী বিপদ হতে পারে এমনসব কাজ থেকে পারতপক্ষে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাঁচতে হবে। তবে যদি সেটা আল্লাহ তাআলার দীনের ব্যাপারে হয় তখন হিকমতের সঙ্গে চলতে হবে, যখন আর কোনো উপায় থাকবে না তখন দীনের জন্য কুরবানি দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
২. বিপদে পড়ার পরে; তখন বড়ো কাজ হবে,
• আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট হওয়া।
• ধৈর্যধারণ করা।
• বিশ্বাস করা যে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার গুনাহ ক্ষমা করে। দিবেন।
• বিশ্বাস করা যে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি দিবেন।
• বিশ্বাস করা যে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাকে তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দিবেন।
• বিশ্বাস করা যে, একমাত্র তিনিই এ বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন।
• বিপদের ভালো দিকগুলো স্মরণ করা। যেমন শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ করেছিলেন।
• দুআ ও যিকিরের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার দিকেই ধাবিত হওয়া।
• আল্লাহ নাখোশ হন এমন কথা না বলা।
• বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহ তাআলা কাউকে সাধ্যের বাইরে বিপদে ফেলেন না।
• তাঁর থেকে যারা বেশি বিপদে পড়েছে তাদের কথা স্মরণ করা এবং তাদের চেয়ে নিজের বিপদকে হালকা করে দেখা।
• সর্বদা 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' বলা ও অর্থের দিকে খেয়াল করা।
৩. বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার পর:
• আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করা, শির্ক ও কুফর না করে বসা।
• বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার পর ইবাদাত আরো বাড়িয়ে দেওয়া।
• অহংকারী না হওয়া বা বাড়াবাড়িতে লিপ্ত না হওয়া।
- 'এটা সালাগণের মানহাজ নয়' বই থেকে (বিলিভার্স ভিসন পাবলিকেশন্স)